"আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মৌলভীবাজার-দুই, কুলাউড়া আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন অধ্যাপক ডক্টর সাইফুল আলম চৌধুরী। দীর্ঘ পঁইতাল্লিশ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, তৃণমূলের ভালোবাসা এবং জনগণের আস্থার শক্ত ভিত্তি নিয়ে তিনি এবার দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
অধ্যাপক সাইফুলের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় উনিশশো একাশি সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল থেকে। এরও আগে উনিশশো আটাত্তর সালে কুলাউড়া নবীনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সংস্পর্শে আসেন তিনি। ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে সক্রিয় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
উনিশশো একানব্বই সালে কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজে গণিতের প্রভাষক থাকাকালীন তিনি গোপন ব্যালটে উপজেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেই সময় নবাব আলী ইয়াওর খানের প্যানেলকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। পরবর্তীতে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমে যুক্ত হন।
উনিশশো তিরানব্বই সালে তাঁর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কুলাউড়া সফর ও বিশাল জনসভা সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এর ফলশ্রুতিতে কুলাউড়ায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটে। তবে একই বছরে তিনি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দিয়ে কিছু সময় রাজনীতি থেকে বিরতি নেন এবং হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ও সিলেট এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে শিক্ষকতা করেন।
পরে উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডনে গিয়ে ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন’ ডিগ্রি অর্জন করেন। দীর্ঘদিন লন্ডনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন। সেখানে অবস্থানকালেও যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও জিয়া পরিষদের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে কাজ করে যান। বন্যার্ত, গৃহহীন, রোগাক্রান্ত কিংবা আর্থিক কষ্টে থাকা অসহায় মানুষের পাশে থেকেছেন সব সময়। কখনো ঘর নির্মাণ, কখনো চিকিৎসা সহায়তা, আবার কখনো দলের কর্মীদের মামলা-সংক্রান্ত খরচে এগিয়ে এসেছেন।
দীর্ঘ প্রবাস জীবনে কুলাউড়াকে এক মুহূর্তও ভোলেননি তিনি। এলাকার ছাত্রদল থেকে উঠে আসা সাবেক নেতাদের নিয়ে ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বহির্বিশ্ব জাতীয়তাবাদী ফোরাম কুলাউড়া। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই সংগঠন ইতিমধ্যেই সমাজকল্যাণমূলক নানা কাজে এলাকায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
২০১০ সালে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি আবারও কুলাউড়ার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। দলীয় আন্দোলন-সংগ্রামে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন এবং বিদেশে থেকেও বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সম্প্রতি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি দলের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূল থেকে নেতৃত্ব, বিসিএস ক্যাডারের অভিজ্ঞতা, লন্ডনে উচ্চশিক্ষা ও শিক্ষকতার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, সাইফুর রহমানের সহযোগী হিসেবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভূমিকা এবং বর্তমান সমাজকল্যাণমূলক কাজ—সব মিলিয়ে ধানের শীষ প্রতীক পেলে তাঁর বিজয় নিশ্চিত।
ডক্টর সাইফুল আলম চৌধুরী নিজেকে একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারে তিনি বড় ভূমিকা রাখতে পারবেন। এজন্য কুলাউড়ার জনগণও তাঁর প্রতি ব্যাপক আস্থা রাখছেন।
তিনি বলেছেন—‘রাজনীতিকে আমি ইবাদত মনে করি। মানুষের কল্যাণে কাজ করাই আমার লক্ষ্য। শেষ জীবনটা কুলাউড়ার মানুষের ভালোবাসায় কাটাতে চাই।’ দলের পক্ষ থেকে তাঁর পঁইতাল্লিশ বছরের ত্যাগ ও অভিজ্ঞতার যথাযথ মূল্যায়ন হলে তিনি মৌলভীবাজার-দুই আসনটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে উপহার দিতে পারবেন—এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।"
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
সুনামগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর কোন সুযোগ নেই। অবাধ,সুষ্ঠ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকারের পাশাপাশি সকল বাহিনী ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরঘর এলাকায় শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর মন্দির কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ করবে। সেই সাথে ইতিমধ্যে পুলিশের ট্রেনিং, সেনাবাহিনীর কতজন লোক থাকবে সেই কাজও শুরু হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা নির্ধারিত তারিখে এই সরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎস উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পারবে সেই প্রস্তুুতি সরকারের আছে। এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা আমাদের পুরোনো ঠিকানায় চলে যাবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক ,শ্রী শ্রী অদ্বৈত ধাম পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অদ্বৈত রায় ও সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা প্রমুখ।
বুয়েটে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর দ্রুত শাস্তির দাবি জানায়। শিক্ষার্থীরা জানান, অভিযোগের পর অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বুয়েট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা সোচ্চার ভূমিকা রাখছে, এবং প্রশাসনও এসব ঘটনায় কঠোর অবস্থান নিচ্ছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-২ গোপালপুর–ভূঞাপুর আসনে নির্বাচনী প্রচারণা জোরদার করছে রাজনৈতিক দলগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে গোপালপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা। শনিবার সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় সুতী ভি.এম. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। এতে অংশ নেন তিন শতাধিক মোটরসাইকেলে আসা দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় সমর্থকরা। শোভাযাত্রাটি গোপালপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পথে পথে মাওলানা হুমায়ুন কবির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তাঁর উন্নয়ন ভাবনা ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার তুলে ধরেন। আয়োজকরা জানান, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে আয়োজিত এই শোভাযাত্রা স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং এলাকায় নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ড. মো. আতাউর রহমান, উপজেলা জামায়াত আমির মো. হাবিবুর রহমান তালুকদার, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল মান্নান, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক উবায়দুল্লাহ, এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী।
আগামী ২৪ অক্টোবর নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷ এই নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন মো: ওসমান গণি। তিনি নির্বাচনী গণসংযোগে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিদিন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন,ভোট চাইছেন। নির্বাচনী মাঠে ভোটারদের মধ্যে সাড়া ফেলেছেন তিনি। সোমবার নির্বাচনী মাঠ ঘুরে দেখা যায় ইতোমধ্যে শ্রমিক ইউনিয়নের এই নির্বাচন ঘিরে শ্রমিকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। শ্রমিকরা বলছেন তারা শ্রমিকবান্ধব আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে চান। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী ওসমান গণি নির্বাচনী মাঠে গণসংযোগকালে ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তিনি বলছেন,নির্বাচিত হতে পারলে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে তিনি সর্বদা সোচ্চার থাকবেন এবং নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করবেন। এছাড়া শ্রমিক ইউনিয়নকে তিনি ঢেলে সাজাবেন। তিনি বলেন, সভাপতি হতে পারলে শ্রমিকদের জন্য একটি এম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা করবেন। এই নির্বাচন নিয়ে শ্রমিকরা বলেন,সৎ,যোগ্য,মেধাবী এবং পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্বকেই তারা নির্বাচিত করবেন। ভোটের লড়াইয়ে নানা প্রতিশ্রুতি আর গণসংযোগ ঘিরে শ্রমিকদের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। সবাই আশা করছেন একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে ভিডিও নিউজ ভয়েসওভার লিখুন