মোস্তফা মাসুদ: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম 'কে আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে কালিগঞ্জ উপজেলা তাঁতি দলের আওতাধীন ০৪ নং দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) বিকাল ৫টায় উপজেলা তাঁতি দলের আহবায়ক শরিফ মোঃ আব্দুল রাজ্জাক ও সদস্য সচিব শেখ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক অনুমোদন পত্রে ১১ সদস্য বিশিষ্ট এই আহবায়ক কমিটির অনুমোদন প্রদান করা হয়। গঠিত কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন- আহবায়ক: মোঃ শরিফুল ইসলাম (মধু),সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক: মোঃ আবু বকর আলী কারিকর, যুগ্ম আহবায়ক: মোঃ ওহিদুল ইসলাম, মোঃ শাজউদ্দিন,মোঃ নুরুজ্জামান,সদস্য সচিব: মোঃ আল আমিন, সদস্য মোঃ মাহফুজুর রহমান,মোঃ ফারুক হোসেন,মোঃ মিজানুর রহমান,মোঃ আরিফ হোসেন ও মোঃ মুজিবর রহমান। নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, তাঁতি দলের রাজনীতিকে তৃণমূল পর্যায়ে আরও শক্তিশালী ও জনমুখী করতে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। তাঁদের বিশ্বাস,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে দলীয় সংগঠন আরও সুসংহত হবে। উপজেলা আহবায়ক মোঃ আব্দুল রাজ্জাক বলেন,“ তাঁতি দল হচ্ছে বিএনপির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন।আমরা প্রত্যাশা করি,নতুন এই আহবায়ক কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে আরও তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেবে।এদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও নতুন কমিটি গঠনের খবরে উৎসাহ ও নবউদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। তাঁরা মনে করেন, নতুন এই নেতৃত্ব তাঁতি দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আনবে এবং আগামীর আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন ও তার সহযোগী নূর হক সরদারের বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি দখল, উচ্ছেদ এবং নামজারির অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তারা এক বৃদ্ধা নারীকে ভয়ভীতির মাধ্যমে উচ্ছেদ করে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কৃষ্ণনগর মৌজার ১৪২১ খতিয়ানের ২০৭৯ দাগের ১১ শতক জমি সরকারি (১/১ খাস) খতিয়ানের আওতাভুক্ত। কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে বিভ্রান্ত করে জায়গাটি প্রথমে শ্যামলী রানীর নামে নামজারি করা হয়। পরে তা বাতিল হলেও একই জমি পুনরায় সীতা রানীর নামে নামজারি করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, এ ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন ও তার সহযোগী নূর হক সরদার। তারা কৌশলে বৃদ্ধা সীতা রানীকে ভুল বুঝিয়ে উক্ত জমি তাদের নামে কবলা দলিল করে নেন। এরপর চেয়ারম্যান তার প্রভাব খাটিয়ে সীতা রানীকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে তার সম্পত্তি দখলে নেন। এমনকি পরবর্তীতে ওই বৃদ্ধাকে আটক রেখে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী উক্ত ১১ শতক সরকারি খাস জমি নিজেদের নামে নামজারির জন্য ভূমি অফিসে প্রভাব খাটাচ্ছেন। অথচ উক্ত জমি মূলত খাস খতিয়ানের রাস্তার আওতাভুক্ত, যা কোনোভাবেই ব্যক্তিমালিকানায় নামজারি বা কবলা হওয়া আইনত অবৈধ। অভিযোগকারী মিজানুর তার অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন যে, অসহায় এক বৃদ্ধার আশ্রয় কেড়ে নেওয়া মানবিক ও আইনি উভয় দিক থেকেই অন্যায়। প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার ও খাস জমি রক্ষার আবেদন জানান তিনি। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডল বলেন, অভিযোগটির তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এক চুরি মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এ সময় পুলিশ উজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আব্দুল করিমের ছেলে মিলন হোসেন (৩৮) কে গ্রেফতার করে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় উপজেলা কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। মোট ২,৯৯০ জন কৃষক ও কৃষাণী এই কর্মসূচির আওতায় বীজ ও সার পান। বিতরণকৃত বীজের মধ্যে ছিল সরিষা, গম, সূর্যমুখী, পেঁয়াজ, মুগডাল ও খেসারি ডাল। এছাড়া বসতবাড়ির আঙ্গিনায় চাষের উপযোগী বেগুন, পালংশাক, লালশাক, মটরশুটি, লাউ, মুলা, বাটিশাক ও মিষ্টিকুমড়া বীজও বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরাই আমাদের কৃষি অর্থনীতির মেরুদণ্ড। সরকার তাদের সহায়তায় সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
পতিত জমিতে মাল্টা চাষ করে, যুবকদের উদ্দ্যেক্তা করে তুলছেন - রনি মিত্র যেদিতে চোখ যায়, শুধু মাল্টা ফলের বাগান। থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা। বাগানের গাছের ডাল গুলো যেনো মাল্টার ভারে নুয়ে পড়ছে। পতিত জমিতে মাল্টা আবাদ করে একজন সফল উদ্দ্যোক্তা হিসেবে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বিজয়পুর এলাকার রনি মিত্র। এই বাগান থেকে বছরে আয় করছেন ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। রনি মিত্র, নিকুঞ্জ মল্লিক ও সুমন মল্লিকের এই মাল্টাবাগান দেখে স্থানীয় যুবকরা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। রনি মিত্রের মাল্টার বাগান পরিদর্শন করে জানা গেছে, ২০২২ সাল থেকে এক একর পতিত জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় গড়ে তুলেছেন এই বিশাল মাল্টার বাগান। প্রথমে ৩শতাধিক এবং পরে আরে ২শত চারা রোপন করেছেন তিনি। বর্তমানে বাগানে প্রায় ৫ শতাধিকের বেশি চারা রয়েছে। চারা রোপণের দুই বছরের মধ্যেই মাল্টা বিক্রি শুরু করেছেন রনি মিত্র। ওই এলাকার কয়লা পোর্টের মামা-ভাগ্নের অনাবাদি পতিত এক একর জমিতে মাল্টার গাছ লাগিয়েছিলেন রনি। এই পতিত জমি প্রস্তুত, রাসায়নিক ও জৈব সার প্রদান, বিদ্যুৎ নামানো, শ্রমিক খরচ মিলে এ পর্যন্ত প্রায় ১২লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে বাগানে ৫ শতাধিকের বেশি চারা রয়েছে। চারা রোপণের দুই বছরেই মাল্টার বাজার জাতকরণ করতে পেরেছেন তিনি। প্রথম বছরেই মাল্টা বিক্রি করেছেন প্রায় দুই লাখ টাকার মতো। তবে এ বছর যে পরিমান মাল্টার ফলন হয়েছে তাতে ৪ থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকার অধিক বিক্রি করতে পারবেন। এর পরের বছর মাল্টা বিক্রি এর দ্বিগুন হবে বলেও জানা তিনি। ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা সুস্বাদু, রসালো ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রনি মিত্রের মাল্টা বাগান দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবকগণ বাগান করার স¦প্ন দেখছেন। যুবকদের নিজের বাগানে এনে নানা পরমর্শ দিয়ে চাকরির আশায় বসে না থেকে, নিজের শ্রমেই নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার পরিকল্পনাকারী হিসেবে গড়ে তুলতে পরিশ্রমও করে যাচ্ছেন তিনি। পাইকারী দরে মাল্টা নিতে আসা ব্যবসায়ী মিলন মিয়া জানান, বর্তমান পাইকারী মুল্যে আমরা ২,৬০০/- টাকায় প্রতিমন মাল্টা ক্রয় করতেছি। ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা খুবই সুস্বাদু, রসালো ও স্বাস্থ্যসম্মত। যে কারণে এর চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। এখানের মাটি যে উর্বর, যদি সোমেশ^রী নদীতে যদি একটা ব্রিজ থাকতো, তাহলে বিজয়পুর এলাকার ফসল দিয়েই বৃহত্তর ময়মনসিংহে কৃষি বিপ্লব ঘটানো যেতো। অপর এক ব্যবসায়ী হারিছ মিয়া বলেন, এই বাগান থেকে মাল্টা নিয়ে আমরাও লাভবান। বাগানের ফলন যেভাবে আসছে, কয়েক বছরের মধ্যেই সকল খরচ উঠে যাবে। বিক্রি বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। মাত্র আড়াই বছর বয়সী একেকটি গাছে দুই মণ পর্যন্ত মাল্টা ধরেছে। গাছের বয়স ও আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাল্টার পরিমাণ ও স্বাদ বাড়তে থাকে। এ দেখে আমি নিজেও মাল্টা চাষ করবো ভাবছি। রনি মিত্র জানান, পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায়না। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে এই বাগান করেছি আমি। গত বছরের তুলনায় এ বছর যে পরিমাণ ফলন হয়েছে তাতে তার সব খরচ মিটিয়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লাভবান হবে। আগামী বছর এর পরিমান দ্বিগুন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার অধিক বিক্রি করবেন বলে আশাবাদী। কিন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় বিক্রি নিয়ে একটু চিন্তায় আছি। তিনি আরো বলেন, যুবরাই পারে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোড়াতে। বিজয়পুর এলাকার মাটি যে উর্ব্বর, সোমেশ^রী নদীতে যদি একটা ব্রিজ থাকতো, তাহলে বিজয়পুর এলাকার যুবদের উৎপাদিত ধান, রবিশস্য এবং উৎপাদিত ফল বিক্রি দিয়েই সরাদেশে দুর্গাপুর উপজেলাকে একটা অর্থনৈতিক জোন হিসেবে পরিচিতি করানো যেতো। এথেকে কর্মহীন যুবসমাজ একজন সফল উদ্দ্যেক্তা হিসেবে গড়ে উঠতো। দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রায়হানুল হক বলেন, আশপাশের উপজেলার তুলনায় দুর্গাপুরে প্রায় সব ধরনের ফসলই ভালো হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখানে দিন দিন বেড়ে চলেছে মাল্টার চাষ। অত্র এলাকার কর্মহীন যুবদের উদ্দ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছেন বাগানের মালিক রনি মিত্র। মাল্টা চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এই উপজেলার কৃষকরা। রণি মিত্র মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। ভিয়েতনাম জাতের মাল্টা সুস্বাদু, রসালো ও স্বাস্থ্যসম্মত। ওনার বাগানে এ বছর যে পরিমাণ ফলন হয়ে তাতে তিনি অনেক বেশি লাভবান হবেন। মাল্টা বাগানের গাছ প্রতি ১৫-২০ কেজি হারে বাজারজাত করতে পারবে। তার এই সফলতার কারণ যদি বলি, সম্পুর্নই উনার আগ্রহ ও বাগানের যতœ নিয়েছেন বলেই সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের সহযোগিতা ছিল।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যার মামলার আসামি নিকরাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুল হক মাসুদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। রবিবার সকালে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সিরাজকান্দী বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নিকরাইল ইউনিয়ন ছাত্র জনতার আয়োজনে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেয় সর্বস্তরের জনগণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পলাতক আসামি মাসুদুল হক মাসুদ এখনো এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছে। তার স্ত্রী শেফালী বেগম অবৈধভাবে বালু ব্যবসা পরিচালনা করছে। এছাড়া তার অনুসারীরা এলাকায় নিয়মিত মহড়া দিচ্ছে, এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই যমুনা সেতু পূর্ব গোলচত্বরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন শেষে কর্মীরা ভূঞাপুরের পথে ফেরার সময় সিরাজকান্দী বাজারে পৌঁছালে মাসুদের নেতৃত্বে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয় এবং পরবর্তীতে টাঙ্গাইল শহরে গুলিতে দুইজন নিহত হয়। এই ঘটনায় ৫ আগস্ট মাসুদুল হক মাসুদকে প্রধান আসামি করে টাঙ্গাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানান। একই সঙ্গে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তার ফাঁসির দাবিও তোলেন তারা। দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন বক্তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিকরাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম, যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুব আলম বেল্টু, ছাত্রদলের সভাপতি আল আমিন প্রামানিক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী প্রমুখ।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে কালিগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরে ডুবে মারা গেছে আরিফ হোসেন নামে দেড়বছর বয়সের এক শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৩ অক্টোবর) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের ভদ্রখালী গ্রামে। আরিফ হোসেন দেবহাটা উপজেলার আতাপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে। কালিগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত অপমৃত্যু মামলায় নিহত শিশুর পিতা আশরাফুল ইসলাম জানান, সোমবার সকাল ১০ টার দিকে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে তিনি ভদ্রখালী গ্রামে নিকট আত্মীয় মরহুম আব্দুর সাত্তার গাজীর ছেলে সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। দুপুর দেড়টার দিকে আত্মীয়ের বাড়ির উঠানে খেলা করছিল শিশু আরিফ হোসেন। কিছুক্ষণ পর আরিফকে উঠানে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ১ টা ৩৫ মিনিটের দিকে ওই বাড়ির সামনের পুকুরে তাকে ভাসতে দেখা যায়। আরিফকে উদ্ধার করে দ্রুত কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মোস্তফা মাসুদ: গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ১১নং রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন।সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ইউপি সদস্যদের অংশগ্রহণে ১৩ জন ভোটারের মধ্যে ১০ জন ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. আলিম আল রাজি টোকন। প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন ইউপি সচিব জয়দেব কুমার মল্লিক। ভোট গণনা শেষে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ পদে ৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন মোঃ আবুল কালাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ সুমন আহমেদ পান ৪ ভোট।প্যানেল চেয়ারম্যান-২ পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় মোঃ সাইফুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।অন্যদিকে প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ পদে ৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোছাঃ নূরনাহার পারভিন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মোছাঃ হালিমা বেগম পেয়েছেন ৪ ভোট। নির্বাচন শেষে চেয়ারম্যান এম. আলিম আল রাজি টোকন বলেন, “গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে নির্বাচিত নেতৃত্ব স্থানীয় সরকারের ভিত্তিকে আরও দৃঢ় করে। আজকের এই নির্বাচন সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলকভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যা রতনপুর ইউনিয়নের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের দৃষ্টান্ত।” স্থানীয় জনগণও নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, ইউনিয়নের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যানদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার মাধ্যমে এই সফলতা আরও অর্থবহ হবে। উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ললিতা রানী, মোঃ সাইবুল্লাহ, সুপেন্দ্র মন্ডল, মোঃ আব্দুল কাদের, পরেশ চন্দ্র মিস্ত্রি প্রমুখ। সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই ভোটগ্রহণে আনন্দ ও সহযোগিতার মধ্য দিয়ে শেষ হয় রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন।
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার ৪ নম্বর আওনা ইউনিয়নের বাটিকামারী গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে মোঃ হারুন (৩৮) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হারুন আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মোহাম্মদ মাখনের একমাত্র ছেলে। তিনি পেশায় একজন শিপ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন এবং কিছুদিন আগে ছুটিতে নিজ বাড়িতে এসেছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতের কোনো এক সময় হারুন বাটিকামারী গ্রামে তার মামার বাড়ির দরজার সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরদিন সকালে পরিবারের সদস্যরা ঘুম থেকে উঠে দরজায় তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, একটি মানিব্যাগ (যার ভেতরে ছিল ২,৪১০ টাকা) এবং কিছু ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদকসেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, “খবর পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে যাই। বিষয়টি প্যানেল চেয়ারম্যান মিনারা আশরাফ ও পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।” পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারের দাবি, হারুন দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন এবং সম্প্রতি মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা বলেন, এক সময় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন হারুন, কিন্তু নেশার কবলে পড়ে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়েন তিনি।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ১নং কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর ২০২৫) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কালিকাপুর খেয়াঘাট সংলগ্ন মাঠে মাছ ব্যবসায়ী মোঃ মুকুল ঢালী (৫০) ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায় একই এলাকার কয়েকজন যুবক। অভিযুক্তরা হলেন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম (৪২), আজগার আলী মোড়ল (২৪) আলাউদ্দীন (৩২), নাসির উদ্দীন (২৫), সাইফুল আলম সুমন (২৮), হাসান (২৫), ইমরান হোসেন (২২), মনিরুল ইসলাম (২৩) সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন। অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক (ইয়াবা) ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় এবং পাওনা টাকা দাবি করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুকুল ঢালী ও তার আত্মীয়রা মাঠের পাশে অবস্থানকালে বিবাদীরা ধারালো দা, রামদা, লোহার রড, স্টাম্প, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় মুকুল ঢালীর ছেলে মোঃ তরিকুল ইসলাম (১৯)-এর মাথায় ধারালো দা দিয়ে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। হামলায় তার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। এছাড়া আব্দুর রহমান (৩৮), মাছুম ঢালী (৩৫), মিজান ঢালী (৫০) ও আয়ুব আলী (৪২) গুরুতর জখম হন। হামলাকারীরা মুকুল ঢালীর লুঙ্গির গাঁটিতে থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এবিষয়ে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি তদন্ত মোঃ হারুন অর রশিদ মৃধা বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই ও তদন্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে। দ্রুত তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ২নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী চাঁচাই ফুটবল মাঠে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর ২০২৫) বিকাল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে ১০ দিনব্যাপী “৭ম বার্ষিকী বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠান”এর বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অনুজা মণ্ডল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা বিএনপি’র ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম, কালিগঞ্জ থানা সেকেন্ড অফিসার শাহাদাত হোসেন, এসআই রাজিব সরদার, চাঁচাই সবুজ সংঘের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর হোসেন, সভাপতি রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মজিদ, সহ-সভাপতি আকরাম হোসেন, কোষাধ্যক্ষ সনজয় মণ্ডল, ক্রীড়া সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রচার সম্পাদক সুমন হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক লাল্টু ইসলাম,ও আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বৃক্ষ আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পরিবেশ রক্ষা, জলবায়ু ভারসাম্য ও টেকসই উন্নয়নের জন্য বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। বর্তমান প্রজন্মকে প্রকৃতি ও সবুজের প্রতি আরও সচেতন হতে হবে। ইউএনও অনুজা মণ্ডল তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, গাছ শুধু অক্সিজেন দেয় না, এটি জীবন দেয়। প্রতিটি মানুষ যদি একটি করে গাছ রোপণ ও যত্ন নেয়, তবে আমাদের পরিবেশ আরও সুন্দর, নিরাপদ ও সবুজ হয়ে উঠবে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন,এই বৃক্ষমেলা শুধু একটি প্রদর্শনী নয়—এটি মানুষের মধ্যে প্রকৃতিপ্রেম ও পরিবেশ-সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। বৃক্ষমেলায় স্থানীয় নার্সারি মালিক, কৃষক, শিক্ষার্থী ও পরিবেশপ্রেমীরা অংশ নিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,পরিবেশ সচেতনতামূলক আলোচনা ও বৃক্ষবিক্রয় মেলার আয়োজন করা হবে। মেলা চলবে আগামী ১৮ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত।সবুজে গড়ে উঠুক মানবতার ভবিষ্যৎ—প্রকৃতিই আমাদের প্রাণ, বৃক্ষই আমাদের জীবন।
দুর্গাপুর প্রেসক্লাবকে কম্পিউটার সেট উপহার দিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল নেত্রকোণার দুর্গাপুর প্রেসক্লাবকে কম্পিউটার সেট উপহার প্রদান করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। বুধবার (৮ অক্টোবর) ব্যারিস্টার কায়সার কামালের পক্ষ থেকে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের কাছে কম্পিউটার সেট হস্তান্তর করেন শিবগঞ্জ-দুর্গাপুর সেতু কমিটির সদস্যগণ। উপহার প্রদান অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে প্রেসক্লাব সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন - সেতু কমিটির সদস্য পঙ্কজ মারাক, প্রভাত সাহা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ জিন্নাহ, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন মাস্টার, কুল্লাগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম। দুর্গাপুর প্রেসক্লাবকে কম্পিউটার সেট উপহার দেয়ায় ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিক ও সদস্যগণ।
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নদী, খাল-বিল জুড়ে নির্বিচারে ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ চায়না জাল। এতে ধ্বংস হচ্ছে মাছসহ নানা প্রজাতির জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পাশাপাশি হাঁস পালন ও প্রাকৃতিক খাদ্যশৃঙ্খলও মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সৌরভ কুমার দে জানান, সম্প্রতি একাধিক অভিযানে শতাধিক চায়না জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি বলেন, “অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেখানেই অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সোনামুই গ্রামের গৃহিণী জুলেখা বেগম বলেন, “হাঁস পালন করেই ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাতাম। আগে বিল থেকে হাঁসের খাবার হিসেবে প্রচুর শামুক পাওয়া যেত। কিন্তু গত দুই বছর ধরে চায়না জালের কারণে শামুক প্রায় নেই বললেই চলে। এতে আমি ও আশপাশের প্রায় ২৫টি পরিবার হাঁসের খাবার সংকটে পড়েছি।” কাহেতা গ্রামের জহুরা বেগম বলেন, “কারেন্ট জালের বদলে চায়না জাল ব্যবহারের পর থেকেই দেশি মাছ কমে গেছে। এখন তো হাঁস পর্যন্ত এই জালে আটকে মারা যাচ্ছে।” স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য বিপ্লব কুমার জানান, “আগে খাল-বিলে কুঁচিয়া ধরে বিক্রি করেই সংসার চলত। কিন্তু এখন প্রায় কোথাও কুঁচিয়া নেই। বর্ষাকালে মা মাছ ও পোনা ধরার সময় কুঁচিয়াও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।” সোনামুই গ্রামের শিমুল পারভেজ বলেন, “আমাদের গ্রামসহ আশপাশের ছয়-সাতটি গ্রামে শত শত পরিবার হাঁস পালন করে সংসার চালায়। কিন্তু এখন চায়না জালের ফাঁদে শুধু মাছ নয়, হাঁসও মারা যাচ্ছে। এতে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।” ফলদা শরীফুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার দত্ত বলেন, “চায়না জাল শুধু দেশি মাছই শেষ করছে না; জলজ প্রাণী, হাঁস খামার ও জীববৈচিত্র্যকেও ধ্বংস করছে। এমনকি খাদ্যসংকটের কারণে অতিথি পাখির আগমনও কমে গেছে।” ঝাওয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার বলেন, “নিষিদ্ধ চায়না জালের ব্যবহার বন্ধে আমরা সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছি। তবে টেকসই সমাধানের জন্য প্রশাসন ও জনগণের যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন।” স্থানীয়দের দাবি, নিষিদ্ধ চায়না জালের অবাধ ব্যবহার বন্ধে প্রশাসনের আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। তা না হলে গোপালপুরের জলজ সম্পদ, হাঁস খামার ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুরে হারুন অর রশিদ নামে এক যুবকের আত্মহত্যা মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নীলকণ্ঠপুর গ্রামে হারুন অর রশিদ (২০) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে নিজ বসতঘরে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। নিহত হারুন অর রশিদ ওই গ্রামের মৃত নেদা গাজীর ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হারুন মানসিক রোগে ভুগছিলেন। তাকে প্রায় আট-নয় মাস ধরে স্থানীয় চিকিৎসক ডা. আরিফুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। নিহতের মামা রেজাউল করিম জানান, সোমবার সকালে হারুন তার স্ত্রী জেসমিন খাতুন (১৮)-কে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে অসুস্থ শাশুড়িকে দেখতে যায়। পরে সকাল ১১টার দিকে স্ত্রীকে শাশুড়ির কাছে রেখে বাড়ি ফিরে আসে। দুপুর ১২টার দিকে হারুনের মা হালিমা বেগম ঘরের দরজা খুলে দেখেন, তার ছেলে শয়নকক্ষে আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে। স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে নিচে নামিয়ে দ্রুত স্থানীয় এক গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন,“খবর পেয়ে এসআই সাব্বির রহমান ও পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আগামীকাল সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা (ইউডি) দায়ের করা হয়েছে।” নিহতের আকস্মিক মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা জানান, হারুন শান্ত-ভদ্র স্বভাবের যুবক ছিলেন; কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর বাস্তবায়নে প্রায় ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুযোগ- সুবিধাসম্পন্ন এই ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে। নতুন ভবনটি নির্মিত হলে সাধারণ মানুষের ভূমি-সংক্রান্ত সেবা গ্রহণে গতি আসবে এবং স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপস্থিত বক্তারা। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন,উপ-সহকারী প্রকৌশলী সজল কুমার রায়,ঠিকাদার ইলিয়াস হোসেন,ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস বলেন, “সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া। এই ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হলে মৌতলা ইউনিয়নের মানুষ দ্রুত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ভূমি সেবা পাবে। এ জন্য সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই।” কালিগঞ্জের মৌতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকাল ৫টায় কাটুনিয়া রাজবাড়ী গোবিন্দজিউ মন্দির সংলগ্ন মাঠ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রতনপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণেশ চন্দ্র স্বর্ণকার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী কালীগঞ্জ উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী,উপজেলা শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য ড. মিজানুর রহমান,জামায়াতে ইসলামী রতনপুর ইউনিয়ন আমীর ক্বারী আফতাবুজ্জামান,সেক্রেটারি মাওলানা মোশারফ হোসেন,রতনপুর ইউনিয়নের জামায়াতের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রোমানিয়া প্রবাসী শেখ আলমগীর হোসেন।সাবেক রতনপুর ইউনিয়নের আমির আজিজুর রহমান,পেশাজীবী সংগঠনের আবদুল্লাহ, সেক্রেটারি আবুল বাশার, মাওলানা আবু বক্কার সিদ্দিকী, প্রভাষক ও ডা.প্রণব কুমার ঘোষ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সন্দ্বীপ,সভার শুরুতে গীতা পাঠ করেন গোবিন্দ মন্ডল। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পরেশ চন্দ্র মিস্ত্রি,সুমন আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ,সুবেন্দ্র কুমার মন্ডল, ললিতা মন্ডলসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা সুপেন্দ্র নাথ মন্ডল, কানাইলাল মন্ডল,শিবু সরকার, বাবু সরকার, সত্য সরকার, শম্ভু সরকার, স্বপন সরকার, ষষ্ঠী সরকারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন" বাংলাদেশের ঐতিহ্য হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। শত শত বছর ধরে ভিন্ন ধর্ম ও ভিন্ন মতাবলম্বীরা এখানে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার—এই চেতনা ধারণ করেই শান্তিপূর্ণ ও উন্নত সমাজ গঠন করতে হবে।”তারা আরও বলেন"সমাজের প্রতিটি স্তরে ধর্মীয় সহনশীলতা,মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে।তাহলেই সমৃদ্ধ,শান্তিপূর্ণ ও সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।সভায় স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী,মুসলিম সম্প্রদায় ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
সুনামগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর কোন সুযোগ নেই। অবাধ,সুষ্ঠ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকারের পাশাপাশি সকল বাহিনী ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরঘর এলাকায় শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর মন্দির কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ করবে। সেই সাথে ইতিমধ্যে পুলিশের ট্রেনিং, সেনাবাহিনীর কতজন লোক থাকবে সেই কাজও শুরু হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা নির্ধারিত তারিখে এই সরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎস উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পারবে সেই প্রস্তুুতি সরকারের আছে। এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা আমাদের পুরোনো ঠিকানায় চলে যাবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক ,শ্রী শ্রী অদ্বৈত ধাম পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অদ্বৈত রায় ও সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা প্রমুখ।