জাতীয়

মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন হচ্ছে নানা আয়োজনে

reporter-icon
কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল: সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
নভেম্বর ১৭, ২০২৫ | 0
মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন হচ্ছে নানা আয়োজনে
মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন হচ্ছে নানা আয়োজনে আজ ১৭ নভেম্বর মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আজ সকালে মওলানা ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেছে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল নানা কর্মসূচি, মিলাদ-মাহফিল, আলোচনাসভা ও তবারক বিতরণ। সূর্যোদয়ের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে স্মরণসভা পরিবেশ তৈরি হয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দের নেতৃত্বে উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, সকল অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রক্টরিয়াল টিম, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা মাজার প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে মজলুম জননেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে উপাচার্য বলেন, “মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ছিলেন উপমহাদেশের একজন কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব। তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব, কৃষক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এবং দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসার ব্যাখ্যা প্রজন্মকে আজও অনুপ্রাণিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আমরা তাঁর আদর্শকে ধারণ করার চেষ্টা করছি।” এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা ভাসানীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, নেতৃত্বগুণ ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর আমৃত্যু ভূমিকা তুলে ধরেন। দিবসটি উপলক্ষে ভাসানী পরিবার, ন্যাপ ভাসানী, ভাসানী পরিষদসহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনও পৃথকভাবে মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সকাল ৮টায় উপস্থিত সকলের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়। এছাড়া আজ বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মাওলানা ভাসানীর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। দিবসটিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল গভীর শোক ও শ্রদ্ধার আবহ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রোভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, অফিস প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভাসানী পরিবার, ন্যাপ ভাসানী, ভাসানী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভাসানীর মাজারে পৃথক পৃথকভাবে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর সকাল ৮ টায় তবারক বিতরণ করা হয়। আজ বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হবে।
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

জাতীয়

আরও পড়ুন
৭৭তম বিশ্ব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে আয়োজিত র‌্যালি
"আগামীর বাংলাদেশ হবে মানবিক"—টুকু

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, “আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। আগামীর বাংলাদেশ হবে মানবিক, গণতান্ত্রিক এবং সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা একটি রাষ্ট্র।” তিনি আরও বলেন, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে কোনো প্রকার হানাহানি থাকবে না, মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ হবে এবং মানুষ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। বুধবার দুপুরে ৭৭তম বিশ্ব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধন ঘিরে প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মানবাধিকারকর্মী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। টুকু অভিযোগ করে বলেন, “বিগত দিনে দেশে একটি অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় ছিল, যারা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে মানুষের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। যে দেশে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়, সেখানে মানবাধিকার টিকে থাকতে পারে না।” তিনি বলেন, মানুষ এখন পরিবর্তন চায়—একটি মানবিক রাষ্ট্র চায় যেখানে মানুষ নিরাপদে মতামত প্রকাশ করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, “জনগণের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করা রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্ব। সমাজে এখনো অনেক প্রতিবন্ধী মানুষ বঞ্চিত। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইলচেয়ার বিতরণ করেছি। রাস্তার পাশে ফুটপাতে যারা ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটায়, তাদের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। ভবিষ্যতেও মানবিক কাজে আমাদের ভূমিকা আরও বাড়ানো হবে।” দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সামনের নির্বাচন জনগণের। দেশের ভবিষ্যৎ আপনারা নির্ধারণ করবেন। যেন কোনো অমানবিক, স্বৈরাচারী বা ফ্যাসিবাদী সরকার আর এ দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে।” মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন—জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, সদস্য সচিব মামুনুর রহমান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জুয়েল, উপদেষ্টা মনোয়ার হোসেন, বুলবুল আহমেদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এখন একটি বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয়, বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। মানবাধিকার রক্ষায় রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজকে সমন্বিত ভূমিকা রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়। মানববন্ধন শেষে একটি শান্তিপূর্ণ র‌্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সমগ্র কর্মসূচিতে ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
১০ ডিসেম্বর: গোপালপুর হানাদারমুক্ত—টাঙ্গাইলের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়

১০ ডিসেম্বর: গোপালপুর হানাদারমুক্ত—টাঙ্গাইলের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রোকেয়া দিবস উপলক্ষে পাঁচ অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রোকেয়া দিবস উপলক্ষে পাঁচ অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৫ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৫

টাঙ্গাইলে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৫ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৫। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল থেকেই জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণ ছিল প্রাণবন্ত ও ব্যস্ততম। দিনটি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য র‍্যালী, আলোচনা সভা ও শ্রেষ্ঠ ‘অদম্য নারী’ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‍্যালীটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। বিশিষ্ট নাগরিক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নারী সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ, সামাজিক–সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে র‍্যালীটি হয়ে ওঠে বর্ণিল ও প্রাণবন্ত। র‍্যালী শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এবারের বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৫ এর প্রতিপাদ্য “নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বক্তারা সমাজে নারী ও কন্যাশিশুর নিরাপত্তা, অধিকার প্রতিষ্ঠা, ডিজিটাল নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সহিংসতা প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, বেগম রোকেয়ার আদর্শ বাস্তবায়নে নারীর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ডিজিটাল ক্ষমতায়নকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আলোচনা সভা শেষে ‘অদম্য নারী’ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ অদম্য নারীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল। সম্মাননা প্রাপ্ত নারীরা নিজেদের সংগ্রাম, সাফল্য ও সমাজে ইতিবাচক প্রভাব তৈরির অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। পুরো আয়োজন জুড়ে ছিল নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান। নারীর ক্ষমতায়ন, মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারে দিনব্যাপী এ আয়োজন টাঙ্গাইলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৫ পালিত

সারা দেশের ন্যায় ভূঞাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইল জেলা দলিল লেখক সমিতির আয়োজনে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল
টাঙ্গাইল জেলা দলিল লেখক সমিতির আয়োজনে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় টাঙ্গাইল জেলা দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বাদ যোহর জেলা দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন—টাঙ্গাইল জেলা দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইমান আলী। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন—টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক শ্যামল ব্যানার্জি,জেলা দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন,সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম,সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন সরকার,সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন হোসেন, এবং সংগঠনের আরও নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা। দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বহুদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। দেশের মানুষের নেতা হিসেবে তার সুস্থতা শুধু বিএনপির জন্য নয়, পুরো দেশের জনগণের প্রত্যাশা। তারা আশা প্রকাশ করেন, খুব শিগগিরই তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরে আসবেন। বক্তারা আরও বলেন, দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির সদস্যরা সবসময় জনমানুষের সমস্যা-সংকটে পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও মানবিক সহায়তায় কাজ করবে। পরে খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনাও করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়।

ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ 0
জামদানির পর এবার টাঙ্গাইল শাড়ি—ইউনেসকোর ঐতিহ্যের তালিকায় স্বীকৃতি চান বাংলাদেশের তাঁতশিল্পীরা

জামদানির পর এবার টাঙ্গাইল শাড়ি—ইউনেসকোর ঐতিহ্যের তালিকায় স্বীকৃতি চান বাংলাদেশের তাঁতশিল্পীরা

টাঙ্গাইলের বাসাইলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নতুন কমিটি পরিচিতি সভা সম্পন্ন

টাঙ্গাইলের বাসাইলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নতুন কমিটি পরিচিতি সভা সম্পন্ন

টাঙ্গাইলে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে জেলা পর্যায়ের সমন্বয় সভা

0 মন্তব্য