রাজনীতি

টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশাকে ঘিরে তিন প্রার্থীর বিরামহীন শোডাউন

reporter-icon
নাদিম তালুকদার: স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
নভেম্বর ১৬, ২০২৫ | 0
বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশাকে ঘিরে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন এখন এক প্রাণচঞ্চল রাজনৈতিক শহরে পরিনত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন সকাল-বিকাল ও রাতে মিছিল, শোভাযাত্রা, পথসভা আর মোটরসাইকেল শোডাউনে সরব হয়ে উঠেছে পুরো সদর উপজেলা। ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুনে ঢেকে গেছে রাস্তাঘাট, মোড়, দোকানের ছাউনি, এমনকি গৃহস্থ বাড়ির দেয়ালও। স্থানীয়দের ভাষায়- ‘টাঙ্গাইল এখন সভা ও মিছিলের শহর’। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল। এ তিন নেতার পক্ষেই প্রতিদিন শহরজুড়ে চলছে কর্মী-সমর্থকদের শোডাউন। মিছিল, মানববন্ধন, দোয়া মাহফিল ও পথসভা এখন টাঙ্গাইলের নিত্যদিনের চিত্র হয়ে উঠেছে। টাঙ্গাইল শহরের নিরালার মোড়, শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান, প্রেসক্লাব চত্তর, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, কলেজ পাড়া, বেবিস্ট্যান্ড, আদালত পাড়া ও জেলা সদর মসজিদ রোড এলাকা এখন কার্যত রাজনীতির পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে। প্রতি রাতে দলীয় কর্মীরা পোস্টার লাগাচ্ছে, ভোর সকালে আবার অন্য প্রার্থীর সমর্থকরা নতুন পোস্টার সাটাচ্ছে। কেউ কেউ মজা করে বলছেন, ‘দেওয়ালই এখন ভোট চায়!’ শহরের বিভিন্ন জায়গায় মোটরসাইকেল মিছিল প্রতিদিনই চলছে। পোস্টার-ব্যানারে লেখা হচ্ছে ‘টাঙ্গাইলের প্রিয় মুখ টুকু ভাই- ধানের শীষের টিকিট চাই’, ‘মাঠের নেতা ফরহাদ ভাই- ত্যাগী নেতার মনোনয়ন চাই’, ‘যুবশক্তির বিকল্প নাই- সাতিল ভাইয়ের যোগ্য কেউ নাই’ ইত্যাদি ইত্যাদি নানা স্লোগান। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে টাঙ্গাইলে বিএনপির রাজনীতিতে এখন তিনটি শিবিরে বিভিক্ত হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক। তিনি জাতীয় রাজনীতির দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ। ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি। পরে কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি হন। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তার পরিচিতি ও সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা তাঁকে প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে রেখেছে। তাঁর অনুসারীরা প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ, দোয়া মাহফিল ও পথসভার আয়োজন করছেন। সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে একই সঙ্গে নানা স্থানে কর্মসূচি পালন করছেন। টুকুর সমর্থকদের দাবি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অভিজ্ঞ এবং জনবান্ধব হিসেবে টুকুই এখন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের যোগ্য প্রার্থী। অন্যদিকে, অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বর্তমানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ছাত্র জীবন থেকে তিনি জাতীয়তাবাদী শক্তির ধারক-বাহক। তাঁর পক্ষে শহরে ব্যাপক সাড়া দেখা যাচ্ছে। আইনজীবী হিসেবে পেশাগত পরিচিতির পাশাপাশি দলের দীর্ঘ সাংগঠনিক ভূমিকার কারণে তিনি মাঠে শক্ত অবস্থানে আছেন। শহর ছাড়াও সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বিশেষ করে চরাঞ্চলে তাঁর জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। এরআগেও তিনি একাধিকবার দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি। কিন্তু দলের প্রার্থীর পক্ষে সরব থেকেছেন। বিগত ১৭ বছরে হামলা-মামলা ও শত নির্যাতন-কারাভোগ করেও তিনি দলীয় কর্মসূচি থেকে বিচ্যূত হননি। দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে তিনি পরীক্ষিত ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর সমর্থকরা প্রতিদিন মিছিল, ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করছেন। তাঁদের দাবি, ‘যাঁর ধ্যান-জ্ঞান-স্বপ্ন জাতীয়তাবাদী ঘরাণার রাজনীতি, তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেলে মানুষ রাজনীতি করবে কেন? এবার ফরহাদ ইকবালই বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রথম পছন্দ বলে বিবেচিত হয়ে দলের মনোনয়ন পাবেন’। এদিকে, খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হিসেবে তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। তাঁর নেতৃত্বে মোটরসাইকেল শোডাউন শহরের মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। বিগত সময়ে তিনি জীবন বাঁচাতে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তাঁর সমর্থকদের দাবি, ‘সাতিল ভাই তরুণ নেতৃত্বের প্রতীক, তিনিই পরিবর্তনের কণ্ঠস্বর’। টাঙ্গাইল শহর ঘুরে দেখা গেছে, এ তিন প্রার্থীর পক্ষে তাদের অনুসারীরা প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন এলাকায় শোভাযাত্রা, পথসভা ও মিছিল করছেন। শহরের প্রতিটি এলাকায় তিন মনোনয়ন প্রত্যাশীর পোস্টার, ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। দোকানের টিনের ছাউনি, দেয়াল, সেতু, এমনকি বৈদ্যুতিক খুঁটিও বাদ পড়েনি। শহরের বেবিস্ট্যান্ড মোড় থেকে নিরালার মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় টানা ব্যানার-ফেস্টুনে অনেক দোকানের সাইনবোর্ডও আড়াল হয়ে গেছে। ব্যানার টানানো এবং মোটরসাইকেল শোডাউন এখন নিত্যদিনের চিত্র। শুধু শহরই নয়, সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ও চরাঞ্চলেও শোভা পাচ্ছে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন। এসব এলাকার প্রায় চা-স্টলেই চলছে পছন্দের প্রার্থীর গান আর সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত মিছিল-সমাবেশে প্রিয় নেতার দেওয়া বক্তব্য। সব মিলিয়ে বলা যায়, বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে টাঙ্গাইল এখন ব্যস্ত, উচ্ছ্বসিত ও উত্তপ্ত রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে। কে পাবেন দলীয় প্রতীক ধানের শীষ- এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আগ্রহী শহর ও গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি মানুষ। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের আগে শহরের প্রতিটি দেয়াল, প্রতিটি স্লোগান যেন সাক্ষী হয়ে থাকছে- টাঙ্গাইল বিএনপির অভ্যন্তরীণ প্রাণ চাঞ্চল্যের। দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার মধ্য দিয়ে বোঝা যাবে- মিছিলের এই শহর শেষ পর্যন্ত কার বিজয়ের হাসিতে মুখর হবে। টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, পুলিশের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক করছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণা যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে- সে বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত (৩ নভেম্বর) বিকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে টাঙ্গাইলের ৮টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৭টিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। শুধুমাত্র টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়নি।
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

রাজনীতি

আরও পড়ুন
টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল

টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল। টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিএনপির মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের মনোনয়ন বাতিল করে তার পরিবর্তে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটুকে প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে ১০/১২/২০২৫ ইং রোজ বুধবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার সল্লা এলাকায় নেতাকর্মীরা হাতে মশাল নিয়ে মিছিল শুরু করেন। পরে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে মহাসড়কের একাংশে অবস্থান নেন। এতে প্রায় কিছু সময় যান চলাচল আংশিক ব্যাহত হয় এবং এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিনের স্থানীয় নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে বেনজির আহমেদ টিটুকে প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এ দাবির প্রতি সমর্থন জানাতেই এ কর্মসূচি পালন করা হয়।মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচির কারণে মহাসড়কে যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলতে থাকে এবং যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, তাদের দাবি মানা না হলে আরও কর্মসূচি দেওয়া হবে।

ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0

টাঙ্গাইলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

টাঙ্গাইলের ৪টি আসনে এনসিপির প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা

টাঙ্গাইলের ৪টি আসনে এনসিপির প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা - মনোনীত হলেন যারা

টাঙ্গাইলের পাঁচটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব

টাঙ্গাইলের পাঁচটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব

টাংগাইল সদর আসন ৫ জামাতে ইসলাম হতে মনোনীত প্রার্থী আহসান হাবীব মাসুদ এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আউলটিয়া বাজারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৩ নং ঘারিন্দা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে স্থানীয় জনগণের ব্যাপক উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও টাঙ্গাইল জেলা আমীর আহসান হাবিব মাসুদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, এলাকার উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনই আমাদের মূল প্রতিশ্রুতি। জনগণের সমর্থন ও ভালোবাসাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।” তিনি আসন্ন নির্বাচনে দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, “এলাকার শান্তি, উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি।” মতবিনিময় সভায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও নির্বাচনী প্রস্তুতির ব্যস্ততা। সভা শেষে অতিথি ও নেতৃবৃন্দ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

টাঙ্গাইল সদরে মৌন মিছিল: মুখে কালো কাপড় বেঁধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ

টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মৌন মিছিল

টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মৌন মিছিল

টাঙ্গাইল-৫ এ গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম শফিকের গণসংযোগ

টাঙ্গাইল-৫ এ গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম শফিকের গণসংযোগ

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নে যুব বিভাগের নতুন অফিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নে যুব বিভাগের নতুন অফিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে অফিসের উদ্বোধন করেন জননেতা মাওলানা মোঃ হুমায়ুন কবির, যিনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের এমপি পদপ্রার্থী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী–এর নেতৃবৃন্দের একজন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন যুব বিভাগের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, নতুন অফিস উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এলাকার যুব সমাজ আরও সংগঠিত হবে এবং বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম আরও গতিশীলভাবে পরিচালিত হবে। এসময় এমপি পদপ্রার্থী মাওলানা মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, “যুবকদের দেশ ও সমাজ গঠনে ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সুসংগঠিত ও ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে এ ধরনের অফিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” তিনি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও উপস্থিত সবার সাথে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অফিস উদ্বোধন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে জামায়াতে ইসলামীর সুধী সমাবেশ, বিজয়ের প্রত্যাশায় ডা. আব্দুল হামিদ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে জামায়াতে ইসলামীর সুধী সমাবেশ, বিজয়ের প্রত্যাশায় ডা. আব্দুল হামিদ

“নির্বাচন বাধাগ্রস্তের অপচেষ্টা চলছে"—টাঙ্গাইলে জোনায়েদ সাকি

“নির্বাচন বাধাগ্রস্তের অপচেষ্টা চলছে"—টাঙ্গাইলে জোনায়েদ সাকি

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি প্রার্থীকে অভিনন্দন জানালেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি প্রার্থীকে অভিনন্দন জানালেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী

0 মন্তব্য