কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে, আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের আগে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন এবং বলেন, “আমরা ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয়ের শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ নির্মাণে অংশীদারিত্বের প্রস্তাব দিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল সরকার পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ধ্বংস করছে। এ স্বীকৃতি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাওয়া শক্তিগুলোকে ক্ষমতায়ন করবে এবং হামাসকে নয়। একইসঙ্গে এটি সন্ত্রাসবাদের বৈধতা দিচ্ছে না বা কোনো পুরস্কারও নয়।
কার্নি জানান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কানাডাকে সরাসরি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন আয়োজন ও রাষ্ট্রকে নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে। তবে এতে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।
একইসময়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ং-এর সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, এ সিদ্ধান্ত দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের নতুন গতি সঞ্চার করবে। এর সূচনা হবে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও আটককৃতদের মুক্তির মধ্য দিয়ে। তবে তাদেরও শর্ত, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও এ ঘোষণার পরপরই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন। তিনি বলেন, “এই স্বীকৃতি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলিদের জন্য শান্তির আশা পুনরুজ্জীবিত করবে এবং দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথ খুলে দেবে।”
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিনের মিত্র পশ্চিমা শক্তিগুলোর এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েলকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন করে তুলছে। বিশেষ করে গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে, যেখানে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য অভিযোগ করছে, এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে হামাসকে পুরস্কৃত করা।
তবে আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আরও কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিতে পারে। এর মধ্যে ফ্রান্সের নামও রয়েছে।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
সুনামগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর কোন সুযোগ নেই। অবাধ,সুষ্ঠ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকারের পাশাপাশি সকল বাহিনী ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরঘর এলাকায় শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর মন্দির কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ করবে। সেই সাথে ইতিমধ্যে পুলিশের ট্রেনিং, সেনাবাহিনীর কতজন লোক থাকবে সেই কাজও শুরু হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা নির্ধারিত তারিখে এই সরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎস উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পারবে সেই প্রস্তুুতি সরকারের আছে। এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা আমাদের পুরোনো ঠিকানায় চলে যাবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক ,শ্রী শ্রী অদ্বৈত ধাম পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অদ্বৈত রায় ও সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা প্রমুখ।
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কানপুর শহরের সাইয়্যেদ নগর এলাকায় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিন উপলক্ষে মুসলমানরা “I ❤️ Muhammad” লেখা একটি আলোকিত সাইনবোর্ড টানান। কিন্তু এ নিরীহ ধর্মীয় ভালোবাসার প্রকাশই এখন অনেক মুসলমানের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সাইনবোর্ডটি লাগানোর পরপরই স্থানীয় কয়েকজন হিন্দু যুবক আপত্তি জানিয়ে পুলিশের সহায়তায় তা খুলে ফেলে। পরে ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ নয়জন মুসলমানের বিরুদ্ধে মামলা করে, অভিযোগ করে তারা “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা” করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ২৬ সেপ্টেম্বর বেরেলি শহরে মুসলিম সংগঠন ইত্তেহাদে মিল্লাত কাউন্সিলের (IMC) পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি না দিলে শুক্রবার নামাজের পর হাজারো মানুষ “I love Muhammad” লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় নামে। প্রশাসনের দাবি—বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর ইট-পাথর নিক্ষেপ করেছে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও মাওলানা তৌকির রাজা খানসহ বহুজনকে গ্রেপ্তার করে। শহরের ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ রাখা হয়। মাওলানা তৌকির রাজা খান এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমাদের ধর্মীয় অনুভূতি দমন করা হচ্ছে। কিন্তু এই দমননীতি উল্টো প্রতিক্রিয়া ডেকে আনবে।” উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাকে “সমাজে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র” বলে উল্লেখ করেন। তার বক্তব্যের পরই অভিযুক্তদের একজনের মালিকানাধীন একটি ভবন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, মুসলমানদের সম্পত্তি ধ্বংস এখন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে ‘অঘোষিত শাস্তি’। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সম্প্রতি এমন ধ্বংসযজ্ঞকে বেআইনি ঘোষণা করলেও এ প্রক্রিয়া চলছে প্রকাশ্যে। সুমাইয়া রানা, বিখ্যাত কবি মুন্নাওয়ার রানা’র কন্যা, বলেন — “সরকার মুসলমানদের ভয় দেখাতে চায় যাতে তারা ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে কথা না বলে।” অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অব সিভিল রাইটস (APCR) জানিয়েছে, “I love Muhammad” ক্যাম্পেইন নিয়ে অন্তত ২২টি মামলা হয়েছে, যেখানে ২,৫০০ মুসলমানের নাম এসেছে এবং শুধু বেরেলিতেই ৮৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। APCR সচিব নাদিম খান বলেন, “নবীপ্রেমকে অপরাধ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এতে মুসলিম সমাজ মারাত্মক অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতির মুখে পড়ছে।” অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সদস্য সিকিউআর ইলিয়াসি বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে নবীপ্রেম প্রকাশ করা মুসলমানদের অধিকার। এটি কোনো অপরাধ নয়।” বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি অভিযোগ করেছে, সরকার গণতন্ত্রের নামে দমননীতি চালাচ্ছে। দলটির নেতা মাতাপ্রসাদ পাণ্ডে বলেন, “সরকার গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু আচরণে তা একনায়কতন্ত্র।” আইনজীবী জিয়া জিল্লানি জানান, “অধিকাংশ অভিযুক্ত দরিদ্র দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। তাদের পক্ষে এমন মামলা চালানো অত্যন্ত কষ্টসাধ্য।” তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের ঘৃণার রাজনীতি দরিদ্র মুসলমানদের লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে, যাতে তারা সহজেই নিপীড়নের শিকার হয়।” সূত্র: আল জাজিরা |
সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে ভারতের "অযৌক্তিক ও নিন্দনীয় কাপুরুষোচিত হামলায়" পাকিস্তানের অন্তত ১১ জন সেনা শহীদ হয়েছেন এবং আরও ৭৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক জনসংযোগ দপ্তর (ISPR)। এই সামরিক উত্তেজনা শুরু হয় যখন ভারত, জম্মু ও কাশ্মীরের পাহলগাম হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। ৬-৭ মে রাতে ভারত “অপারেশন সিনদূর”-এর আওতায় পাকিস্তানে একাধিক বিমান হামলা চালায়, যেখানে অনেক বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। পরবর্তীতে উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি মিসাইল হামলায় জড়িয়ে পড়ে যা এক সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত মার্কিন হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। আইএসপিআর এর বিবরণ অনুযায়ী: ভারতের এই আগ্রাসনে ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৭ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১২১ জন। শহীদ সেনাদের পরিচয়: পাকিস্তান আর্মি থেকে: নায়েক আব্দুর রহমান ল্যান্স নায়েক দিলাওয়ার খান ল্যান্স নায়েক ইকরামুল্লাহ নায়েক ওয়াকার খালিদ সিপাহি মোহাম্মদ আদিল আকবর সিপাহি নিসার পাকিস্তান বিমানবাহিনী থেকে: স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফ চিফ টেকনিশিয়ান আওরঙ্গজেব সিনিয়র টেকনিশিয়ান নাজিব করপোরাল টেকনিশিয়ান ফারুক সিনিয়র টেকনিশিয়ান মোবাশির আইএসপিআর জানায়, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী “মারকা-ই-হক”-এর অধীনে “অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস”-এর মাধ্যমে নিখুঁত এবং প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "শহীদদের এই মহান আত্মত্যাগ জাতির চেতনায় চিরস্মরণীয় সাহস, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের প্রতীক হয়ে থাকবে। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা চ্যালেঞ্জ করার যে কোনো চেষ্টা ভবিষ্যতে পূর্ণমাত্রার, ত্বরিত এবং চূড়ান্ত জবাবে পরিণত হবে।" প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ঘোষণা করেন: প্রতি বছর ১০ মে "ইয়াওম-ই-মারকা-ই-হক" পালন করা হবে। আগামী শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫-এ সশস্ত্র বাহিনীর এই মহান সাফল্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও শ্রদ্ধা জানানোর দিন হিসেবে উদযাপন করা হবে।
সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ফের একবার তীব্র সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই সংঘাতের মধ্যেই পাকিস্তানের চীনা-নির্মিত J-10 যুদ্ধবিমান অন্তত দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুইজন শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা। রয়টার্সকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। যদিও এখন পর্যন্ত ভারত সরকার বা দেশটির বিমান বাহিনী এই ঘটনার কোনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। মার্কিন কর্মকর্তাদের একজন জানান, পাকিস্তানের J-10 যুদ্ধবিমানগুলো এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ব্যবহার করে ভারতের যুদ্ধবিমানগুলোকে টার্গেট করে এবং সাফল্যের সঙ্গে ভূপাতিত করে। আরও উল্লেখ করা হয় যে, ভূপাতিত যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে অন্তত একটি ছিল ফ্রান্স থেকে সদ্য কেনা ভারতের উন্নতমানের রাফাল জেট, যা ভারত তার আকাশ প্রতিরক্ষার আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে সংগ্রহ করেছিল। এই প্রথমবারের মতো পশ্চিমা কোনো সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হলো যে পাকিস্তান তাদের চীনা J-10 যুদ্ধবিমান দিয়ে সরাসরি আকাশযুদ্ধে ভারতের যুদ্ধবিমান নামিয়েছে। এর আগে স্থানীয় সূত্র ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ফুটেজ ও রিপোর্টে দাবি করা হয়, তিনটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ এক বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী তাদের চীনা জেট ব্যবহার করে তিনটি রাফালসহ মোট পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন যে, মার্কিন নির্মিত F-16 যুদ্ধবিমানগুলো এই অভিযানে ব্যবহার করা হয়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়া—তিনটি বিশ্বশক্তি—দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই পরমাণু শক্তিধর দেশ, এবং তাদের মধ্যে আগে থেকেই দীর্ঘদিনের কাশ্মীর সংঘাত রয়েছে, যা এই অঞ্চলের একটি সবচেয়ে স্পর্শকাতর ফ্ল্যাশপয়েন্ট হিসেবে পরিচিত। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংঘর্ষ শুধু দক্ষিণ এশিয়াতেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আধুনিক যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে। চীনের PL-15 মিসাইল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের Meteor ক্ষেপণাস্ত্র—এই দুটি উন্নত এয়ার-টু-এয়ার অস্ত্র প্রথমবারের মতো সরাসরি যুদ্ধে ব্যবহারের কথা উঠে এসেছে। তবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি ভারতীয় রাফাল বিমানগুলোতে ওই মুহূর্তে Meteor ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করা ছিল কিনা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাশ্মীরের জম্মু অঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, যা ভারতীয় সামরিক সূত্রগুলো পাকিস্তানি ড্রোন হামলা বলে সন্দেহ করছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা রাতারাতি ভারতের ২৫টি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে। অন্যদিকে ভারত বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে সফল হয়েছে। এই পাল্টাপাল্টি আক্রমণ দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। বর্তমান সংঘাত কেবল আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং আধুনিক যুদ্ধবিমান প্রযুক্তির পরীক্ষাও হয়ে উঠেছে। চীনের তৈরি J-10 এবং ইউরোপীয় রাফাল—উভয়ই ৪.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। এসব যন্ত্রের কার্যকারিতা, কৌশল ও প্রযুক্তি নিয়ে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, এবং ইউরোপের সামরিক মহলে গভীর পর্যবেক্ষণ চলছে। এই ঘটনায় সামরিক বিশ্লেষকরা একমত যে, এখনো অনেক তথ্য প্রকাশ পায়নি এবং নির্ভুল মূল্যায়নের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে এটি নিশ্চিত যে দক্ষিণ এশিয়ার এই সংঘর্ষ এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব এখন উত্তেজনা প্রশমন করা।