জাতীয়

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রোকেয়া দিবস উপলক্ষে পাঁচ অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা

reporter-icon
নাদিম তালুকদার: স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ | 0
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রোকেয়া দিবস উপলক্ষে পাঁচ অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রোকেয়া দিবস উপলক্ষে পাঁচ অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও মহান রোকেয়া দিবস উপলক্ষে পাঁচ অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত এক প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা পান—অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনকারী: নীলা বেগম,শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সফল: সৈয়দা ফারজানা,সফল জননী: সৌমিত্রী বিশ্বাস,নির্যাতনের দুঃখ ঘুচে জীবন সংগ্রামে জয়ী: রনিয়া আক্তার,সমাজ উন্নয়নে অবদানকারী: রুমি আক্তার স্থানীয় নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একই অনুষ্ঠানে ১০ জন নারী উদ্যোক্তার মাঝে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। উদ্যোক্তারা জানান, এই সহায়তা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও আত্মকর্মসংস্থানে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। এর আগে রোকেয়া দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা সমাজে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া ইয়াসমিন। আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক আজিজ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন সিদ্দিকা, অদম্য নারী সৈয়দা ফারজানা আক্তারসহ অন্যান্য বক্তারা। বক্তারা বলেন, বেগম রোকেয়ার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সমাজের সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও সমাজসেবামূলক সংগঠনগুলোকে আরও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

জাতীয়

আরও পড়ুন
টাঙ্গাইল বধ্যভূমি
১১ ডিসেম্বর : টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস আজ

১১ ডিসেম্বর: টাঙ্গাইল পাক হানাদারমুক্ত দিবস আজ ১১ ডিসেম্বর—টাঙ্গাইলবাসীর গৌরবোজ্জ্বল ও ঐতিহাসিক একটি দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর কবল থেকে টাঙ্গাইলকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন। এই দিনে টাঙ্গাইল জেলায় নতুন করে সূচনা হয় স্বাধীনতার, মুক্তির, বিজয়ের মহামন্ত্রে উজ্জ্বল এক প্রত্যয়ের। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, শত্রুমুক্তির আগের রাতটি ছিল টাঙ্গাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ রাত। সারারাত মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী ও ধারাবাহিক আক্রমণে পাক হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে। টানা গোলাগুলিতে শহর ও শহরতলির মানুষজন কাটায় এক নিদ্রাহীন রাত। অবশেষে ১১ ডিসেম্বরের সকালটি নিয়ে আসে কাঙ্ক্ষিত সেই বিজয়ের বারতা। ধ্বংসস্তূপ, রক্তের দাগ, অশ্রুভেজা বিদায়ের মাঝেও হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে—উল্লাসে, আবেগে ও স্বাধীনতার গর্বে উদ্বেল হয়ে। মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের ভূমিকা ছিল অনন্য। সাহস, সংগঠন, পরিকল্পনা ও বীরত্বে এ অঞ্চলটি গড়ে তোলে এক বিশেষ দৃষ্টান্ত। বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গঠিত ‘কাদেরিয়া বাহিনী’ সেসময় শত্রুর বিরুদ্ধে অসাধারণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তাদের বীরত্বগাঁথা শুধু দেশের সীমানায় আটকে থাকেনি—পৌঁছে যায় সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের কাছে। ইতিহাসবিদরা বলেন, টাঙ্গাইলের এই প্রতিরোধ না হলে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের অগ্রযাত্রা এতটা দ্রুত সফল হতো না। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পরপরই টাঙ্গাইলে গঠন করা হয় স্বাধীন বাংলা গণমুক্তি পরিষদ। ২৬ মার্চ টাঙ্গাইল থানায় উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা—যা মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভিক দিনে এ জেলার অগ্রণী ভূমিকার প্রতীক। ৮ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে টাঙ্গাইল আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়। পরে কালিহাতীর পুংলি এলাকায় মিত্রবাহিনীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পাক সেনারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে তারা প্রাণভয়ে সারারাত ধরে টাঙ্গাইল ছেড়ে ঢাকার দিকে পালাতে থাকে। ১০ ডিসেম্বর রাতে কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলে প্রবেশ করেন। পরদিন ১১ ডিসেম্বর সকালে কমান্ডার বায়োজিদ, খন্দকার আনোয়ার এবং পরে ব্রিগেডিয়ার ফজলুর রহমান টাঙ্গাইলে পৌঁছান। শহরের সার্কিট হাউজে অবস্থানরত পাকিস্তানি খান সেনারা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবেই টাঙ্গাইল হয় শত্রুমুক্ত। এই দিনটি তাই শুধু একটি জেলার নয়—বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনবদ্য গৌরবের দিন। আজ টাঙ্গাইলবাসী স্মরণ করছে সেই বীরদের, যারা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার পতাকাকে সমুন্নত করেছিলেন।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
৭৭তম বিশ্ব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে আয়োজিত র‌্যালি

"আগামীর বাংলাদেশ হবে মানবিক"—টুকু

১০ ডিসেম্বর: গোপালপুর হানাদারমুক্ত—টাঙ্গাইলের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়

১০ ডিসেম্বর: গোপালপুর হানাদারমুক্ত—টাঙ্গাইলের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রোকেয়া দিবস উপলক্ষে পাঁচ অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রোকেয়া দিবস উপলক্ষে পাঁচ অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় টাঙ্গাইলের মধুপুরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে ভুটিয়া চৌরাস্তা মোড়ে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-০১ (মধুপুর–ধনবাড়ী) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ফকির মাহবুব আনাম স্বপন (স্বপন ফকির)। এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বলেন, “দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার ফেরাতে বেগম খালেদা জিয়া যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, জাতি তা কখনো ভুলবে না। তাঁর সুস্থতা দেশের মানুষের প্রত্যাশা।” অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। দোয়া মাহফিল শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, দ্রুত রোগমুক্তি এবং দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবরে সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে। তাই তাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দোয়া মাহফিলে যোগ দিয়ে তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন।

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৫ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৫

টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৫ পালিত

সারা দেশের ন্যায় ভূঞাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ দোয়া মাহফিলে দলীয় নেতা–কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় দেশব্যাপী যে দোয়া মাহফিল চলছে, তা প্রমাণ করে তিনি এখনো মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে জায়গা করে আছেন।’ দোয়া মাহফিল শুরুর আগে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শহর বিএমেহেদী হাসান আলীম, সাধারণ সম্পাদক এজাজুল হক সবুজ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রৌফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাদিউজ্জামান সোহেল, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপনসহ দলের অন্যান্য নেতা। বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা শুধু বিএনপির নয়, গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রত্যাশা। তাঁরা অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার নিয়মিত উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও রাজনৈতিক কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা। দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণকারী নেতা–কর্মীরা জানান, দলীয় প্রধানের সুস্থতার জন্য তারা ব্যক্তিগতভাবেও নিয়মিত প্রার্থনা করছেন। দোয়া শেষে অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবন কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম। এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেন। পুরো আয়োজন জুড়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করে।

ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল জেলা দলিল লেখক সমিতির আয়োজনে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

টাঙ্গাইল জেলা দলিল লেখক সমিতির আয়োজনে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

জামদানির পর এবার টাঙ্গাইল শাড়ি—ইউনেসকোর ঐতিহ্যের তালিকায় স্বীকৃতি চান বাংলাদেশের তাঁতশিল্পীরা

জামদানির পর এবার টাঙ্গাইল শাড়ি—ইউনেসকোর ঐতিহ্যের তালিকায় স্বীকৃতি চান বাংলাদেশের তাঁতশিল্পীরা

টাঙ্গাইলের বাসাইলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নতুন কমিটি পরিচিতি সভা সম্পন্ন

টাঙ্গাইলের বাসাইলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নতুন কমিটি পরিচিতি সভা সম্পন্ন

0 মন্তব্য