টাঙ্গাইলের সোনামুই উত্তরপাড়া এলাকায় নবনির্মিত জামে মসজিদের শুভ উদ্বোধন সম্পন্ন হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু। অনুষ্ঠানে স্থানীয় মুসল্লি, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর। এই ভিডিওতে দেখুন উদ্বোধনের সম্পূর্ণ মুহূর্ত, বক্তব্য এবং এলাকাবাসীর অনুভূতি। নতুন এই মসজিদটি স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করবে এবং ধর্মীয় শিক্ষা, সামাজিক ঐক্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করবেন। চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকুন।
গতকাল ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর–কলমাকান্দা) আসনে বিএনপির বিশাল স্বাগত মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গাপুর শহর প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া এই মিছিল শহরকে উৎসবমুখর করে তোলে। মিছিলের নেতৃত্ব দেন আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন মাস্টার, উপস্থিত ছিলেন আতাউর রহমান ফরিদ, হারেজ গনি, রিয়াজুল করিম, এস এম কাইয়ুম, আবু সিদ্দিক রুক্কু এবং আল ইমরান সম্রাট গনি। দুর্গাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী এবং হাজারো জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। মিছিলজুড়ে ভেসে ওঠে স্লোগান: পরিবর্তনের ডাক, ধানের শীষের পক্ষ!
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী গুরুতরভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। ঘটনা ঘটে শুক্রবার জুমার নামাজের পর, রাজধানীর পল্টন এলাকায়। দুর্বৃত্তরা সরাসরি তার মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে হাদী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, "যেহেতু ঢাকা-৮ এ আমার পোস্টার-ফেস্টুন কিছুই নাই, তাই আমার এখন ছেঁড়া-ছিঁড়িরও চাপ নাই। দুদকের সামনে থেইকা জুম্মা মোবারক।" পরে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইনকিলাব মঞ্চের সমন্বয়ক এবং জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী, তিনি জানান, হাদীর মাথা লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক বাংলাভিশনকে জানান, হাদী বিজয় নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে, যা স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে হামলার সময় হাদী কোথায় অবস্থান করছিলেন এবং দুর্বৃত্তরা কিভাবে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
টাঙ্গাইল, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহ—এই চার জেলার ২৫টি উপজেলা থেকে মোট ৮ হাজার শিশু শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে এবারের নূরানী স্কলারশিপ বৃত্তি পরীক্ষায়। টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারও ধাপে ধাপে বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ বৃত্তি পরীক্ষা। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) গোপালপুরের দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৭০০ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। এর আগে ভূঞাপুর, কালিহাতী, ঘাটাইল, মধুপুর, ধনবাড়ী এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বৃত্তি পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। হেরাল মডেল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান তালুকদার বলেন, “টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপ বৃত্তি পরীক্ষা নূরানী শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য বয়ে আনবে। এটি বাচ্চাদের পড়ার গতি ও মনোযোগ বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে।” গোহাটা মসজিদের ইমাম ও ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা মুফতি নাজির সিদ্দিকী বলেন, “নূরানী শিক্ষা শিশুদের প্রাথমিক ও ভিত্তিমূলক শিক্ষা। আরবি হরফ ও বাংলা বর্ণের সাথে পরিচয়ের প্রথম ধাপ এটি। তাই শিশুদের চরিত্র গঠন ও নৈতিক শিক্ষায় এর ভূমিকা অনন্য।” ফাউন্ডেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন উপজেলার জিম্মাদাররাও পরীক্ষা পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ঘাটাইল উপজেলা জিম্মাদার মুফতি আব্দুর রশিদ বলেন, “এ ধরনের বৃত্তি পরীক্ষা শিশুদের মাঝে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করে এবং তাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ায়।” মাওলানা জুবায়ের বলেন, “শিশুরা সারা বছর যে পরিশ্রম করে, এই পরীক্ষার মাধ্যমে তার সঠিক মূল্যায়ন হয়। অভিভাবকদের মধ্যেও সচেতনতা বাড়ে।” মধুপুর উপজেলা জিম্মাদার মাওলানা ইবরাহিম খলিল জানান, “নূরানী শিক্ষার প্রসারের জন্য ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ছোট বাচ্চাদের শিক্ষাজীবনে এটি বড় উৎসাহের সৃষ্টি করে।” গোপালপুর উপজেলা জিম্মাদার মাওলানা নোমান আহমেদ বলেন, “প্রতিটি কেন্দ্রেই অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা ছিল প্রশংসনীয়।” অভিভাবকরা জানান, নূরানী স্কলারশিপ পরীক্ষা শিশুদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ায় এবং সারা বছরের শেখার মূল্যায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখে। মাদরাসার শিক্ষকরা বলেন, “এটি শুধু বৃত্তি পরীক্ষা নয়, বরং শিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রতিযোগিতা সৃষ্টি এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। একই সাথে ধর্মীয় শিক্ষায় শিশুদের আগ্রহ বাড়ে।” টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ মাহদী হাসান শিবলী জানান, “২০১৭ সাল থেকে এ বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে। উত্তীর্ণ মেধাবীদের বাইসাইকেল, শিক্ষা উপকরণ, সম্মাননা ক্রেস্টসহ নানা পুরস্কার দেওয়া হয়। পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদেরও সম্মাননা প্রদান করা হয়। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।” সংশ্লিষ্টদের বিশ্বাস, নূরানী শিক্ষার বিস্তারে এ ধরনের উদ্যোগ শিশুদের শিক্ষাজীবনকে আরও উৎসাহিত করবে এবং আলোর পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে
নেত্রকোনা–১ (দুর্গাপুর–কলমাকান্দা) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ঘোষণা দিয়েছেন—তারেক রহমানের নেতৃত্বে কৃষিতে আসছে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন। নাজিরপুর ঈদগাহ মাঠে হাজারো কৃষকের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো বৃহত্তম কৃষিকেন্দ্রিক সমাবেশ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর, আর কৃষকের সমস্যা সমাধানই হবে বিএনপির প্রথম কাজ। আধুনিক সেচব্যবস্থা, খাল খনন, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণসহ কৃষকের জীবন বদলে দেওয়ার মতো বড় উদ্যোগের ঘোষণা দেন তিনি। সমাবেশে কৃষি বিশেষজ্ঞরা তুলে ধরেন বীজমান উন্নয়ন, মাটির স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, বাজারব্যবস্থা এবং উৎপাদন বৃদ্ধির দিকনির্দেশনা। দুর্গাপুর–কলমাকান্দার কৃষিকে ‘এই এলাকার মানুষের জীবনরেখা’ উল্লেখ করে কৃষকদের উন্নয়নে বিএনপির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর আনন্দে মিষ্টি বিতরণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই থেকে আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় জানাজানি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোমবার দুপুরে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ ইমাম হাসান আবুঁচানের নেতৃত্বে প্রায় একশ মোটরসাইকেল নিয়ে বিশাল আনন্দ মিছিল বের হয়। পরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ধারাবাহিকভাবে খণ্ড খণ্ড মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ইমাম হাসান আবুঁচান বলেন, দীর্ঘ সতেরো বছর শেখ হাসিনা গুম, খুন ও নির্যাতনের রাজনীতি চালিয়েছে। আজকের রায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের জয় প্রমাণ করেছে। তাই আমরা আনন্দ মিছিল করেছি এবং মিষ্টি বিতরণ করেছি। একই রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, যিনি পরে রাষ্ট্রপক্ষের রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন এবং নিজের দায় স্বীকার করেন, তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
১৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত এ সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণমানুষের অধিকার ও শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য দাবি আদায়ে সংগঠনের করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি জননেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, "গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তির বিকল্প নেই। শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে নেতাকর্মীদের আরও সক্রিয় হতে হবে।" সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল রেজা মামুন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়াল মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রফিকুল ইসলাম বাবলু, জননেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শেখ আব্দুর নুর, মাহমুদুল হাসান পিপলু ও বন্নিশিখা জামালী। বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে রাজনৈতিক সচেতনতা ও সংগঠনের ভূমিকা আরও জোরদার করতে হবে। সভায় টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তব্য পর্ব শেষে সংগঠনকে আরও সুসংগঠিত করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
নেত্রকোণা-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার কায়সার কামালের পক্ষে দুর্গাপুরে বিশাল মিছিল ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝানজাইল এলাকায় উপজেলা ও ইউনিয়ন যুবদলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম মুজিবুর রহমান মুজিব ৩১ দফা জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরেন ও ভোট প্রার্থনা করেন।
শনিবার ১৫ নভেম্বর বিকেলে সল্লা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই এলাকায় দেখা যায় কর্মী–সমর্থকদের ব্যাপক সমাগম। ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় পতাকা, ব্যানার আর স্লোগানে মুখর হয়ে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে মাঠে এসে জড়ো হন। মুহূর্তেই পুরো এলাকা রূপ নেয় এক মিলনমেলায়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জননেতা বেনজীর আহমেদ টিটো। তার বক্তব্যে তিনি বলেন— বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক সংগঠনের নাম নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন, অধিকার আর গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামী শক্তি। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে যে আন্দোলন চলছে, সে আন্দোলনের সাহস আসে তৃণমূল থেকে। তিনি বলেন, যেখানে যাই না কেন, কালিহাতীর মানুষের ভালোবাসা তাকে টেনে আনে। তার ভাষায়, কালিহাতী তার প্রাণ—এই এলাকার মানুষের শক্তিই তাকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখায়। তিনি আরো বলেন— যাই বাধা আসুক, জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম থেকে বিএনপি পিছিয়ে যাবে না। চাপ, ভয়, দমন-পীড়ন— কিছুই তাদের পথ থেকে সরাতে পারবে না। তৃণমূলের ঐক্যই সবচেয়ে বড় শক্তি, তাই সবাইকে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম শোভা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম— ভিপি রফিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মজনু মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুর রহমান বালা ও শামীম প্রামাণিক, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান লেলিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মোল্লা এবং ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হাসমত আলী রেজা। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কালিহাতী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওয়াদুদ তৌহিদ, এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারন অর রশিদ মিনু, পাইকরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুস ছাত্তার পলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আতোয়ার রহমান তালুকদার লিটনসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের অসংখ্য নেতা-কর্মী। বক্তারা বলেন— দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে আর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে তৃণমূল থেকেই শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বর্ধিত সভা শেষে নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্যম ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সল্লা ইউনিয়নের এই বর্ধিত সভা ভবিষ্যতের আন্দোলন, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং তৃণমূলকে আরও সুসংহত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।
আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলে সবার আগে গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়ন করবো বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্ল্যাহ বুলু। তিনি আজ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ১২নং কতুবপুর ইউনিয়ন ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন। এসময় প্রধান সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ। এছাড়াও অন্যান্য গুনীজন সামাজিক ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংগঠনের উপদেষ্টা মোঃ হানিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্ভোধক চৌমুহনী ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক সোহেল। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সানিমা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন। সংগঠনের সেক্রেটারি আবুল হোসেন সঞ্চালনায় ও যুগ্ম সম্পাদক জমিদারহাট রেডিয়ান্ট রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান এম.এ হাসান এর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেয় যুগ্ম সম্পাদক বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক জাতীয় নিশান পত্রিকার সম্পাদক ইয়াকুব নবী ইমন। নোয়াখালী জেলা সমিতির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মানিক সহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ স্কুলের শিক্ষকগন, অভিভাবকবৃন্দ, ছাত্রছাত্রী প্রিন্ট ও সাংবাদিকবৃন্দ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সরকারি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই হাজার পঁচিশ-ছাব্বিশ অর্থবছরের রবি মৌসুমে মোট আট শত দশ জন কৃষক এই সহায়তা পেয়েছেন। এর মধ্যে সরিষা, গম, খেসারী, মসুর, মুগ, সয়াবিন, চিনাবাদাম ও সূর্যমুখী চাষিরা রয়েছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান। সরকারের এই উদ্যোগ কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় করবে। 🎤 প্রতিবেদক: সাইফুল ইসলাম, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি 📺 প্রকাশনায়: মুক্তধ্বনি নিউজ
বুয়েটে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর দ্রুত শাস্তির দাবি জানায়। শিক্ষার্থীরা জানান, অভিযোগের পর অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বুয়েট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা সোচ্চার ভূমিকা রাখছে, এবং প্রশাসনও এসব ঘটনায় কঠোর অবস্থান নিচ্ছে।
মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা থেকে চার শহীদের স্মরণে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বিরিশিরি জিবিসি মাঠে এ খেলা উদ্বোধন করেন উপজেলা বিএনপি‘র সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন মাস্টার। কেন্দ্রীয় বিএনপি‘র আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সার্বিক ব্যবস্থাপনায়, সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে উদ্বোধনী ম্যাচের মুখোমুখি হয় দুর্গাপুর ইউনিয়ন একাদশ বনাম বাকলজোড়া ইউনিয়ন একাদশ। নির্ধারিত সময়ে গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে জয় লাভ করে বাকলজোড়া ইউনিয়ন একাদশ। এ সময় উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ হাজারো ফুটবল প্রেমীদর্শক উপস্থিত ছিলেন। নকআউট সিষ্টেম অংশগ্রহনমুলক এই খেলা চলবে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। পরবর্তিতে সেমিফাইনাল এবং পরবর্তিতে ফাইনাল খেলার মধ্যদিয়ে এ খেলা শেষ হবে। বিএনপি‘র নেতাকর্মীরা জানান, দুর্গাপুরের ৪ শহীদ উমর ফারুক, জাকির হোসেন, সাইফুল ইসলাম সেকুল ও মাসুম বিল্লাহর আত্মত্যাগকে স্মরণ করে এবং সমাজ থেকে মাদক কে চিরতরে বিতারিত করতে, তরুণ প্রজন্মের মাঝে খেলাধুলার চেতনা জাগিয়ে তুলতেই এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল
আজ সোমবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করে সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অফিস ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তর। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন— সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রাজেশ সিংহ মিথুন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মোশারফ হোসেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার শতাব্দী ভট্টাচার্য এবং ইউনিসেফের প্রতিনিধি তানভীরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি সমর কুমার পাল তাঁর বক্তব্যে বলেন— টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে সরকারের ইপিআই কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে, যা চলবে সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলায়। তিনি আরও জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। তিনি সবাইকে দূষিত পানি ও খাবার থেকে বিরত থাকা, উন্নত স্যানিটেশন ব্যবহার এবং টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নিতে আহ্বান জানান।
হেমনগর রেলক্রসিং সংলগ্ন তারেক জিয়া ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অতীতে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত কিন্তু বর্তমানে বিএনপি নামধারী কিছু সন্ত্রাসী এই হামলার সঙ্গে জড়িত। ঘটনায় উদ্যমপুর বর্ণী গ্রামের কয়েকজন সাধারণ মানুষ হামলার শিকার হন। তাদের অভিযোগ—এই সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। শুক্রবার সকালে হামলার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। পরে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন, যেখানে তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এসময় বক্তারা বলেন, তারেক জিয়া ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে সমাজসেবা, দুঃস্থদের সহায়তা ও শিক্ষা কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে আসছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে এ প্রতিষ্ঠান আজ হামলার শিকার হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জননেতা এডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু সাহেব। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন এবং গ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করেন যে, এই হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হবে। পিন্টু সাহেব বলেন, "যে-ই অপরাধ করুক না কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।" বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-২ গোপালপুর–ভূঞাপুর আসনে নির্বাচনী প্রচারণা জোরদার করছে রাজনৈতিক দলগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে গোপালপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা। শনিবার সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় সুতী ভি.এম. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। এতে অংশ নেন তিন শতাধিক মোটরসাইকেলে আসা দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় সমর্থকরা। শোভাযাত্রাটি গোপালপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পথে পথে মাওলানা হুমায়ুন কবির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তাঁর উন্নয়ন ভাবনা ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার তুলে ধরেন। আয়োজকরা জানান, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে আয়োজিত এই শোভাযাত্রা স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং এলাকায় নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ড. মো. আতাউর রহমান, উপজেলা জামায়াত আমির মো. হাবিবুর রহমান তালুকদার, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল মান্নান, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক উবায়দুল্লাহ, এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার বাস্তবায়ন ও ধানের শীষের পক্ষে এবং সুনাসমগঞ্জ-৪ আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এড.নুরুল ইসলাম নুরুলকে প্রার্থী করার দাবিতে জেলা মহিলা বিএনপির হাজাঁরো হাজাঁরো নারীদের উপস্থিতিতে স্মরণকালের মহা-নারীসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সদর,পৌরসভা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সকল ধর্মের নারীদের খন্ড খন্ড মিছিলে নারীদের উপস্থিতিতে বাসস্ট্রেশন এলাকায় তিল ধারনের ঠাই মিলেনি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি মহিলা দল সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে শহরের পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি মহিলা দল সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি লুঃফা আনোয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট হাফেজা ফেরদৌস লিপনের সঞ্চালনায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আকবর আলী,এড. শেরেনুর আলী,মোঃ রেজাউল হক,আবুল কালাম আজাদ,মোঃ ফুল মিয়া,জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি সুহেল আহমদ জেলা মহিলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খাদিজা কলি,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রুমি বেগম,রুনা আক্তার,প্রচার সম্পাদক মণিরা আক্তার লিজা,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মুনাজ্জির হোসেন,সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম,জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক তফাজ্জল হোসেন,মমিনুল হক কালারচাঁন,সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজুসহ জেলা,উপজেলা বিএনপি,যুবদল মহিলা দল স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দরা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল বলেছেন,বিএনপির চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সকল ধর্মের মানুষের সমধিকার প্রতিষ্ঠা করে নারীদেও শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে বিএনপির সরকার কাজ করেছে। আর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন বিএনপি জনজনের ভোটে আগামীতে ক্ষমতায় আসলে দেশে সকল নারীদের জন্য ফ্যামিলি কার্ড কওে দিবেন এবং বয়স্ক ও বৃদ্ধ নারীদের বিধবা ভাতা বয়স্কভাতা সহ সকল ধরনের সুযোগ করে দিতে দেশের জনগনের মাঝে আমরা বিএনপির কর্মী হিসেব ৩১ দফা কার্যক্রমের লিফলেট বিতরণ করছি। তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে উপস্থিত হাজাঁরো নারী সমাজের প্রতি আহবান জানান। পরে নারীদের একটি মিছিল বিশাল মিছিল পুরাতন বাসস্ট্রেশন থেকে শুরু শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাসস্ট্রেশনে এসে শেষ হয়। ## ভিডিও নিউজ স্ক্রিপ্ট লিখুন
নেত্রকোণার দুর্গাপুর-শিবগঞ্জ সোমেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত হবে একটি নতুন কাঠের সেতু — বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে। এরই অংশ হিসেবে, বুধবার সকাল ১১টায় শুরু হয় পুরনো ও পরিত্যক্ত বাঁশ-কাঠ উঠানোর কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে অংশ নেন উপজেলা ও পৌর যুবদলের নেতাকর্মীরা। উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ জিন্নাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দীন মাস্টারসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুর-শিবগঞ্জ এলাকার মানুষ একটি স্থায়ী সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ছিলেন। গেলো বন্যায় পুরনো কাঠের সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, এবছর পুনরায় শুরু হচ্ছে দুইশো মিটার দীর্ঘ নতুন কাঠের সেতুর নির্মাণকাজ। প্রায় পনেরো লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুটি সম্পূর্ণ হলে রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, এমনকি ছোট গাড়িও সহজে চলাচল করতে পারবে। জনগণের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘবে এই উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে অনুষ্ঠিত হলো প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ বৃত্তি–২০২৪ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকরা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম বলেন — “প্রতিটি শিশুর মধ্যেই অসীম সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে। সঠিক শিক্ষা ও অনুপ্রেরণার মাধ্যমে তারা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।” অন্যদিকে, কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন — “বৃত্তি শুধু পুরস্কার নয়, এটি শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। সততা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমেই তারা সমাজে নেতৃত্ব দিতে পারবে।” অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বৃত্তি পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও সাংবাদিক সৈয়দ মহসীন হাবীব সবুজ, সভাপতিত্ব করেন বৃত্তি পরিচালক কাশেম মিয়া, এবং আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুল আলম ভুঁইয়া। শেষে অতিথিরা বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে স্মারকফলক ও সনদপত্র তুলে দেন। পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের মুখে ছিল উচ্ছ্বাসের হাসি।
আগামী ২৪ অক্টোবর নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷ এই নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন মো: ওসমান গণি। তিনি নির্বাচনী গণসংযোগে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিদিন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন,ভোট চাইছেন। নির্বাচনী মাঠে ভোটারদের মধ্যে সাড়া ফেলেছেন তিনি। সোমবার নির্বাচনী মাঠ ঘুরে দেখা যায় ইতোমধ্যে শ্রমিক ইউনিয়নের এই নির্বাচন ঘিরে শ্রমিকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। শ্রমিকরা বলছেন তারা শ্রমিকবান্ধব আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে চান। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী ওসমান গণি নির্বাচনী মাঠে গণসংযোগকালে ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তিনি বলছেন,নির্বাচিত হতে পারলে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে তিনি সর্বদা সোচ্চার থাকবেন এবং নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করবেন। এছাড়া শ্রমিক ইউনিয়নকে তিনি ঢেলে সাজাবেন। তিনি বলেন, সভাপতি হতে পারলে শ্রমিকদের জন্য একটি এম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা করবেন। এই নির্বাচন নিয়ে শ্রমিকরা বলেন,সৎ,যোগ্য,মেধাবী এবং পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্বকেই তারা নির্বাচিত করবেন। ভোটের লড়াইয়ে নানা প্রতিশ্রুতি আর গণসংযোগ ঘিরে শ্রমিকদের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। সবাই আশা করছেন একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে ভিডিও নিউজ ভয়েসওভার লিখুন
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সারাদেশের মতোই শুরু হয়েছে টাইফয়েড টিকা প্রদান কর্মসূচি। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু ও প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে এই টিকা। রবিবার সকালে ২নং গোপালপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উদ্বোধন করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হাসান খায়ের চৌধুরী। তিনি বলেন—টাইফয়েড একটি জটিল ও প্রাণঘাতী রোগ, শিশুদের সুরক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। 📅 এই টিকা ক্যাম্পেইন চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। 🎥 প্রতিবেদন: সাইফুল ইসলাম, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি 🔔 আরও নিউজ দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MuktoDhoni News #টাইফয়েড_টিকা #বেগমগঞ্জ #নোয়াখালী #স্বাস্থ্য_সেবা #MuktoDhoni #BangladeshHealth #TyphoidVaccine #HealthCampaign #বাংলাদেশ #NewsReport #Typhoid #HealthAwareness
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।