ময়মনসিংহ

হার্টে ছিদ্র ২ বছরের আছিয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্ট ও দুর্বলতায় ভুগছিল ছোট্ট ইসরাত জাহান আছিয়া। বয়স মাত্র ২ বছর ৩ মাস—কিন্তু এতটুকু বয়সেই জীবনের সঙ্গে লড়াই করছে সে। নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের রানীগাঁও গ্রামের এই নিষ্পাপ শিশুটির হৃদপিণ্ডে জন্মগত ছিদ্র ধরা পড়ে কয়েক মাস আগে। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা পরিবারটির পক্ষে এমন ব্যয়বহুল চিকিৎসা বহন করা ছিল প্রায় অসম্ভব। তখনই এগিয়ে আসেন দেশের আলোচিত মানবিক ব্যক্তিত্ব, অসহায়ের শক্ত ভরসার নাম—ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক—কেন্দ্রীয় বিএনপি এবং মহাসচিব—জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।পরিবারটির আর্থিক অসহায় অবস্থা জানার পর তিনি দ্বিধাহীনভাবে ঘোষণা দেন, আছিয়ার সম্পূর্ণ চিকিৎসা, ভর্তি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অপারেশন ও পরবর্তী সকল খরচ আমার ব্যক্তিগত দায়িত্বে। তার এই উদ্যোগ পরিবারে ফিরিয়ে এনেছে আশার আলো ও বাঁচার সাহস। ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আছিয়াকে ভর্তি করা হয় ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে। চিকিৎসক দল জানিয়েছে—আছিয়ার অপারেশনটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর, তবে সময়মতো সার্জারি হলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা ও সার্জিক্যাল টিম। পারিবারিক বাস্তবতা: দারিদ্র্যের মধ্যেও সন্তানের প্রতি অসীম স্নেহ, আছিয়ার বাবা আইনুল ইসলাম পেশায় দিনমজুর, মা ময়না আক্তার গৃহিণী। পরিবারের দুটি সন্তান—এক ছেলে ও এক মেয়ে। আছিয়া সবার ছোট; সবার আদর ও স্নেহের কেন্দ্রবিন্দু। শিশুটির জন্মের পর থেকেই তাদের জীবনে শুরু হয় দুঃশ্চিন্তার দিন। স্থানীয় চিকিৎসকদের ব্যাখ্যায় জানা যায়—আছিয়ার হৃদযন্ত্রে গুরুতর ছিদ্র রয়েছে, যা সময়মতো চিকিৎসা না হলে জীবন সংকট তৈরি করতে পারে। হাতে ছিল না প্রয়োজনীয় অর্থ, ছিল শুধু অসহায়ত্ব। মানবতার ফেরিওয়ালা কায়সার কামালের ধারাবাহিক সেবা, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ইতিমধ্যেই পরিচিত নাম। থেলাসেমিয়া, কিডনি বিকল, ক্যান্সার, চোখের চিকিৎসা, হার্ট সার্জারি—এমন বহু ব্যয়বহুল চিকিৎসার দায়িত্ব তিনি নিঃস্বার্থভাবে গ্রহণ করেছেন। আছিয়ার চিকিৎসা উদ্যোগটি তার পরিচালিত ৬ নম্বর ছিদ্র হার্ট অপারেশন । মানুষের কষ্ট লাঘব ও মানবতার সেবা তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে। মানুষের দোয়া—আছিয়ার শক্তি ,রানীগাঁও গ্রামে এখন একটাই প্রার্থনা—আছিয়ার অপারেশন সফল হোক। পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়সহ এলাকার মানুষ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। নিষ্পাপ এই শিশুটির মুখের হাসি ফিরিয়ে আনার জন্য সবার দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন তিনিও। শিশু আছিয়ার অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হোক—এই কামনাই সকলের। মানবতার কল্যাণে, অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর এই ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও আরও প্রসারিত হবে—ইনশাআল্লাহ।

আল আমিন হাওলাদার ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
নেত্রকোনা দুর্গাপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত

‘মানবাধিকার, আমাদের নিত্যদিনের অপরিহার্য’’ এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রতিবন্ধী কমিউনিটি সেন্টারের আয়োজনে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহায়তায় নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জন ক্রসওয়েল খকসি‘র সভাপতিত্বে, সংস্থার উপজেলা কোঅর্ডিনেটর পল সুকান্ত বিশ^াস এর সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি‘র বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সমবায় অফিসার বিজন কান্তি ধর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এডভোকেট এম এ জিন্নাহ্, প্রেসক্লাব সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন, সাবেক সভাপতি মো: মেহান মিয়া, সংস্থার ফাইন্যান্স অফিসার পল সুকান্ত বিশ^াস প্রমুখ। এছাড়া কবি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এরপর থেকে সারাবিশ্বেই এই দিনে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। বর্তমানে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধনের গড় হার ৫০ শতাংশ অর্থাৎ এখনো অর্ধেক মানুষকে নিবন্ধন না থাকার কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। নিবন্ধনহীনতা দেশে শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ, মানবপাচারসহ বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনকে ত্বরান্বিত করছে। একইভাবে, মৃত্যু নিবন্ধন না থাকায় উত্তরাধিকার প্রমাণেও জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। আইন সংস্কারের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম জনবান্ধব করতে হবে, যাতে কোনো মানুষই পরিচয়হীন না থাকে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সুরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ সকল মৌলিক অধিকার সমানভাবে ভোগ করতে পারে। এ কাজে সরকারের পাশাপাশি সকলকে সহায়তা করতে আহবান জানানো হয়।

আল আমিন হাওলাদার ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
বৈঠাখালি মঙল শরী নদীতে কাঠের সেতু নির্মাণ: জনদুর্ভোগে ত্বরিত সাড়া দিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

যাদের জন্য সেতু নির্মাণ, সেই ছাত্র-শিক্ষক ও সাধারণ মানুষের হাতে উদ্বোধন; উপকৃত হবে ৬ গ্রামের হাজারো মানুষ, নেত্রকোণার দুর্গাপুর-কলমাকান্দা এলাকার জনজীবনে দীর্ঘদিন ধরে একটি বড় সমস্যা ছিল “বৈঠাখালি মঙ্গল শরি” নদী পারাপার। নদীতে সারা বছর পানি থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হতো শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কৃষক, নারী ও সাধারণ পথচারীদের। সরকারি উদ্যোগের অভাবে বহু বছর ধরে এলাকা ছিল অবহেলিত। আর সেই দুর্ভোগের মধ্যেই স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত হলো ১০৫ ফুট দীর্ঘ কাঠ-বাঁশের সেতু—যা নির্মাণ করে দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। ২৯/১১/২০২৫ ইং নাজিরপুর কৃষক সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দেখতে পান—স্কুলের শ’খানেক ছাত্র-ছাত্রী এবং কয়েকজন শিক্ষক নদীর পাড়ে অসহায়ভাবে অপেক্ষা করছেন। তিনি গাড়ি থামিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান এবং জানতে চান সমস্যার কারণ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল কে জানান, স্যার, প্রতিদিনই এই নদী পার হতে গিয়ে আমরা বহু কষ্ট করি। বর্ষায় নৌকা না পেলে স্কুলে যাওয়া বন্ধ থাকে। গ্রামবাসীর জন্যও নদী পার হওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই কথাগুলো তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত নেন—এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। ব্যারিস্টার কায়সার কামালের নির্দেশনা ও আশ্বাসে স্থানীয় জনগণ, ছাত্রদের অভিভাবক, যুবসমাজ এবং দলীয় কর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমে এগিয়ে আসেন। মাত্র একদিনের প্রস্তুতির পরই শুরু হয় সেতু নির্মাণ। ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে শুরু হওয়া এই কাজটি দিনে-রাতে অব্যাহত থাকে। নির্মিত সেতুর বৈশিষ্ট্য—দৈর্ঘ্য: ১০৫ ফুট ,প্রস্থ: ৫ ফুট কাঠ ও বাঁশের সমন্বয়ে মজবুতভাবে তৈরি বর্ষাকালসহ সারা বছর ব্যবহারযোগ্য করে নকশা করা স্থানীয় প্রবীণ নাগরিকদের মতে, “বিগত ৩০ বছরে এমন কাজ কেউ দেখেনি। এত দ্রুত সিদ্ধান্ত, এত দ্রুত কাজ—এটি এলাকার মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।” ১০ ডিসেম্বর: আবেগঘন উদ্বোধন ,মাত্র চার দিনের প্রচেষ্টায় সেতুটি ব্যবহারের উপযোগী হয়ে ওঠে। এরপর ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, সেতুটির উদ্বোধনে ছিল অনন্য একটি দৃশ্য—কোনো রাজনৈতিক নেতা বা অতিথি নয়, সেতুটি উদ্বোধন করেন সেই শিশু-কিশোর, শিক্ষক এবং গ্রামবাসী, যাদের দৈনন্দিন জীবনের কষ্ট লাঘবের জন্যই এটি নির্মাণ করা হয়েছে। উদ্বোধনী মুহূর্তে উপস্থিত লোকজন বলেন, “এটি শুধু একটি সেতু নয়—এটি আমাদের বাঁচার স্বস্তি, আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা।”৬ গ্রামের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব নতুন সেতুটি চালু হওয়ায় উপকৃত হবে—২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী,পার্শ্ববর্তী জামে মসজিদের অসংখ্য মুসল্লি,কৃষক, দিনমজুর, কর্মজীবী মানুষ,এবং মোট ৬টি গ্রামের সাধারণ মানুষ, যাদের প্রতিদিনের যাতায়াত সহজ ও নিরাপদ হয়েছে। স্থানীয় নারীরা জানান, হাসপাতাল, বাজার ও স্কুলে যেতে আর আগের মতো দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগে প্রশংসা জানিয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন—মানুষের সমস্যা শুনে চুপ থাকা আমাদের কাজ নয়। দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি কারণ মানুষের কষ্ট সহ্য হয় না। উন্নয়ন ও মানবসেবা—এই দুটি বিষয়ই আমার অঙ্গীকার। তিনি আরও বলেন,জনগণ সহযোগিতা করলে আরও অনেক এলাকায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে। এলাকার জনপ্রিয় মহল এবং প্রবীণদের মন্তব্য—ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দেখিয়ে দিলেন—উদ্যোগ চাই, কাজ করা সম্ভব। এটি মানুষকে সম্মান দেওয়ার নজির। আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা আজ নিশ্চিত হলো। দুর্গাপুর–কলমাকান্দা অঞ্চলের উন্নয়নে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সক্রিয় ভূমিকা মানুষের মধ্যে নতুন আস্থা সৃষ্টি করেছে। চিকিৎসা সহায়তা, রাস্তা-মেরামত, সেতু নির্মাণ, দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো—সব ক্ষেত্রেই তাঁর কার্যক্রম জনমনে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে। এই কাঠের সেতু তাই শুধু একটি স্থাপনা নয়—এটি জনকল্যাণমুখী রাজনীতির জীবন্ত উদাহরণ।

মুক্তধ্বনি ডেক্স ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
ছোট্ট তাছিনের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

দুই হাত-পা বেঁধে রেখেই লালন পালন করতে হয় শিশু তাছিনকে। মাত্র আট বছর বয়সেই শরীরে কঠিন রোগ বহন করে ধীরে ধীরে মৃত্যুপথযাত্রী হতে যাচ্ছে। মানসিক ভারসাম্যহীনতায় আক্রান্ত শিশু তাছিন প্রায়ই নিজের শরীর নিজেই আঘাত করে তার কোমল দেহ ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে। অসহায় বাবা-মা বাধ্য হয়ে তার দুই হাত-পা বেঁধে রাখেন, যাতে সে নিজে নিজে তার শরীরে আর কষ্ট না পায়। তাছিনের বয়স যখন মাত্র দুই বছর, তখন থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই আচরনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। পারিবারিক দরিদ্রতার কারনে এখন আর চিকিৎসা চালাতে পারছে না তাছিনের পরিবার। যে কারনে রোগটি চরম আকার ধারণ করেছে। দিনরাত বেঁধেই রাখতে হয় তাছিনকে। তাছিনের বাবা নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌরশহরের দশাল এলাকার রিকশাচালক সুজন মিয়া ও মা গার্মেন্টস কর্মী তাসলিমা বেগম। একমাত্র সন্তান আবু তাছিনে এই অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। টাকার অভাবে একমাত্র সন্তানের চিকিৎসা করাতে না পেরে ছেলের বেঁচে থাকার আশা ছেড়েই দিয়েছেন তারা। ডাক্তার বলেছেন, বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোগটিও তার শরীরে বাসা বেঁধেছে। তবে নিয়মিত উন্নত চিকিৎসা ও নার্সিং করাতে পারলে তাছিন ভালো হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে তাছিনকে বেঁধে রাখার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে, তা নজরে আসে কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয় সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের। দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে খোঁজ নিয়েছেন তাছিনের। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে তিনি শিশুটির সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণের ঘোষণা দেন এবং দ্রুত প্রয়োজনীযয় চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, একটি শিশু কখনোই শৃঙ্খলিত জীবনে বেঁচে থাকতে পারে না। তাছিন যেন সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে তার সমস্ত চিকিৎসার দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। এই মানবিক উদ্যোগে স্থানীয় জনগণ ও সামাজিক সংগঠনগুলো ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতা পকাশ করেছেন। ব্যারিস্টার কায়সার কামালের এই সহায়তা তাছিনের জীবনে নতুন আলো ফিরে আসুক, অন্যান্য শিশুর মতো তাছিনও মায়ের কোলে ফিরে আসুক এমনটাই আশা করছেন সকলে।

আল আমিন হাওলাদার অক্টোবর ৩০, ২০২৫ 0
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ফার্মেসিতে বিশালের রহস্যজনক মৃত্যু

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দেওয়ার মাত্র তিন ঘণ্টা পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বিশাল মিয়া (১৭) নামে এক ফার্মেসি কর্মচারী। সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে পৌরসভার শিমলা বাজারের সুমন ফার্মেসিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিশাল মিয়া টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বলিভদ্র ইউনিয়নের কেরামজানি গ্রামের সাগর মিয়ার ছেলে। তারা কিছুদিন ধরে সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কাবারিয়া বাড়ি গ্রামে বসবাস করছিলেন। বিশালের বাবা সাগর মিয়া পেশায় একজন ভ্যানচালক। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিশাল স্থানীয় আইডিয়াল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি সুমন ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রেতা হিসেবে কাজ করতেন। সোমবার বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি লেখেন— “বেঁচে থেকে লাভ কী, যদি আল্লাহর ইবাদতই না করি।” স্ট্যাটাস দেওয়ার পর বিশাল ফার্মেসির বিশ্রামঘরে গিয়ে ঘুমানোর কথা বলে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর ফার্মেসির মালিক সুজিত কুমার রায় তাকে ডাকলেও কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে দেখা যায়, রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন বিশাল মিয়া। দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবাশীষ রাজবংশী তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বাবা সাগর মিয়া জানান, “ভ্যান চালিয়ে খুব কষ্টে সংসার চালাই। ছেলে মাঝেমধ্যে বড় কিছু জিনিসের জন্য বায়না ধরত। না দিতে পারলে মন খারাপ করে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দোকানে চলে যেত। আজ সে এমন কাজ করবে, ভাবিনি।” সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হাসান বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ২৯, ২০২৫ 0
কালচারাল একাডেমির আয়োজনে ‘ইতিহাস ঐতিহ্যের সুসঙ্গ দুর্গাপুর’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নেত্রকোণায় ‘ইতিহাস ঐতিহ্যের সুসঙ্গ দুর্গাপুর’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি বিরিশিরি এর আয়োজনে সোমবার (২৭ অক্টোবর) ওয়াইএমসিএ মিলনায়তনে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেমিনারের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও এডভোকেট এম এ জিন্নাহ। কালচারাল একাডেমির পরিচালক কবি পরাগ রিছিলের সভাপতিত্বে ও নৃত্য শিক্ষক মালা মার্থা আরেং এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রভাষক তোবারক হোসেন খোকন। এই আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন - সিনিয়র সাংবাদিক এস এম রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব এম রফিকুল ইসলাম এবং একাডেমির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সন্ধ্যা রানী হাজং। সেমিনারে আলোচনাকালে বক্তারা বলেন, সুসঙ্গ দুর্গাপুর একটি ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ উপজেলা। সুসঙ্গ দুর্গাপুরের শত শত বছরের প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। এটি নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ অঞ্চল। এখানকার পর্যটনের রয়েছে বহুমুখী সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনাকে আরো বেশি জাগিয়ে তুলতে হলে সকলের জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। এজন্য নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। এখানকার ইতিহাস-ঐতিহ্য লালন করে একটি সুখী সমৃদ্ধ আগামীর দুর্গাপুর গড়ে তুলতে হবে। এখানে রয়েছে বহু জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এই দুর্গাপুরকে করেছে অনন্য। এই সেমিনারে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অর্ধশত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

আল আমিন হাওলাদার অক্টোবর ২৭, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

শীর্ষ সপ্তাহ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
সারা দেশ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে