অর্থনীতি

টাঙ্গাইলে আমনে উৎপাদন বেড়েছে ২–৪ মণ, কৃষক এখন ন্যায্যমূল্যের অপেক্ষায়

reporter-icon
নাদিম তালুকদার: স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
ডিসেম্বর ৬, ২০২৫ | 0
টাঙ্গাইলে আমনে উৎপাদন বেড়েছে ২–৪ মণ, কৃষক এখন ন্যায্যমূল্যের অপেক্ষায়
টাঙ্গাইলে আমনে উৎপাদন বেড়েছে ২–৪ মণ, কৃষক এখন ন্যায্যমূল্যের অপেক্ষায়
ভালো বীজ, আধুনিক কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার এবং অনুকূল আবহাওয়ার ফলে টাঙ্গাইলে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘাপ্রতি ২ থেকে ৪ মণ পর্যন্ত উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার কৃষকদের মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। পরিবার থেকে পাড়া—গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এ খুশির বার্তা। তবে তারা বাজারে আমন ধানের ন্যায্যমূল্য প্রত্যাশা করছেন। অগ্রহায়নের শুরু থেকেই টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকরা রোপা আমন কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতোমধ্যে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় ৬৩ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। মাঠে চলছে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর ব্যস্ততা—কিষাণী থেকে কৃষক সবাই এখন সময় দিচ্ছেন নতুন ধান ওঠানোর কাজে। টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে ১২টি উপজেলায় রোপা আমন আবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লাখ দুই হাজার হেক্টর। সরকারি প্রণোদনা, উন্নতমানের বীজ সরবরাহ ও কৃষকদের আগ্রহের কারণে এ সংখ্যা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে এক লাখ চার হাজার ৫৮৩ হেক্টরে।উপজেলা ভিত্তিক আবাদ: সদর: লক্ষ্যমাত্রা ৫,৪০০ হেক্টর; আবাদ ৫,৪০৫ হেক্টর বাসাইল: ৩৯০ হেক্টর; আবাদ ৩৯২,কালিহাতী: ৮,০৩০ হেক্টর; আবাদ ৮,৪৬৫,ঘাটাইল: ১৮,০৪০ হেক্টর; আবাদ ১৯,৪৯০,নাগরপুর: ২,৫১০ হেক্টর; আবাদ ৩,২০১,মির্জাপুর: ৪,৮৫০ হেক্টর; আবাদ ৪,৮৪৮,মধুপুর: ১৩,০০০ হেক্টর; আবাদ ১৩,০০২,ভূঞাপুর: ৬,২৩‍০ হেক্টর; আবাদ ৬,১০৫,গোপালপুর: ১২,৯০০ হেক্টর; আবাদ ১৩,০০০,সখীপুর: ১৭,২৬০ হেক্টর; আবাদ ১৭,২৬৫,দেলদুয়ার: ৩,৪৩০ হেক্টর; আবাদ ৩,৪৬০,ধনবাড়ী: লক্ষ্যমাত্রা ৯,৯৬০ হেক্টর; আবাদ ৯,৯৫০। কালিহাতীর সহদেবপুর ইউনিয়নের দিগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাঠজুড়ে ধান কাটার উৎসব। আধুনিক কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে কৃষকরা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে ভালো খড় পাওয়ার জন্য এখনো ৮০–৮৫ শতাংশ কৃষক হাতে ধান কেটে মেশিনে মাড়াই করছেন। উঠানে উঠানে নতুন ধানের স্তুপ জমতে শুরু করেছে; কিষাণীরা ব্যস্ত দম ফেলার ফুরসত নেই। কৃষকদের ভাষ্য, গত বছর বিঘাপ্রতি ১৪–১৬ মণ ধান পেলেও এবার পাওয়া যাচ্ছে ১৮–২০ মণ। ভালো বীজ, জমি প্রস্তুত থেকে মাড়াই পর্যন্ত আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার—সব মিলিয়ে ফলন বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবও ছিল। ঝড়-বৃষ্টি ও বাতাসে অনেক ধান জমিতে লুটিয়ে পড়ে—এর ফলে কিছু চিটা ধান দেখা গেছে। এরপরও বিঘাপ্রতি অতিরিক্ত ২–৪ মণ ধান পেয়ে কৃষকরা সন্তুষ্ট। কৃষকদের আশা, বাজারে আমন ধানের দাম ভালো থাকলে তারা এবার লাভবান হবেন। অন্যথায় উৎপাদনপ্রবণতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আশেক পারভেজ জানান,“ফিল্ড লেভেলে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা এবং বীজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনের ফলে এ বছর রোপা আমন আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে এবং ফলন হয়েছে আশানুরূপ। ইতোমধ্যে উৎপাদিত ধানের প্রায় ৬৩ শতাংশ কাটা শেষ হয়েছে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই পুরো জেলায় ধান কাটার কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”তিনি আরও জানান, "এ বছর জেলায় হাইব্রিড ও উফশী জাতের পাশাপাশি কিছু এলাকায় স্থানীয় জাতের ধানও চাষ হয়েছে। রোগবালাই তুলনামূলক কম থাকায় সব জাতেই ভালো ফলন এসেছে।"
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার  বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।  এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক  ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ,  বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।

টাঙ্গাইল শহরের গৌরঘোষ দধি ভাণ্ডারে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা

(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

অর্থনীতি

আরও পড়ুন
টাঙ্গাইলে আমনে উৎপাদন বেড়েছে ২–৪ মণ, কৃষক এখন ন্যায্যমূল্যের অপেক্ষায়
টাঙ্গাইলে আমনে উৎপাদন বেড়েছে ২–৪ মণ, কৃষক এখন ন্যায্যমূল্যের অপেক্ষায়

ভালো বীজ, আধুনিক কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার এবং অনুকূল আবহাওয়ার ফলে টাঙ্গাইলে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘাপ্রতি ২ থেকে ৪ মণ পর্যন্ত উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার কৃষকদের মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। পরিবার থেকে পাড়া—গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এ খুশির বার্তা। তবে তারা বাজারে আমন ধানের ন্যায্যমূল্য প্রত্যাশা করছেন। অগ্রহায়নের শুরু থেকেই টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকরা রোপা আমন কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতোমধ্যে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় ৬৩ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। মাঠে চলছে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর ব্যস্ততা—কিষাণী থেকে কৃষক সবাই এখন সময় দিচ্ছেন নতুন ধান ওঠানোর কাজে। টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে ১২টি উপজেলায় রোপা আমন আবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লাখ দুই হাজার হেক্টর। সরকারি প্রণোদনা, উন্নতমানের বীজ সরবরাহ ও কৃষকদের আগ্রহের কারণে এ সংখ্যা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে এক লাখ চার হাজার ৫৮৩ হেক্টরে।উপজেলা ভিত্তিক আবাদ: সদর: লক্ষ্যমাত্রা ৫,৪০০ হেক্টর; আবাদ ৫,৪০৫ হেক্টর বাসাইল: ৩৯০ হেক্টর; আবাদ ৩৯২,কালিহাতী: ৮,০৩০ হেক্টর; আবাদ ৮,৪৬৫,ঘাটাইল: ১৮,০৪০ হেক্টর; আবাদ ১৯,৪৯০,নাগরপুর: ২,৫১০ হেক্টর; আবাদ ৩,২০১,মির্জাপুর: ৪,৮৫০ হেক্টর; আবাদ ৪,৮৪৮,মধুপুর: ১৩,০০০ হেক্টর; আবাদ ১৩,০০২,ভূঞাপুর: ৬,২৩‍০ হেক্টর; আবাদ ৬,১০৫,গোপালপুর: ১২,৯০০ হেক্টর; আবাদ ১৩,০০০,সখীপুর: ১৭,২৬০ হেক্টর; আবাদ ১৭,২৬৫,দেলদুয়ার: ৩,৪৩০ হেক্টর; আবাদ ৩,৪৬০,ধনবাড়ী: লক্ষ্যমাত্রা ৯,৯৬০ হেক্টর; আবাদ ৯,৯৫০। কালিহাতীর সহদেবপুর ইউনিয়নের দিগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাঠজুড়ে ধান কাটার উৎসব। আধুনিক কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে কৃষকরা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে ভালো খড় পাওয়ার জন্য এখনো ৮০–৮৫ শতাংশ কৃষক হাতে ধান কেটে মেশিনে মাড়াই করছেন। উঠানে উঠানে নতুন ধানের স্তুপ জমতে শুরু করেছে; কিষাণীরা ব্যস্ত দম ফেলার ফুরসত নেই। কৃষকদের ভাষ্য, গত বছর বিঘাপ্রতি ১৪–১৬ মণ ধান পেলেও এবার পাওয়া যাচ্ছে ১৮–২০ মণ। ভালো বীজ, জমি প্রস্তুত থেকে মাড়াই পর্যন্ত আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার—সব মিলিয়ে ফলন বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবও ছিল। ঝড়-বৃষ্টি ও বাতাসে অনেক ধান জমিতে লুটিয়ে পড়ে—এর ফলে কিছু চিটা ধান দেখা গেছে। এরপরও বিঘাপ্রতি অতিরিক্ত ২–৪ মণ ধান পেয়ে কৃষকরা সন্তুষ্ট। কৃষকদের আশা, বাজারে আমন ধানের দাম ভালো থাকলে তারা এবার লাভবান হবেন। অন্যথায় উৎপাদনপ্রবণতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আশেক পারভেজ জানান,“ফিল্ড লেভেলে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা এবং বীজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনের ফলে এ বছর রোপা আমন আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে এবং ফলন হয়েছে আশানুরূপ। ইতোমধ্যে উৎপাদিত ধানের প্রায় ৬৩ শতাংশ কাটা শেষ হয়েছে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই পুরো জেলায় ধান কাটার কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”তিনি আরও জানান, "এ বছর জেলায় হাইব্রিড ও উফশী জাতের পাশাপাশি কিছু এলাকায় স্থানীয় জাতের ধানও চাষ হয়েছে। রোগবালাই তুলনামূলক কম থাকায় সব জাতেই ভালো ফলন এসেছে।"

ডিসেম্বর ৬, ২০২৫ 0

0 মন্তব্য