রাজনীতি

মডেল টাঙ্গাইল গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

reporter-icon
কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল: সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫ | 0
মডেল টাঙ্গাইল গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার শরীফা হকের কাছে তিনি তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি মো.হাসানুজ্জামিল শাহীন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি আহমেদুল হক শাতিল এবং সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আজগর আলী।মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন সন্ত্রাস মাদক ও চাঁদাবাজিমুক্ত কিশোর গ্যাংমুক্ত নিরাপদ ও আধুনিক টাঙ্গাইল গড়ার যে অঙ্গীকার তিনি করেছেন, ইনশাআল্লাহ সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করবেন। জনগণের ভালোবাসা ও দোয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত হলে টাঙ্গাইল সদরকে উন্নয়ন ও সুশাসনের ক্ষেত্রে একটি মডেল টাঙ্গাইল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। আগামী দিনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধানের শীষের পক্ষে সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। ব্যক্তি নয় দল বড়- আর দলের চেয়েও দেশ বড় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের এই আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমরা সামনে এগিয়ে যাব। তিনি সবাইকে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর বিএনপি থেকে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। পরে ২১ ডিসেম্বর তিনি জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জেলা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এদিকে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মনোনয়নপত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। উল্লেখ্য প্রথমবারের মতো টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দলীয় সূত্রে জানা যায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তাকে প্রায় ৩৫০টি হয়রানিমূলক মামলার মুখোমুখি হতে হয় এবং ১২ দফা কারাভোগ করেন। এ সময়ে তিনি মোট প্রায় পাঁচ বছর কারাগারে ছিলেন এবং টানা ৪৬ দিন রিমান্ডে থাকতে হয় তাকে।
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

রাজনীতি

আরও পড়ুন
নোয়াখালীতে ৬ আসনে ৬২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল ; জামায়াতের নেই কোন বিদ্রোহী প্রার্থী

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আনন্দমুখর পরিবেশে নোয়াখালীর ৬টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬২জন প্রার্থী।   সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮৮জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে ছয়টি সংসদীয় আসনে ৬২জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করে।   এর মধ্যে, নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে ৮ জন, নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে ১০ জন, নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে ৭ জন, নোয়াখালী-৪ ( সদর-সুবর্ণচর) আসনে ৮ জন, নোয়াখালী-৫ ( কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট এবং সদরের দুই ইউনিয়ন) আসনে ১৫জন, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে ১৪জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এদের মধ্যে বিএনপির ৬ জন ও জামায়াতে ইসলামের ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। অপরদিকে, নোয়াখালী-৬ আসনে বিএনপির শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন দুজন। তারা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফজলুল আজিম ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজীব। নোয়াখালী ২ আসনে কাজী মোহাম্মদ মফিজুর রহমান ও নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা জসীম উদ্দীন মওদুদ স্বতন্ত্র প্রাথী হয়েছেন।   এ ছাড়া, ছয়টি আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। তারা হলেন, নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলীয় প্রার্থী জয়নুল আবদিন ফারুক, নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও দলীয় প্রার্থী বরকত উল্ল্যা বুলু, নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ - কবিরহাট এবং সদরের ২ ইউনিয়ন) আসনের বিএনপির প্রার্থী ফখরুল ইসলাম, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী মাহবুবের রহমান শামীম। উল্লেখ্য, সংশোধন করা তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল-৪ আসনে ভোটের লড়াই: মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন ৭ প্রার্থী

টাঙ্গাইল-৪ আসনে ভোটের লড়াই: মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন ৭ প্রার্থী

মডেল টাঙ্গাইল গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

টাঙ্গাইল-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

টাঙ্গাইল-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

গাজীপুর–৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী ফজলুল হক মিলনের মনোনয়ন দাখিল, উৎসবমুখর পরিবেশ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন–২০২৬ উপলক্ষে গাজীপুর–৫ (কালীগঞ্জ, পূবাইল ও বাড়িয়া) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের ফজলুল হক মিলন আজ সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন দাখিলকে কেন্দ্র করে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় প্রাঙ্গণ ছিল উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত। সকাল থেকেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে স্লোগান, ব্যানার-ফেস্টুন ও বিজয়ের প্রত্যাশায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি জনাব হুমায়ুন কবির মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক জনাব খালেকুজ্জামান বাবলুসহ কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তাদের উপস্থিতিতে মনোনয়ন দাখিলের কর্মসূচি আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। নেতাকর্মীরা বলেন, ফজলুল হক মিলন একজন ত্যাগী, পরীক্ষিত ও জনবান্ধব নেতা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থেকে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে সুদৃঢ় করেছেন। তার নেতৃত্বে গাজীপুর–৫ আসনে উন্নয়ন, সুশাসন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নতুন অধ্যায় সূচিত হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মনোনয়ন দাখিল শেষে ফজলুল হক মিলন বলেন, “গাজীপুর–৫ আসনের জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। ইনশাআল্লাহ নির্বাচিত হলে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।” গণতন্ত্রের ধারাবাহিক অভিযাত্রায় এই মনোনয়ন দাখিল গাজীপুর–৫ আসনের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উদ্দীপনা, প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার আলো ছড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫ 0

টাঙ্গাইল-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল

টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল–সখীপুর) আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

ইসলামের সবচেয়ে বড় হেফাজতকারী দল বিএনপি: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

ইসলামের সবচেয়ে বড় হেফাজতকারী দল বিএনপি: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান রাজনৈতিক ও নির্বাচনকালীন পরিবেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য অনুকূল নয়। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের নেতৃত্বাধীন দলটি জানায়, অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে অনিয়ম, ভোটাধিকার হরণ এবং প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকার কারণে জনগণের আস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও পরিবেশ প্রয়োজন, তা বর্তমানে অনুপস্থিত। নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলেও উল্লেখ করা হয়। এ অবস্থায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ অংশগ্রহণ করবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫ 0
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: টাঙ্গাইল -৪ আসন থেকে  স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: টাঙ্গাইল -৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর

সুনামগঞ্জে দু”দিনব্যাপপী শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৮তম জন্মোৎসব উদযাপন উপলক্ষে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা

সুনামগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আনিসুল হকের সমর্থনে জামালগঞ্জের সাচনা বাজারে মোটর শোভাযাত্রা ও বিশাল জনসমাবেশ

0 মন্তব্য