কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ১৩ ই নভেম্বর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরের দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দলটির কর্মীরা। এ সময় মহাসড়কে গাছের গুড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। অবরোধ চলাকালে শিশুদেরও দেশীয় অস্ত্র রামদা সহ লাঠি সোটা হাতে সড়কে অবস্থান করতে দেখা যায়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে ঢাকা টু খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার আলগা ইউনিয়নের শুয়াদী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এই অবরোধ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯ টার পর্যন্ত তারা সড়ক অবস্থান করে। জেলা যুবলীগ নেতা দেবাশীষ নয়ন কে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লাইভ ভিডিওতেও দেখা যায়। মহাসড়কটির ও পর গাছের গুড়ি ফেলে রেখে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এতে শতাধিক স্থানীয় নেতা - কর্মী দেশীয় অস্ত্র রামদা,ঢাল,সরকি হাতে মহাসড়কে অবস্থান করছেন।এ সময় নারীদের পাশাপাশি অন্ততপক্ষে ১০ টি শিশুরা ও হেলমেট মাথায় ও অবস্থান করতে দেখা যায়, তাদের একটি শিশুকে রামদা হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় ঢাকা মুখি যানবাহন সহ সড়কে দুই পাশে বেশ কিছু গাড়ি আটকা পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ঢাকা খুলনা মহাসড়কে ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ মুখী ওই এলাকা আওয়ামী লীগ অধু্্যষিত । লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণার আগে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীরা ওই এলাকায় অবস্থান করেন। ভোররাত থেকে কয়েকজন নেতা কর্মী লকডাউন এর সমর্থনে সড়কে অবস্থান নেন এবং পরে অন্যরা যোগ দিয়ে পুরো রাস্তা অবরোধ করেন। এতে এলাকায় উত্তেজনাসৃষ্টি হয়। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রোকিবুজ্জামান বলেন, ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের মাধবপুরে অবরোধকারীরা অবরোধ করতে পারেনি। তবে ভাঙ্গার পুলিয়া এলাকায় অবরোধ করা হলেও সেটিও এক ঘণ্টার মধ্যেই অবসর করা হয়েছে। পুলিশ অবরোধ করিয়ে দিতে নিরবিচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ফরিদপুর বাস মালিক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলা ৩: টা পর্যন্ত তারা সকল পথে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। গোল্ডেন লাইন বাস কাউন্টারের ম্যানেজার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, সকাল ৬ টা থেকে বেলা ৩: ০০ টা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ে ফরিদপুর বাস মালিক গ্রুপের নেতা কামরুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, আমরা বাস চালাতে চাই, তবে যাত্রী না পেলে তো বাস চালানো সম্ভব না। খালি বাস নিয়ে তো আর পথে নেওয়া যায় না।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাইকরা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ধিত সভা। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে পাইকরা গোপালদিঘী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ সভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা পতাকা, ব্যানার ও শ্লোগানে মুখর হয়ে মাঠে সমবেত হন। পুরো এলাকা যেন পরিণত হয় উৎসবের মেলায়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জননেতা বেনজীর আহমেদ টিটো। তিনি তার আবেগঘন বক্তব্যে বলেন, বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের আশা-ভরসার নাম। এই দলই মানুষের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য নিরলসভাবে লড়ছে। আমি যেখানে যাই, কালিহাতীর মানুষকে ভুলতে পারি না। কালিহাতী আমার প্রাণ এখানকার মানুষই আমার জীবনের শক্তি ও প্রেরণা। তিনি আরও বলেন, যত বাধাই আসুক না কেন, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন থেকে বিএনপি একচুলও পিছু হটবে না। তৃণমূল কর্মীরাই আমাদের আসল শক্তি, আপনারাই বিএনপির প্রাণশক্তি ও ভবিষ্যৎ। তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম শোভা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (ভিপি রফিক), সিনিয়র সহ-সভাপতি মজনু মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বালা ও শামীম প্রামাণিক, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান লেলিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হাসমত আলী রেজা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কালিহাতী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওয়াদুদ তৌহিদ, এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারন অর রশিদ মিনু, পাইকরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির নেতা আব্দুস ছাত্তার পলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আতোয়ার রহমান তালুকদার লিটনসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মীরা। বক্তারা বলেন, দেশ আজ গভীর রাজনৈতিক সংকটে। গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে তৃণমূল থেকেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সভা শেষে নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এই বর্ধিত সভাকে আসন্ন আন্দোলনের প্রস্তুতি ও তৃণমূল সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ইতিমধ্যেই সরগরম হলেও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে এখনো বিএনপি তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এতে করে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা ও উদ্বেগ। এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আহমেদুল হক সতিল। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্র এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি। মাঠপর্যায়ের তৃণমূল নেতাদের মতামত, সাংগঠনিক শক্তি, এবং বিগত দিনের ভূমিকার ওপর ভিত্তি করেই প্রার্থী বাছাই করবে কেন্দ্র। স্থানীয় নেতারা মনে করছেন, প্রার্থী ঘোষণা বিলম্বিত হওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ের প্রচারণা ও প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম কিছুটা ধীর হয়েছে। তারা দ্রুত প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, টাঙ্গাইল-৫ আসনটি বিএনপির জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই দলটি এই আসনে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও প্রভাবশালী প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে চায়। এ কারণেই প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সময় নিচ্ছে দলটি।
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নির্বাচন অফিসে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় পৌর বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উত্থান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন, যুগ্ম সম্পাদক মহির উদ্দিন ও যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মো. তুহিনসহ অজ্ঞাত আরও ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে হামলা করা হয়। এ ঘটনায় কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়াও নির্বাচন অফিস এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় খালিদ হাসান উত্থান ও কাজী লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। তাদের কী সেবা দিতে হবে জানতে চাইলে বিএনপির নেতাকর্মীরা কর্মকর্তাদের বলেন- তোরা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেছিস। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এর প্রতিবাদ করলে নির্বাচন কর্মকর্তার ওপর হামলা ও ভাঙচুর চালায়। কয়েকজন ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে অন্তত ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু রায়হান, ডাটা এট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পর টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা শুধু ফিরাতে গিয়েছিলাম। কাউকে কোনো কিছু বলিনি। আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে আমাদের বেদম মারধর করা হয়েছে। যেখানে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি, তার আগেই নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। মামলার বাদী গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে আসেন। সোমবার এসেই তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ আওয়ামী লীগের ট্যাগ দেওয়া শুরু করেন। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি করছি। জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তাদের কাছে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় নিরাপত্তার জোরদারের দাবি করেছি। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি। এছাড়াও জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন হামলা হবে তা আমরা কখনও কল্পনাও করিনি। এ বিষয়ে গোপালপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন ভূঞা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। তাদের কোনো ভুল থাকলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে অবগত করতে পারত। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার আহমেদুল হক সাতিলের পক্ষে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাতিলের উদ্যাগে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পৌর উদ্যানে এসে শেষ হয়। এ সময় বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয় রাজপথ। সেইসাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষে টাঙ্গাইলে বিএনপির লিফলেট বিতরণ করেন সাতিল। এতে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন। টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসনের মনোনয়ন ঘোষণা করেছে বিএনপি। কিন্ত টাঙ্গাইল-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। ফলে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সভা-সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে আরো রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলার সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।
জামালপুর ইউনিয়নে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার।উঠান বৈঠক জন স্রোতে পরিণত। কালিগঞ্জ গাজীপুর। বিশেষ প্রতিনিধি ঃ মোহাম্মদ শামীম শাহরিয়ার। কালিগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের খান বাড়িতে শুক্রবার বিকাল ৩টায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্যোগে এক উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মোঃ রাফিক মোড়লের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর কলেজ শাখার সাবেক ভিপি ও তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান খান লাভলু। শুরু থেকেই এলাকাবাসীর ব্যাপক আগ্রহে বৈঠকটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। নারী-পুরুষ, কৃষক-শ্রমিকসহ সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপচে পড়া ভিড়ে খান বাড়ির উঠানটি যেন ছোট হয়ে যায়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বৈঠকের কার্যক্রম শুরু হয় এক মনোরম ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মনিরুজ্জামান খান লাভলু বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।” তিনি কালিগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা, জননেতা এ.কে.এম ফজলুল হক মিলনের পক্ষ থেকে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম পৌঁছে দেন। তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর পর আপনারা আপনাদের মূল্যবান ভোট ধানের শীষ মার্কায় প্রদান করবেন। কারণ একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ধানের শীষের কোনো বিকল্প নেই।” তিনি সকল নেতাকর্মী ও জনসাধারণকে আহ্বান জানান—কালিগঞ্জের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জননেতা ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জামালপুর ইউনিয়ন বিএনপি, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনাব হারুনুর রশিদ দেওয়ান, জনাব জাহাঙ্গীর কবির, সালাউদ্দিন খান টিপু, ইকবাল হোসেন সরকার, জহির মোড়ল, এবং জেড করিম খান জুবায়েরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উঠান বৈঠকের এ মহাসমাবেশ প্রমাণ করেছে—জামালপুর ইউনিয়নে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, বিজয় এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষিতে টাঙ্গাইলের ৮টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনে বিএনপি’র প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তালিকা প্রকাশ করেন। তবে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের প্রার্থী এখনও ঘোষণা করা হয়নি। মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা: টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী): ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর): আব্দুস ছালাম পিন্টু, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল): ওবায়দুল হক নাসির টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী): লুৎফর রহমান মতিন, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ারে): রবিউল আউয়াল লাভলু, উপজেলা বিএনপি সদস্য টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর): আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক টাঙ্গাইল-৮: আহমেদ আযম খান, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে মনোনয়ন না দেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল উভয়ই ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের ধারণা, এ আসন থেকে কেউ একজন নির্বাচিত মনোনয়ন পাবেন।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ধানের শীষের গণজাগরণ সৃষ্টি ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের বিপক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে আগামী ২ নভেম্বর রোববার অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের সমাবেশ ও মিছিল সফল করার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিকাল ৪টায় কালিগঞ্জের ভদ্রখালী বিএনপি অফিসে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কালিগঞ্জ উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক মোঃ মুরশিদ আলী।সভা পরিচালনা করেন কালিগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শরিফুল ইসলাম।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোঃ রোকনুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ আরিফুর রহমান ছোটন, যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল হালদার, উপজেলা জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাজান আলী, কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওমর ফারুকসহ ১২ ইউনিয়নের কৃষকদল, জাসাস ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তারা বলেন,“ধানের শীষ আজ জনগণের মুক্তির প্রতীক।জাতীয় নির্বাচনের নামে ভোটবিহীন নাটক ঠেকাতে এখনই ঐক্যবদ্ধ গণজাগরণ গড়ে তুলতে হবে। জনগণই বিএনপির শক্তি, আর সেই শক্তিতেই আসন্ন আন্দোলন সফল হবে।”নেতৃবৃন্দ আগামী ২ নভেম্বরের কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সমাবেশ ও মিছিল সফল করার জন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মোস্তফা মাসুদ: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দেশনায়ক তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দিন ।শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের বিভিন্ন দোকান ও বাজারে তিনি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তিনি ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের হাতে হাতে ৩১ দফার লিফলেট তুলে দেন এবং তাদের সামনে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের অঙ্গীকার ব্যাখ্যা করেন। কাজী আলাউদ্দিন বলেন,“দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা কেবল একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার নয়, এটি হলো ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা। এই দফাগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার ও জনগণের প্রকৃত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন,“আজ দেশ দুঃশাসন, দারিদ্র্য, মিথ্যা মামলা ও ভয়-ভীতি নির্ভর রাজনীতির অন্ধকারে। আমরা জনগণের শক্তিতে সেই অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথে এগিয়ে যাব। লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম,কুশুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো: হাসানুর রহমান,মথুরেশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবু, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল-মাহমুদ ছোট্টু ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল গাজী, মৌতলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আকুল, কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মোঃ রোকনুজ্জামান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেদোয়ান ফেরদৌস রনি, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জুলফিকার আলি ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান পাড়,রতনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান,কালিগঞ্জ উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক মুরশিদ আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শরিফুল ইসলাম, এবং ছাত্রদলের জাকির হোসেন প্রমুখ। স্থানীয় জনতার সঙ্গে কুশল বিনিময় কালে কাজী আলাউদ্দিন বলেন,এই রাষ্ট্র মেরামতের আন্দোলন কোনো দলের নয়—এটি জনগণের মুক্তির আন্দোলন। মিথ্যা মামলা, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণই হবে আগামী পরিবর্তনের মূল শক্তি। জাতীয় রাজনীতিতে নতুন আলো ছড়ানোর প্রত্যয়ে বিএনপির এই গণসংযোগ কর্মসূচি নলতা থেকে ছড়িয়ে পড়ছে পুরো কালিগঞ্জে।
টাঙ্গাইল ভূঞাপুর উপজেলায় ২৮/১০/২০২৫ ইং তারিখে ভূয়াপুর যুবদল এর আয়োজনে পালিত হলো ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এর গোলচত্বর এ উপজেলা ও পৌর যুবদলের উদ্দ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত শিলেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার জুলহাজ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাবেক উপমন্ত্রী এডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব অনির্বাণ আমীর দুখু ও পৌর যুবদলের সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান গিয়াস, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান কবির লিটন, হাবিবুর রহমান ভুট্টো সহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন যুবদলের নেতৃবৃন্দ। তাঁরা উপজেলার বিভিন্ন রোড এ আনন্দ মিছিল করেন এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেন পুরো এলাকা।
টাঙ্গাইল জেলায় আসন্ন ২০২৬ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর ৫ আসন জুলাই সনদ এবং নানাবিধ কার্যকলাপ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী। সোমবার (২৭ অক্টোবর ২০২৬ ইং) তারিখে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে তারা। দাবিগুলো হলো, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচনে PR পদ্ধতি চালু, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও দুর্নীতির বিচার এবং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা আমির আহসান হাবীব মাসুদের সভাপতিত্ব করেন। টাঙ্গাইল জেলার জামায়াতী ইসলামে সদর ৫ আসনের প্রার্থী আহসান হাবীব মাসুদ বলেন,দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। হাজারো ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই বিপ্লবকে নস্যাৎ করার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমরা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জাতিকে সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ। সদর উপজেলা আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন বাদলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি মাওলানা হুমায়ুন কবির, সহকারী সেক্রেটারি হোসনে মোবারক বাবুল, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম খান, খেলাফত মজলিসের জেলা সহসভাপতি মুফতি আব্দুর রহমান মাদানি, খেলাফত মজলিসের জেলা সেক্রেটারি শহীদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান, অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান কোরায়েশী, শহর আমির অধ্যাপক মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ। এই বিক্ষোভ সমাবেশে সবাইকে ধৈর্য এবং শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানান এবং দেশের সকল নেতাকর্মীদের সঠিকভাবে কার্যকলাপ অংশগ্রহণ করতে আহ্বান জানান।
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট ও পি.আর. পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে গণসংযোগ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণসংযোগে নেতৃত্ব দেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুয়াপুর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ও উপজেলা আমীর অধ্যক্ষ মো: হাবিবুর রহমান তালুকদার। তিনি হেমনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি বলেন, “আগামীর বাংলাদেশ হবে নিরাপদ ও সুন্দর— ইনশাআল্লাহ, যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় সৎ ও আল্লাহভীরু নেতৃত্বের হাতে।” এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোপালপুর শহর জামায়াতের বিভিন্ন শাখার নেতা-কর্মীরা। গণসংযোগ শেষে অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান তালুকদার জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট ও পি.আর. পদ্ধতির নির্বাচনের দাবিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ^ম্ভরপুর) আসনের সর্বস্তরের সম্মানিত ভাই ও বোনেরা, আপনাদেরকে আমার সশ্রদ্ধ সালাম ও আদাব জানাচ্ছি। আমি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে চাই। তাই আমি আপনাদের এক স্বজন,সন্তান,ভাই ও বন্ধু হিসেবে আপনাদের নিকট আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং আগামীতে এই আসনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমার পরিচিতি সম্পর্কে সর্ব প্রথমে আপনাদের কাছে উল্লেখ করতে চাই, আমি হোসেন পাঠান (বাচ্চু) সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আমার পিতা মরহুম (সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন) আব্দুল ওয়াদুদ পাঠান ও পরবর্তীতে চাকরি শেষে আমার পিতা মানুষের কল্যাণের স্পৃহায় অনুপ্রাণিত হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে ভূমিকা রেখে ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তৎকালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে একাধারে তিনবার লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়ে অত্যন্দত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। আমার মাতা মরহুমা লিলি বেগম চৌধুরী সুনামগঞ্জ মহিলা সমিতির সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তখনকার রাজনৈতিক শূন্যতায় ১৯৭৮ সালের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জনমত গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে গেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠনে তৎকালীন সময়ে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে তিনি ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। আমার চাচা মরহুম অধ্যক্ষ ডা. আব্দুর রাকিব ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন এলাকার মানুষের সু- চিকিৎসার দায়িত্ব পালনে যথেষ্ঠ সহযোগিতা প্রদান করে পরিচিত জনদের নিকট আজও স্বরণীয় হয়ে আছেন! আমার বাল্যজীবন ও শিক্ষা জীবন সুনামগঞ্জে সমাপ্ত করে ঢাকার নটরডেম কলেজে পড়াশোনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য সেখানে অধ্যয়ন শেষে প্রবাসে কর্মজীবন শুরু করার পাশাপাশি বিএনপির নিউজার্সি ষ্টেট (নর্থ) ইউএসএ (য়ুক্তরাষ্ট্র)”র সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার ছোট ভাই ফরিদ পাঠান শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করে আমেরিকার সেনাবাহিনীতে ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগদান করে যথেষ্ট সুখ্যাতি অর্জন করেন। উল্লেখ্য, দেশে থাকাকালীন সময়ে আমার পিতার সংস্পর্শে থাকার সুবাদে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দল বিএনপি রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ি। পরবতীতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে আমেরিকা যাওয়ার আগে সিলেটে ও ঢাকায় ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে যাই। আমেরিকা এসে ও বিএনপির আদর্শিকতার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে, পরবর্তীতে আর রাজনীতির নেশা থেকে আজ অবধি মুক্ত হতে পারেনি। বিগত এরশাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমেরিকাতে জনমত সংগঠিত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে কর্মসূচি পালন করেছি। তাছাড়া ১/১১ মঈন ফখরের বিরুদ্ধে তৎকালীন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনে সরকারের নিকট থেকে ক্ষমতা হাইজ্যাক করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া, এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের প্রতিবাদে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছি। এছাড়াও স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ জালিম ও স্বৈরাচারী আওয়ামী ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে বহির্বিশ্বে সরকারের খুন, গুম ও আয়নাঘরের নির্মম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী জালিম সরকারের রুদ্ররোষের শিকারে পড়ে বহু প্রতিকূল সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। আমি আমেরিকাতে জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতি বিকশিত করার লক্ষ্যে লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সাথে দেখা করে দেশের রাজনীতি এবং আমাদের সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সমস্যা বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেছি। এছাড়াও প্রবাসী বাঙালিদের কল্যাণে বৃহত্তর সুনামগঞ্জবাসীর সহযোগিতায় সুনামগঞ্জ জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সকলের মতামতের সাথে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমি হঠাৎ কেন নির্বাচনের প্রার্থী হলাম। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত বিগত দুই দশক যাবৎ দেশে বিগত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার মানুষের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সহ অনেক মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে ছিল, দলীয়করণ, আত্মীয়করণ, বংশীয়করণের মাধ্যমে মেধা এবং যোগ্যতাকে পদদলিত করে তাদের দলীয় ও অযোগ্য ব্যক্তিদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে, মেধাবী ও যোগ্য মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে ছিল। অনুরূপভাবে দলীয়করণের কারণে আজ আমাদের এলাকার অনেক মেধাবী ছাত্র ছাত্রী নিজেদের যোগ্যতা থাকা সত্বে সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পড়াশোনা শেষ করে আজ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় দারিদ্র্যের অভিশাপে শিক্ষিত যুবক যুবতীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। পূর্ন জেলার মর্যাদায় স্বীকৃতি পেয়ে ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আজ আমরা যথেষ্ট পিছিয়ে পড়েছি। শহরের রাস্তাঘাটের করুণ অবস্থা, খাবার পানি সংকট, কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকা, দরিদ্র মানুষের শিক্ষার ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে স্থায়ী সমাধান না করে, প্রতি বছর হরিলুটের কান্ড সুনামগঞ্জের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করে আমি সুনামগঞ্জের নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করছি! সর্বোপরি সুদুর প্রবাসে থাকলে ও সুনামগঞ্জের মাটি ও মানুষের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। জীবনের স্মৃতি বিজড়িত সুনামগঞ্জের মাটি আমার খ্যাতি, প্রতিটি মানুষ আমার স্বজন, প্রতিটি ঘর আমার ঘর। তাই আমার এই পরিণত বয়সে অনেক শ্রদ্ধার মুরব্বীদের অনেকেই আজ জীবিত নেই! কিন্তু তাদের চেষ্টায় আমাদের এলাকা এখন জেলায় উন্নীত হয়েছে।সেই জন্য আমরা আমাদের প্রয়াত মুরুব্বিদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আল্লাহতালার দরবারে প্রার্থনা করছি, মহান আল্লাহ পাক যেন, তাদেরকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করে নেন। আমার বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে, আমার মনে বদ্ধমূল আস্থা জন্মেছে, দলের নেতৃবৃন্দের সাথে, পরিচয়, সম্পর্ক ও আন্তরিকতার সুবাদে আপনারা যদি আমাকে সমর্থন করে আমার পক্ষে আপনাদের মতামত ব্যক্ত করেন, তবে আমি আমার এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করতে সক্ষম হবো! পরিশেষে আপনাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে, আপনাদের সদয় সহানুভূতি কামনা করছি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন- আমাদের শাপলা প্রতীক না দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। যেহেতু আইনগত বাধা নেই। যখন একটা জিনিস আমার প্রাপ্য-এনসিপির প্রাপ্য যখন সেটা দেওয়া হবে না এইটা কেমন কথা অবশ্যই স্বেচ্ছাচারী আচরণের বিরুদ্ধে আমার লড়াই করতে হবে। এনসিপির যদি প্রয়োজন হয়, এনসিপি এই লড়াইটা রাজনৈতিকভাবে রাজপথে করবে। যদি প্রয়োজন হয় বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৯৫টি উপজেলার এনসিপির অভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দ রাজপথে নেমে এই অধিকারের জন্য লড়াই করবে। আমরা শাপলা প্রতীক নিয়েই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। (২৭ অক্টোবর ২০২৫ ) সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংগঠনের জেলা সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সারজিস আলম এসব কথা বলেন। সারজিস আলম জুলাই সনদে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর নেই, সেই জুলাই সনদে অভ্যুত্থানে করে সামনের সারিতে থেকে অভ্যুত্থানকে সংগঠিত করেছে এবং নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের প্রতিনিধিত্ব করা রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর নেই, আমরা মনে করি ওই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সামগ্রিক মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। এই জুলাই অভ্যুত্থানের পরে এই জুলাই সনদ এখন পর্যন্ত অসম্পূর্ণ জুলাই সনদ। এই জুলাই সনদ দিয়ে দায়সারা ভাব নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হতে পারে না। তাদেরকে এই দায়বদ্ধতা পূরণ করে নির্বাচনের কথা চিন্তা করতে হবে।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় ডিপ্লোমেটিক এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় সাক্ষাৎপ্রার্থীদের অনুসারীসহ সেখানে না আসার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। রোববার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পাঁচ সাংগঠনিক বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাথে বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তারেক রহমান। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। রংপুর, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম বিভাগে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাথে বৈঠক করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থিতা চূড়ান্তে ৫টি জরিপ ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের প্রতিবেদনের পর দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাথে সরাসরি বৈঠক শুরু করেছেন তিনি। তারেক রহমানের সাথে এই সাক্ষাৎকার ঘিরে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের অনেকে শোডাউন করে অনেক অনুসারীসহ গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান। এতে করে কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশে নেতাকর্মীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আপনারা কেউ অনুসারীদের নিয়ে এখানে আসবেন না। এই এলাকা ডিপ্লোমেটিক জোন। তাই এখানে অহেতুক ভিড় করা যাবে না। সোমবার (২৭ অক্টোবর) একই স্থানে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাথে বৈঠক করবেন তারেক রহমান। বিএনপি অক্টোবর মাসের মধ্যেই ২০০ আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে গ্রিন সিগন্যাল (সবুজ সংকেত) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেটি দলের একটি বড় অংশ দল গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতা আহসান হাবীব মাসুদ। তিনি ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, মোটরসাইকেল শোডাউন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। স্থানীয় সূত্র বলছে, আহসান হাবীব মাসুদ দীর্ঘদিন ধরে টাঙ্গাইল সদর ও আশপাশের এলাকায় সংগঠনকে গতিশীল রাখতে কাজ করছেন। তার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত গণসংযোগ কর্মসূচি ও মানবিক কার্যক্রমে সাধারণ মানুষ ও জামায়াত সমর্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে অন্যরকম আমেজ লক্ষ্যণীয়। অন্যদিকে, এই আসনে বিএনপি ও অন্যান্য দলের প্রার্থীরাও মাঠে সক্রিয়। ফলে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বহুপ্রার্থীপূর্ণ ও প্রতীকভিত্তিক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আহসান হাবীব মাসুদের পক্ষে একটি দৃশ্যমান সংগঠনিক শক্তি গড়ে উঠলেও চূড়ান্ত সাফল্য নির্ভর করবে নির্বাচনী পরিস্থিতি, জোটসমন্বয় ও ভোটারদের মনোভাবের উপর। জামায়াতপন্থি নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা “ন্যায়ভিত্তিক পরিবর্তন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা লক্ষ্যে মাঠে নামবেন। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আহসান হাবীব মাসুদকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখা যাচ্ছে কেউ তাঁকে তরুণ নেতৃত্বের বিকল্প হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ রাজনৈতিক বাস্তবতায় তাঁর সম্ভাবনাকে সীমিত মনে করছেন। টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে এখন সবচেয়ে আলোচিত নামগুলোর একটি হয়ে উঠেছেন আহসান হাবীব মাসুদ।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্ততি হিসেবে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে সকল ওয়ার্ডের সাবেক ও বর্তমান বিএনপির নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে) সকালে শহরের জেলা ক্লাবের হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায়, প্রধান অতিথি চিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থীর বিজয়ের জন্য দলের সকল পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভোটাররা যাতে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়, সে জন্য সকল শ্রেনী-পেশার মানুষের কাছে যেতে হবে এবং তাদের ৩১ দফা অবহিত করতে হবে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়ার গড়াশিন এলাকার জাহানারা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষক সমাবেশ ও কৃষি মাঠ সেবা কর্মসূচি। শনিবার (২৫ অক্টোবর)বিকালে টাঙ্গাইলের কৃষিবিদ বৃন্দের ব্যানারে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ এস. এম. খালিদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। বিশেষ অতিথি হিসেবে করটিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কৃষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানটিতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, জেলা মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মমতাজ করিম। সমাবেশে বক্তারা বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হলে সার, বীজ ও কীটনাশকের সহজলভ্যতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি ব্যবস্থার প্রসার ঘটাতে হবে। অনুষ্ঠানের শেষে কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছের চারা এবং উন্নত জাতের বীজ ও ঔষুধ বিতরণ করা হয়। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতির ভিত্তি কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই কৃষকদের প্রতি সম্মান ও প্রণোদনা বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি এবং তাদের সর্ব্বোচ সুযোগ সুবিধা দিবে তার সাথে সহজ লভ্য হবে বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনয়নের চরপৌলী হাটে ধানের শীষে ভোট চেয়ে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের অব্যাহত রেখেছেন টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীরা। আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের হাট-বাজার, পথচারী ও ব্যবসায়ীদের মাঝে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু’র পক্ষে ভোট চেয়ে এবং ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মনিরুল হক (ভিপি মুনীর) এর নেতৃত্বে এই লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন, সদর থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ, বিদ্যুৎ শ্রমিকদল নেতা সোহেল, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি আল আমিন বাবু, ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা সোলাইমানসহ জেলা ও উপজেলা শ্রমিক দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। নেতাকর্মী বৃন্দ ভোটার এলাকা বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময় ও পথসভা করেন এবং আগামীতে টাঙ্গাইল কে একটি সুন্দর নগরি উপহার দেওয়ার আশ্বাস অভিব্যক্ত করেন।
জনগনের সার্বিক প্রত্যাশা পূরণে বিএনপি সময়োপযোগী বাস্তবিক বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সাবেক ছাত্র নেতা , সংগঠক , গবেষণা ও অনলাইন এক্টিভিটস নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মাটি মানুষের নেতা নাছিম আলী আখন্দ। তিনি আজ সকালে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার কুরিপাড়া নিজ বাসভবনে এলিট সাংবাদিক ফোরাম (ইজেএফ) এর সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে বর্তমান তৃনমুল রাজনৈতি ও বিশ্ব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন। বিশ্ব রাজনৈতির প্রভাব মুক্ত বাংলাদেশ ও করনীয় কার্যক্রমের উপর আলোচনা কালে তিনি সাংবাদিক নেতাদের জানান, বিশ্বায়নের যুগে মানুষ যখন উৎপাদন মুখী রাষ্ট্র কাঠামো সৃষ্টিতে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছে ঠিক তখনি আমাদের বাংলাদেশ তার থেকে অনেকটা পিছিয়ে আছে। দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কোন কার্যক্রমে হাতে নিচ্ছে না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে অর্থনীতি, এর প্রভাব পড়ছে তৃণমূলে। রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্য থাকবে হবে বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তিনি ৩৬ জুলাই চব্বিশের গণঅভ্যর্থনের শহীদের স্মরণ করে বলেন, যারা এদেশকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত করেছে তাদের অবদানকে সামনে রেখে তার সাথে ফ্যাসিস্ট দ্বারা নির্যাতিতদের ত্যাগকে মনে রেখে দেশকে সাজাতে হবে নতুন করে। আগামী দিনের বাংলাদেশ বিনির্মানে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত করে সমাজের অধিকতর জ্ঞানী, সৎ, দক্ষ , সৃজনশীল, আলোকিত ও দেশপ্রেমিক নাগরিকদের সমন্বয়ে কর্মকৌশল প্রনয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন । এবং এজন্য তিনি আগামী দিনে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সকলের সারথি হতে চায়
*জনগণের মন জয়েই নেতৃত্বের সার্থকতা: রামনগর মোড়ে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের গণসংযোগ* মোঃ আইনুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি, দিনাজপুর। বল প্রয়োগ ছাড়াই জনগণকে একটি নির্দিষ্ট পথে পরিচালিত করার ক্ষমতাই প্রকৃত নেতৃত্বের পরিচয়—এই দর্শনকে সামনে রেখে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১ নং ওয়ার্ডের রামনগর মোড়ে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দিনাজপুর সদর-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, পরপর তিনবারের নির্বাচিত সফল মেয়র ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সম্মানিত সদস্য *সৈয়দ_জাহাঙ্গীর_আলম* উপস্থিত থেকে এলাকার জনগণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। গণসংযোগে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের প্রতি গভীর আস্থা ও সমর্থন প্রকাশ করেন। এলাকাবাসীর মতে, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ এই জনপ্রতিনিধিই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হবেন। মোঃ আইনুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি, দিনাজপুর।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
টাংগাইলের সখিপুরে বিভিন্ন কসমেটিক এবং নিত্য প্রয়োজনীয় প্রসাধনীর দোকানগুলোতে এক যোগে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ০৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সখিপুর উপজেলার সখিপুর বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল কর্তৃক পরিচালিত এক অভিযানে অবৈধ ও নিষিদ্ধ প্রসাধন সামগ্রী বিক্রয়ের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এক প্রতিষ্ঠানকে ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক নকল প্রসাধন সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত ভাবে মনিটরিং করবে ।জনস্বার্থে সমগ্র জেলায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে ।