সারা দেশ

অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে মওলানা ভাসানীর ট্রাক্টর

reporter-icon
নাদিম তালুকদার: স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
নভেম্বর ১৬, ২০২৫ | 0
চীন থেকে মাও জেদংয়ের উপহার পাওয়া ট্রাক্টর, টাইপরাইটারসহ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে টাঙ্গাইলের সন্তোষে। অনেক সরঞ্জাম আবার নষ্টও হয়ে যাচ্ছে। এই সরঞ্জামগুলো ভালোভাবে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ, পরিবারের সদস্য, ভক্ত ও অনুসারীরা। সরেজমিন দেখা যায়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পশ্চিম পাশে একটি টিনশেডে রয়েছে ট্রাক্টর ও টাইপরাইটারটি। টিনশেডের চারপাশে স্বচ্ছ কাচ। ট্রাক্টর ও টাইপরাইটার মেশিনটিতে জমেছে ধুলার আস্তরণ। মওলানা ভাসানী ও চীনের কমিউনিস্ট বিপ্লবের নেতা মাও জেদংয়ের স্মৃতিবিজড়িত এই ট্রাক্টরের সামনের একটি চাকা নেই। এটি উচ্চতায় ৬ ফুট, লম্বায় ১০ ফুট। জানা যায়, মওলানা ভাসানী ১৯৬৩ সালে প্রথম এবং ১৯৬৪ সালে দ্বিতীয়বার চীন সফর করেন। ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ‘মাও সে-তুঙ এর দেশে’ নামে একটি বইও লেখেন। ১৯৬৬ সালে মওলানা ভাসানী তৃতীয় ও শেষবার চীন সফর করেন। সে সময় চীনের নেতা মাও জেদং তাকে একটি ট্রাক্টর উপহার দেন। ১৯৬৭ সালে চীন থেকে ট্রাক্টরটি এ দেশে পাঠানো হয়। সমবায় পদ্ধতির কৃষিকাজে ট্রাক্টরটির সাহায্যে একসঙ্গে ৫০ একর জমি চাষ করা যেত। সে সময় মওলানা ভাসানীর কৃষিকেন্দ্রিক কর্মকাণ্ড চলমান ছিল জয়পুরহাটের পাঁচবিবির মহীপুর এলাকায়। সেখানে ট্রাক্টরটি কিছুদিন কাজে লাগানো হয়। এরপর ১৯৭৪ সালে ট্রাক্টরটি টাঙ্গাইলের সন্তোষে নিয়ে আসা হয়। পরে মওলানা ভাসানী ট্রাক্টরটি বসিয়ে না রেখে কাজ করার জন্য বিএডিসিকে দিয়ে দেন। বিএডিসি সেটি জামালপুরে কিছুদিন কাজে লাগায়। জামালপুরে ট্রাক্টরটি একপর্যায়ে অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকার পর বিক্রির কথা ওঠে। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ড ট্রাক্টরটি ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনে। বর্তমানে ট্রাক্টরটি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ শিক্ষার্থী আক্তারুজ্জামান সাজু বলেন, মওলানা ভাসানী দলমত নির্বিশেষে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ; তিনি আছেন আদর্শ, স্মৃতি, ইতিহাস ও কবির কবিতায়। তিনি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ ও জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। এই বঙ্গীয় ‘ব’-দ্বীপে এক সাধারণ পরিবারে জন্ম নিয়েও যে বিশ্বরাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করা যায় মওলানা ভাসানী তার জ্বলন্ত উদাহরণ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, তার রেখে যাওয়া স্মৃতিচিহ্ন ও প্রতিষ্ঠানগুলো আজ ধ্বংসের পথে। মজলুম জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর ‘হক কথা’ পত্রিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘শান্তি প্রেস’র ব্যবহার্য সরঞ্জামগুলো আজ অবহেলায় অযত্নে পড়ে আছে; এই স্মৃতি সংরক্ষণে সরকার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কারও দায় নেই। মওলানা ভাসানী জাদুঘরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে তার স্মৃতি সংরক্ষণ করা এখন সময়ের দাবি। ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী সমাপ্তি খান বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন কৃষক ও মেহনতি মানুষের নেতা। তার সংগ্রামী জীবন, চীন থেকে উপহার পাওয়া ট্রাক্টরসহ নানা স্মৃতি আজ আমাদের ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এসব জিনিসপত্র অনেক জায়গায় অযত্ন ও অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভাসানীর ব্যবহৃত জিনিস, যেমন-ট্রাক্টর, পোশাক, দলিল, বই ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য একটি স্থায়ী ‘ভাসানী জাদুঘর’ করা উচিত। সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাজেট ও তদারকি টিম গঠন করা দরকার। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তার জীবন ও আদর্শ পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। তার ভাষণ, চিঠিপত্র ও আলোকচিত্র ডিজিটাল আকারে সংরক্ষণ করে অনলাইনে উন্মুক্ত করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সহজে জানতে পারবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে নিয়মিত মেরামত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করতে হবে। মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক চেতনা তরুণদের মাঝে উজ্জীবিত করতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার  বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।  এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক  ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ,  বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

সারা দেশ

আরও পড়ুন
টাঙ্গাইলের তিন সংগঠনের সাংবাদিকদের সঙ্গে নতুন এসপির মতবিনিময় অনুষ্ঠিত
টাঙ্গাইলের তিন সংগঠনের সাংবাদিকদের সঙ্গে নতুন এসপির মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলের তিনটি সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয় এ মতবিনিময় সভা। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সমন্বয় জোরদার করার উদ্দেশ্যে এটি ছিল পুলিশ সুপারের প্রথম আনুষ্ঠানিক পরিচিতি সভা। সভায় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল প্রিণ্ট মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়ের উজ্জল, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শামসাদুল আখতার শামীম, সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন, উত্তর টাঙ্গাইল টেলিভিশন রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।এ ছাড়া তিন সংগঠনের শতাধিক সাংবাদিক, রিপোর্টার, ক্যামেরাপার্সন ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। মতবিনিময় সভায় বক্তারা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সাংবাদিকদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা বলেন, টাঙ্গাইলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সাংবাদিকদের সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সমাজ ও প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকার তার বক্তব্যে বলেন,“পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক। আমরা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবো, আপনারা সঠিক সংবাদ প্রচার করে সমাজকে সহায়তা করবেন। একসঙ্গেই টাঙ্গাইলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরও স্থিতিশীল ও উন্নত করা সম্ভব।” তিনি আরও বলেন,“আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট টাঙ্গাইলসহ দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণ যেন নিরাপদে, বাধাহীনভাবে ভোট দিতে পারে—এটাই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কোনো অনিয়ম যাতে না ঘটে সেদিকে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবো।” পুলিশ সুপার জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় নতুন করে পুলিশ সুপার পদায়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন,“আমি টাঙ্গাইলে দায়িত্ব নিয়েছি নির্বাচনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করতে। ভোটারদের যেন বিগত নির্বাচনের মতো কোনো দুর্ভোগে না পড়তে হয়। কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা, টহল ও নজরদারির সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সভা শেষে সাংবাদিকরা পুলিশের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং টাঙ্গাইলের সার্বিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন কাজের সঙ্গে গণমাধ্যমের অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে বলে মত দেন।

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রাকচাপায় তরুণ ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রাকচাপায় তরুণ ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু

টাংগাইলের বাসাইলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

নাগরপুর–টাঙ্গাইল সড়কের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

ওয়াজের মঞ্চে স্ট্রোক, হাসপাতালে বক্তার মৃত্যু

ওয়াজের মঞ্চে স্ট্রোক, হাসপাতালে বক্তার মৃত্যু তাফসির মাহফিলের মঞ্চে তখন ছিল এক গভীর, নিবিড় নীরবতা। মঞ্চ জুড়ে বসে থাকা হাজারো মানুষ প্রিয় বক্তার বক্তব্যে ডুবে ছিলেন। তাঁর কণ্ঠের মাধুর্য, হৃদয়ছোঁয়া উপস্থাপনা, তিলাওয়াত ও ব্যাখ্যা—সবকিছুতেই মুগ্ধ হয়ে শ্রোতারা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন। ঠিক এমন সময়ই ঘটে যায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা, যা মুহূর্তেই পুরো মাহফিলস্থলকে স্তব্ধ করে দেয়। বয়ানরত অবস্থায় হঠাৎ করেই বক্তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। তিনি হাতের মাইক্রোফোনসহ মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি হয়তো অসুস্থ বোধ করায় বসে পড়েছেন; কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। মঞ্চের পাশে থাকা আয়োজকরা ছুটে গিয়ে তাঁকে ধরার চেষ্টা করেন, শ্রোতারা দাঁড়িয়ে যান, অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তৎক্ষণাৎ আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে তাঁকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই জানান, তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবার পরও তাঁকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এই আকস্মিক মৃত্যুর খবরে মাহফিল, এলাকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। বহু মানুষের জীবনে ছোঁয়া রেখে যাওয়া এই বক্তার মৃত্যু সবাইকে ব্যথিত করেছে। তাঁর বয়ান, ইসলামের প্রতি ভালোবাসা, মানুষের মন জয়ের ক্ষমতা—সবকিছুই মানুষ স্মরণ করছে গভীর আবেগে। স্থানীয় ধর্মীয় অঙ্গন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবাই এই ক্ষতিকে অপূরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় দোয়ার আয়োজন করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

টাংগাইল জেলা পুলিশের রিজার্ভ অফিস এবং সকল ইউনিট কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে প্রশ্ন: ‘চারজন আটক, তিনজনকে ছাড়লো পুলিশ’—চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে প্রশ্ন: ‘চারজন আটক, তিনজনকে ছাড়লো পুলিশ’—চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক গ্রেফতার–মারধরের অভিযোগ, সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক গ্রেফতার–মারধরের অভিযোগ, সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভ

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে এক সাংবাদিককে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধর ও মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নারান্দিয়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে দৈনিক নিরপেক্ষ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও কালিহাতী প্রেসক্লাবের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় টাঙ্গাইলের স্থানীয় সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। তারা দ্রুত ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ আগস্ট কালিহাতীতে শওকত তালুকদার নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনের খবর সংগ্রহ ও প্রকাশ করেন সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম। সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই শওকত তালুকদারের স্ত্রী সাংবাদিক জাহাঙ্গীরের প্রতি ক্ষুব্ধ হন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দেওয়া শুরু করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে,১৭ নভেম্বর শওকত তালুকদারের স্ত্রী বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের দাবি—এটি পুরোপুরি হয়রানিমূলক ও সংবাদ প্রকাশের প্রতিশোধ নিতে করা মিথ্যা মামলা। পরিবারের অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে হঠাৎ কয়েকজন পুলিশ সদস্য বাড়িতে ঢুকে কোনো ধরনের ওয়ারেন্ট বা কারণ ব্যাখ্যা ছাড়াই জাহাঙ্গীরকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়। গ্রেফতারের সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলেও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। জাহাঙ্গীরের বৃদ্ধ মা বলেন, “রাতের অন্ধকারে এত পুলিশ কেন আসলো বুঝিনি। ছেলে‌কে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় মারধরও করেছে। আমরা কিছু বলার সুযোগও পাইনি।” কালিহাতী প্রেসক্লাব, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবসহ জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। কালিহাতী প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন,“একজন সাংবাদিককে মধ্যরাতে এভাবে তুলে নেওয়ান্যক্কারজনক। এটি স্পষ্টভাবে গণমাধ্যমকে ভয় দেখানো ও স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর আঘাত। আমরা দ্রুত তদন্ত এবং জাহাঙ্গীরের মুক্তি চাই।” পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নারী প্রথমে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশনার পর টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে।সদর থানার এক কর্মকর্তা বলেন,“আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে। মারধরের অভিযোগ সত্য নয়।” ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন—মামলা তদন্তের আগেই কেন রাতের আঁধারে সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হলো? এটি কি সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর চেষ্টামানবাধিকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন।

ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ 0

টাঙ্গাইল জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা

টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কের কাজ দ্রুত শেষের দাবিতে নাগরপুরে মানববন্ধন

টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কের কাজ দ্রুত শেষের দাবিতে নাগরপুরে মানববন্ধন

টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ শামসুল আলমের সাথে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের বৈঠক

0 মন্তব্য

শীর্ষ সপ্তাহ

বেগম খালেদা জিয়া শুধু রাজনৈতিক নেত্রী নন, তিনি বাংলাদেশের মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতীক-সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
সারা দেশ

বেগম খালেদা জিয়া শুধু রাজনৈতিক নেত্রী নন, তিনি বাংলাদেশের মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতীক-সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

ডিসেম্বর ৬, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে