আইন-অপরাধ

১৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি রাজিব: সাংবাদিক মফিজুলকে পিটিয়ে জখম

reporter-icon
নিজস্ব প্রতিবেদক: অনলাইন
আগস্ট ৪, ২০২৫ | 0
১৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি রাজিব সাংবাদিক মফিজুলকে পিটিয়ে জখম

প্রশাসনের নিরবতায় সাংবাদিক সমাজে ক্ষোভ, এলাকাবাসীর নিরাপত্তাহীনতা চরমে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ালিয়াবাড়ী ক্লাব মোড় এলাকায় ভয় আর আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে রাজিব নামের এক ব্যক্তি। মাদক, চাঁদাবাজি, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত থাকা এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে এখনো গ্রেফতার না করায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক ও এলাকাবাসী। সম্প্রতি এই রাজিব ফের আলোচনায় আসেন সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায়। সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গত ১৯ জুলাই রাজিব ও তার সহযোগীরা তাকে একটি গ্যারেজে আটকে রেখে নির্মমভাবে মারধর করে। শরীরজুড়ে গভীর ক্ষতের চিহ্ন নিয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ২০ জুলাই কোনাবাড়ী মেট্রো থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 
কিন্তু ১৫ দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত রাজিবকে গ্রেফতার করা হয়নি। বরং তিনি প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং প্রতিবাদকারীদের হুমকি দিয়ে চলেছেন। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানানোয় সিনিয়র সাংবাদিক ও কোনাবাড়ী থানা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ জুলফিকার আলী জুয়েলকেও সরাসরি ‘মেরে ফেলার’ হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, থানায় অভিযোগের পর তদন্তের নামে কালক্ষেপণ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অভিযুক্তকে তলব, জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতার করা হয়নি। এক প্রবীণ সাংবাদিক বলেন,
“আমরা একাধিকবার থানায় গিয়ে রাজিবের ভয়ংকর কার্যকলাপের কথা জানিয়েছি। অথচ তিনি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রশাসন যেন অপরাধীদের রক্ষাকবচ হয়ে উঠেছে।” বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন,
“একজন গণমাধ্যমকর্মীকে প্রকাশ্যে মারধর করে যদি কেউ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে কীভাবে?”
তিনি অবিলম্বে রাজিবকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। রাজিবের বিরুদ্ধে সুসংগঠিত সন্ত্রাসী বাহিনী পরিচালনারও অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী, জমির মালিক এবং সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অনেকে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না, কেউ কেউ পরিবার নিয়ে এলাকা ছাড়ছেন। 
গণমাধ্যমকর্মীদের মতে, এটি শুধু একজন সাংবাদিকের উপর হামলা নয়—এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত। তারা সতর্ক করেছেন, এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে যদি কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে ভবিষ্যতে সাংবাদিকতার পথ আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে

সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

আইন-অপরাধ

আরও পড়ুন
সখীপুরে অবৈধভাবে মাটি কাটায় ব্যবসায়ীকে এক মাসের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা

সখীপুরে অবৈধভাবে মাটি কাটায় ব্যবসায়ীকে এক মাসের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে এক ব্যবসায়ীকে এক মাসের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে একটি মাটি খননযন্ত্র জব্দ করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীর নাম আতোয়ার রহমান (৩৮)। তিনি উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুন নাহার শিলা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার সময় আতোয়ার রহমানকে হাতেনাতে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, আতোয়ার রহমান দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিলেন। অভিযানের সময় ঘটনাস্থলেই আদালত বসিয়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডাদেশ কার্যকরের পর বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে আতোয়ার রহমানকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুন নাহার শিলা জানান, অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান রয়েছে। পরিবেশ ও কৃষিজমি রক্ষায় এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হবে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0

তরুনীর ধর্ষনের অভিযোগ: পুলিশ পেল চাঞ্চল্যকর তথ্য

বেগমগঞ্জে একাধিক মামলার আসামি গণপিটুনিতে হত্যা ; মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

মা–মেয়ে হত্যা মামলার মূল আসামি আয়েশা গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইল র‌্যাব ১৪ দফায় দফায় অভিযানে উদ্ধার করা হইছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল র‌্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিপিসি-৩, র‌্যাব-১৪ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর কাওছার বাঁধন জানান, সিপিসি-৩, র‌্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের তথ্যপ্রযুক্তি এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মাদক কারবারীরা টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানাধীন অরণখোলা এলাকায় বিপুল পরিমাণে অবৈধ মাদক দ্রব্য গাঁজা নিজেদের হেফাজতে রেখে কেনাবেচা করছে। উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধারের লক্ষ্যে মঙ্গলব্রা (৯ ডিসেম্বর) ভোর রাতে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইলের একটি চৌকস আভিধানিক দল উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।টাঙ্গাইলে র‍্যাব-১৪ এর সাম্প্রতিক অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে এবং একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ অভিযানে মধুপুর উপজেলা থেকে ১২৭ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ভুটিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১২৭ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৪) নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে মির্জাপুর ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা থেকে পৃথক অভিযানে ৫ হাজার ২৮ পিস ইয়াবা এবং ৬৬ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. আকরাম হোসেন (৪০) ও মো. জুয়েল খান (৩৮)। ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ৪৬০ গ্রাম হেরোইনসহ মোঃ তোহর আলী (৬০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।র‍্যাব-১৪-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাওসার বাঁধন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এবং মাদকবিরোধী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
প্রতীকী

মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক।

ইশ্বরদীতে সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীর হাতে ৮ কুকুরছানার নির্মম হত্যা

টাঙ্গাইলে ব্যাটারি রিকশার সাথে ধাক্কা লাগায় অটোচালককে খুর দিয়ে আঘাতে হত্যার চেষ্টা

বন্ধুকে হত্যার পর কুড়াল হাতে থানায় যুবক

ময়মনসিংহের ত্রিশালে বন্ধুকে হত্যার পর কুড়াল হাতে থানায় যুবক। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার নাজরুল একাডেমি মাঠে বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার পর কুড়াল হাতে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণের নাম মুনতাসির ফাহিম (২২)। তিনি মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং চার মাস আগে দেশে ফিরেছিলেন। তাঁর বাড়ি চিকনা মনোহর গ্রামে। হত্যার পর রাতেই ত্রিশাল থানায় এসে “আমি বন্ধুকে মেরেছি”—এ কথা স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেন তার বন্ধু আহিদুল ইসলাম আনিক (২২)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা এবং ফাহিমের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে আনিক ফাহিমকে নাজরুল একাডেমি মাঠের পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে ধারালো কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে—এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ডেকে নিয়ে গিয়ে ফাঁদ পেতে ফাহিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। ঘটনার পর পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধু দ্বারা এভাবে হত্যার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

নভেম্বর ২৮, ২০২৫ 0
নিহত হাসু

টাঙ্গাইলে চোর সন্দেহে পরকীয়া প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

ভুয়া সাংবাদিক ফারুক পাটোয়ারীর উচ্ছৃঙ্খল আচরণে ক্ষুব্ধ গণমাধ্যমকর্মীরা

ফটিকছড়িতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশেরসহ দু’জন নিহত

0 মন্তব্য