বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ ও বানান চর্চা জাতিসত্তার ভিত্তি’ — প্রধান অতিথি মনছুরুল আলম হীরা
গৌরাঙ্গ বিশ্বাস,বিশেষ প্রতিনিধি
যে জাতি তার ভাষাকে শুদ্ধভাবে ভালোবাসতে শেখে, সেই জাতি কখনোই পরাধীন থাকে না”— এমন আহ্বান জানিয়ে সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও ফুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. মুনছুরুল আলম হীরা বলেছেন, এই বিদ্যালয় আমার স্বপ্ন দেখার সূতিকাগার। এখানে আমি শিখেছি কীভাবে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা মানুষকে চিন্তাশীল, শিকড়সচেতন এবং জ্ঞানসমৃদ্ধ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। শুদ্ধ বানান ও উচ্চারণ কেবল ভাষাগত দক্ষতা নয়, এটি সাংস্কৃতিক দায়িত্বও বটে।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ফুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় ‘সর্বস্তরে বাংলা ভাষা: শুদ্ধ বানান ও উচ্চারণ চর্চা’ শীর্ষক কর্মশালা এবং মুক্ত পাঠাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠান।
‘ছায়ানীড়’ এর উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় স্থানীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি অঙ্গনের নানা ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছায়ানীড়ের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান ও প্রশাসনিক পরিচালক শাহানাজ রহমান।
সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অব.) মো. শাহীনুর ইসলাম, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কালিহাতী শাখার সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. জহুরুল হক সিদ্দিকী, সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল হক, এবং সাবেক সিনিয়র শিক্ষক মিজানুর রহমান।
সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভাষা-দক্ষতা গড়ে তুলতে এ কর্মশালা ও পাঠাগার একটি মাইলফলক হবে। শিক্ষার্থীরা যেন শুদ্ধ উচ্চারণ ও বানানে বাংলা ভাষা ব্যবহার করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য।
ছায়ানীড়’-এর প্রশাসনিক পরিচালক শাহানাজ রহমান কর্মশালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন,
আমরা চাই শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষাকে শুধু পাঠ্যবইয়ের সীমায় না রেখে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মর্যাদার সঙ্গে ব্যবহার করুক। মুক্ত পাঠাগার সেই চর্চার দ্বার খুলে দেবে।
দিনব্যাপী আয়োজিত এই কর্মশালায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় সাহিত্যপ্রেমী, সাংবাদিক, অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
বাংলা ভাষার শুদ্ধতা রক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এই আয়োজন উপস্থিত সবার মধ্যে গভীর প্রশংসা কুড়ায়।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
টাঙ্গাইলের সরকারি এম এম আলী কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের দাবিতে রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম আসাদুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যেমন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নবাব আলী, ছাত্রদলের নেতা রানা আহমেদ, ইব্রাহিম খান বাদশা, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা সজীব হাসান, ছাত্র শক্তির নেতা মাহতাব খান ভাসানী ও ছাত্রদলের নেতা হাবিব প্রমুখ। ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নবাব আলী স্মারকলিপি প্রদানকালে বলেন, “আমাদের অধ্যক্ষ স্যারকে বিনীত শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে চাই যে, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, শৃঙ্খলা এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে ছাত্র সংসদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্র সংসদ কেবল নির্বাচিত কমিটি নয়; এটি শিক্ষার্থীদের মতামত প্রকাশ, সমস্যা সমাধান, সাংস্কৃতিক এবং সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার একটি গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম।” নবাব আলী আরও বলেন, “আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম আসাদুজ্জামান স্যার আপনার সদয় উদ্যোগে আমাদের কলেজে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন। এটি শিক্ষার্থীদের অধিকারকে সম্মান জানাবে এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানকে আরও সুন্দর, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সমৃদ্ধ করবে।” ছাত্রদের দাবি, কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব অনুষ্ঠিত হলে শিক্ষার্থীরা তাদের নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পাবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, প্রশাসন তাদের এই বৈধ দাবি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবেন।
সাজিদ পিয়াল:সরকারি সা'দত কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে বিদায় সংবর্ধনা এবং বিএনসিসি কর্তৃক গার্ড অব অনার প্রদান। টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী সরকারি সা'দত কলেজ শিক্ষক পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া এবং উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সুব্রত কুমার সাহা স্যারের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিএনসিসি প্লাটুনের ক্যাডেটরা দুই গুণী শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ–এর মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং–এর পরিচালক প্রফেসর কাজী মোঃ আবু কাইয়ুম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ দু'জনই অসাধারণ দায়িত্বশীলতা, সৎ নেতৃত্ব ও আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁদের বিদায় কলেজের জন্য এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করবে, তবে তাঁদের রেখে যাওয়া শিক্ষা ও আদর্শ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে। শিক্ষক পরিষদের নেতৃবৃন্দ, কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আবেগঘন এই বিদায় অনুষ্ঠানে প্রফেসর মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া ও প্রফেসর সুব্রত কুমার সাহা কলেজের প্রতি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং সকলের কাছে দোয়া ও শুভকামনা কামনা করেন। অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্মারক উপহার প্রদান এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে বিদায় সংবর্ধনা শেষ হয়।
টাঙ্গাইলের বাসাইলে শহীদ দারুস সুন্নাহ্ ইসলামিয়া নুরানী ও দাখিল মাদরাসায় নতুন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে মাদরাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ ও অভিভাবক প্রতিনিধিরা। বক্তারা বলেন, একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠদান নয়, শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও চারিত্রিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তারা বলেন, সুশিক্ষার আলোয় নিজেদের গড়ে তুলে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। এসময় মাদরাসার শিক্ষকরা নবীনদের জন্য পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হওয়া, শৃঙ্খলার সঙ্গে চলা এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠান শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনা শেষে নবীন শিক্ষার্থীরা এমন আয়োজন পেয়ে আনন্দ ও উৎসাহ প্রকাশ করেন। মাদরাসা পরিচালনা কমিটি ভবিষ্যতে আরও উন্নত শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করে।