সারা দেশ

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযমের মোবাইল অডিও ফাঁস।। বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকের থানায় জিডি

reporter-icon
নাদিম তালুকদার: স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
নভেম্বর ২৩, ২০২৫ | 0
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযমের মোবাইল অডিও ফাঁস।। বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকের থানায় জিডি
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযমের মোবাইল অডিও ফাঁস।। বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকের থানায় জিডি
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খানের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তাঁর বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মণ্ডলকে মারধর করার হুমকি এবং আপত্তিকর ভাষায় কথা বলার অভিযোগ উঠেছে। তবে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খান ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ওই অডিও এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডলের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায়। তিনি ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডল জানান, গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে আহমেদ আযম খান তাঁকে ফোন করেন। তাঁদের কথোপকথন হয় ৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড। সেই কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডল বলেন, আহমেদ আযম খান আমাকে ফোন করে গালাগাল করেছেন। পিঠের চামড়া থাকবে না বলে হুমকি দিয়েছেন। তিনি আমার সঙ্গে যেভাবে কথা বলেছেন, তার হুবহু রেকর্ডের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই অডিওতে বিএনপির মনোনিত এমপি প্রার্থী আহমেদ আযম খান বলেন, আপনি আমার নির্বাচনী এলাকায় কমিটি করবেন, আর আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না? আপনার বাড়ি কোথায়? আপনার সিএস আরএস কী। আপনি আমার নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত করবেন, এটা করতে দেওয়া হবে না। খামোশ। আপনার পিঠের চামড়া থাকবে না। কীভাবে আপনি বাসাইল আসেন, দেখব। ফাজিলের বাচ্চা। তিনি আরও বলেন, আপনি কি একা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন? আর কেউ করে নাই? ফাইজলামি পাইছেন। মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পকেটে নিয়ে আইসেন। মুক্তিযোদ্ধার সভাপতি হয়ে দুর্নীতি করছেন। টাকার লোভে পাইছে। টাকার লোভ আপনাকে খাইয়ে দেব, আপনার পিঠের চামড়া থাকবে না, একেবারে খাইয়ে দেব। ফাজিলের বাচ্চা, তোর সাথে আবার কিসের শ্লালিনতা রে, আমি তোকে দেখব। হুমকি দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খান বলেন, আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি, তবে কোনো হুমকি দিইনি। অডিওতে এআই ব্যবহার করে অন্য রকম করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে উপর্যুপরি চক্রান্ত করছে। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে অডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সখীপুর-বাসাইল আমার নির্বাচনী এলাকা। খালেক মণ্ডল আমার সঙ্গে কথা না বলে তাঁর ব্যক্তিগত লোকজনকে দিয়ে ইউনিয়ন কমিটি দিয়েছেন। তাঁরা আমার নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত ও আমার ইমেজ নষ্ট করতে অডিও এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আমি অপেক্ষা করছি। আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডল বলেন, ওই অডিও স্পষ্ট। এখানে কোনো এআই ব্যবহার করা হয়নি। তিনি টাঙ্গাইল সদর থানায় অনলাইনে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড থেকে তাঁকে মামলা করতে বলা হয়েছে। তিনি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার  বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।  এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক  ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ,  বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।

টাঙ্গাইল শহরের গৌরঘোষ দধি ভাণ্ডারে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা

(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

সারা দেশ

আরও পড়ুন
টাঙ্গাইল জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা

সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইল জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা। অত্যন্ত আন্তরিক ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পুলিশ, টাঙ্গাইল-এর আয়োজনে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার। অনুষ্ঠানে তিনি বিদায়ী অফিসার ইনচার্জদের দীর্ঘদিনের নিষ্ঠাপূর্ণ দায়িত্বপালনের প্রশংসা করেন এবং তাঁদের প্রতিটি থানায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসেবা, মানবিক আচরণ ও পেশাদারিত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বিদায়ী ওসিদের স্মৃতিচারণে বক্তারা বলেন, তাঁরা দায়িত্ব পালনকালে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও ধৈর্য, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। নানা গুরুত্বপূর্ণ অভিযান, অপরাধ দমন, অপরাধ তদন্তসহ থানা পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান জেলার পুলিশ প্রশাসনকে আরও শক্তিশালী করেছে। এসময় পুলিশ সুপার তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন— “জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ দায়িত্ব পালনকালে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রতিটি থানায় তাঁদের নেতৃত্বে জননিরাপত্তা রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা সহজ হয়েছে। তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবন ও কর্মজীবনের সফলতা কামনা করছি।” অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিদায়ী কর্মকর্তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন পুলিশ সুপার। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, একজন ওসির ভূমিকা শুধু প্রশাসনিক দায়িত্বে সীমাবদ্ধ নয়; বরং একজন নেতৃত্বদাতা হিসেবে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে টাঙ্গাইল জেলার সকল থানা’র নবাগত অফিসার ইনচার্জদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান পুলিশ সুপার জনাব শামসুল আলম সরকার। তিনি নবাগতদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনকালে সততা, মানবিকতা, সেবা ও শৃঙ্খলার মূলনীতি বজায় রেখে জনগণের আস্থা অর্জন করাই হবে তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা, থানার প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বিদায়ী অফিসারদের বিদায় ও নবাগত ওসিদের জন্য শুভকামনা জানিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কের কাজ দ্রুত শেষের দাবিতে নাগরপুরে মানববন্ধন

টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কের কাজ দ্রুত শেষের দাবিতে নাগরপুরে মানববন্ধন

টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ শামসুল আলমের সাথে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের বৈঠক

কালিহাতীতে খেজুরের রস খেতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত

টাঙ্গাইলের কাঁচা বাজারে ভোজ্যতেল–পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, কমেছে সবজি ও ডিমের দাম
টাঙ্গাইলের কাঁচা বাজারে ভোজ্যতেল–পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, কমেছে সবজি ও ডিমের দাম

টাঙ্গাইলে নিত্যপণ্যের বাজারে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে গেলেও কমেছে সবজি, ডাল ও ডিমের দাম। চাল, আটা, চিনি ও মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে দেশীয় মাছের দাম বেড়ে গিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে। শনিবার (৬ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের পার্ক বাজার, সিটি বাজার, ছয়আনি বাজার, আমিন বাজার ও সন্তোষ বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সরকারি ঘোষণা ছাড়া প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ৫ লিটারের বোতলের দাম বেড়েছে ৪৩ টাকা এবং ২ লিটারের দাম বেড়েছে ১৮ টাকা। এখন দুই লিটারের বোতল বা ক্যান বিক্রি হচ্ছে ৩৭৫–৩৯৬ টাকায়। হঠাৎ এই মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পেঁয়াজের বাজারেও উত্তাপ বেড়েছে। আমদানি না হওয়া এবং সরবরাহ সংকটকে কারণ দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা পুরোনো পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০–৩০ টাকা বাড়িয়েছেন। বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০–১৪০ টাকায়। স্থানীয় পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান,“এই মুহূর্তে বাজারে নতুন পাতাসহ পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে, তবে সরবরাহ খুবই কম। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে।” বর্তমানে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭০–৮০ টাকায়।অন্যদিকে, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করায় বেশ কয়েকটি সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও টমেটোর দামে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে। লম্বা বেগুন: ৮০–১০০ টাকা থেকে কমে ৭০–৮০ টাকা,গোল বেগুন: ১২০ টাকা থেকে কমে ৮০–৯০ টাকা,সবুজ শিম: ৮০ টাকা থেকে কমে ৫৫–৬০ টাকা,রঙিন শিম: ১০০–১২০ টাকা থেকে কমে ৭০–৮০ টাকা,ফুলকপি (মাঝারি): ৫০–৬০ টাকা থেকে কমে ৪০–৪৫ টাকা,বাঁধাকপি: ৪০–৫০ টাকা থেকে কমে ৩০–৩৫ টাকা,টমেটো: ১২০–১৪০ টাকা থেকে কমে ৮০–১০০ টাকা,ডিমের দাম কমায় সাধারণ ক্রেতাদের স্বস্তি ফিরে এসেছে,ব্রয়লার মুরগি (কেজি): ১৫০–১৭০ টাকা বাজারে দেশীয় মাছের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি; বরং বেশকিছু মাছের দাম বেড়েছে। রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাঙ্গাসসহ বেশিরভাগ মাছই ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় ক্রেতাদের অভিযোগ—মুসলিম শীত মৌসুম শুরুর আগে থেকেই মাছের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ,তেল ও পেঁয়াজের দাম বাড়ায় তাদের বাজার খরচ বেড়েছে।সরকারিভাবে মূল্যতালিকা কঠোরভাবে কার্যকর না হওয়ায় অনেক দোকানে এক দোকানের সঙ্গে আরেক দোকানের দাম মিলছে না। সবজি ও ডিমের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি মিললেও মাছ–তেল–পেঁয়াজের বাজার তাদের চাপে ফেলছে অনেকেই মনে করছেন, বাজারে মনিটরিং জোরদার করা না হলে আগামী সপ্তাহে আরও কিছু নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে পারে।

ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ 0
“প্রত্যেকটি অবদানই গুরুত্বপূর্ণ”— এই প্রতিপাদ্যে ঘাটাইলে উৎসবমুখর স্বেচ্ছাসেবক দিবস পালন

“প্রত্যেকটি অবদানই গুরুত্বপূর্ণ”— এই প্রতিপাদ্যে ঘাটাইলে উৎসবমুখর স্বেচ্ছাসেবক দিবস পালন

বেগম খালেদা জিয়া শুধু রাজনৈতিক নেত্রী নন, তিনি বাংলাদেশের মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতীক-সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

বেগম খালেদা জিয়া শুধু রাজনৈতিক নেত্রী নন, তিনি বাংলাদেশের মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতীক-সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

টাঙ্গাইলে ডি-ম্যাবের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

টাঙ্গাইলে ডি-ম্যাবের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ৮ ইউনিয়নের ২৪০ জনকে চিকিৎসাসেবা ও শীতবস্ত্র দিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ৮ ইউনিয়নের ২৪০ জনকে চিকিৎসাসেবা ও শীতবস্ত্র দিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের আয়োজনে উপজেলার দেওলী ইউনিয়নের চকতৈল এ.কে. আব্দুস সালাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী এ সেবা প্রদান করা হয়। দেলদুয়ার উপজেলার মোট ৮টি ইউনিয়ন থেকে প্রতিটি ইউনিয়নের ৩০ জন করে মোট ২৪০ জন নারী-পুরুষ এ ক্যাম্পে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সকালে নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর রোগীদের প্রথমে দন্ত চিকিৎসা, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ সরবরাহ করা হয়। পরে তাদের হাতে শীতবস্ত্র (কম্বল) তুলে দেওয়া হয়। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯৮ কম্পোজিট ব্রিগেড ও ১১ আর.ই ব্যাটালিয়ন। দিনব্যাপী সেবা কার্যক্রম তদারকি করেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাসের, ১৯ পদাতিক ডিভিশন মেজর হাফেজ, মির্জাপুর উপজেলা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর শাহিন, নাগরপুরের সাবেক ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাসুদ, বর্তমান ক্যাম্প কমান্ডার।তারা বলেন, শীতের মৌসুমে আর্থিকভাবে সামর্থ্যহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় মানবিক ভূমিকা পালন করে আসছে। সমাজের মানুষের কল্যাণে এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। ক্যাম্পে আসা অনেকেই সেনাবাহিনীর এই মানবিক কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সেবা গ্রহণকারীরা বলেন,“দূরে হাসপাতালে না গিয়ে গ্রামের কাছেই বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়া আমাদের জন্য অনেক স্বস্তির।"অনেকে দন্ত চিকিৎসায় উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি শীতবস্ত্র পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। দিনব্যাপী ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ, বয়স্ক ও শিশুরা স্কুল মাঠে উপস্থিত হয়ে সেবা গ্রহণ করেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে রোগীদের চিকিৎসা, পরীক্ষা ও শীতবস্ত্র বিতরণের ব্যবস্থা করেন। সেনা কর্মকর্তারা জানান, উন্নত চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তাদের মূল লক্ষ্য। দেলদুয়ার, নাগরপুর, সখীপুরসহ আশপাশের উপজেলাতেও পর্যায়ক্রমে এমন সেবা কার্যক্রম চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ডিসেম্বর ৫, ২০২৫ 0
আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা, জনদুর্ভোগ চরমে

আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা, জনদুর্ভোগ চরমে

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে প্রাথমিক শিক্ষকদের দিনব্যাপী কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালিত

টাঙ্গাইল-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন আলমগীরের পক্ষ থেকে ৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ, মানবিক উদ্যোগে প্রশংসার ঝড়

টাঙ্গাইল-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন আলমগীরের পক্ষ থেকে ৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ, মানবিক উদ্যোগে প্রশংসার ঝড়

0 মন্তব্য