ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি বিষয়ে পঠন দক্ষতা এবং গণিত বিষয়ের মৌলিক দক্ষতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আজ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের আয়োজনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাস্টারে প্রথম হয়ে ৩০টি বিদ্যালয়ের ৯০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নূর-এ-আলম ভূঁইয়া'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় তিনটি বিষয়ের বিজয়ী ২৭ জন শিক্ষার্থীর হাতে প্রধান অতিথি হিসেবে সনদপত্রসহ পুরস্কার তুলে দেন গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ও পৌর প্রশাসক এন. এম. আব্দুল্লাহ-আল- মামুন। এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি বিষয়ে পঠন দক্ষতা এবং গণিত বিষয়ের মৌলিক দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য এ উদ্যোগ গ্রহণ সত্যিই প্রশংসিত। আমি চাই এটি যেন সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে যায়। এতে করে শিক্ষার্থীরা উদ্বুদ্ধ হবে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নূর-এ-আলম ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাংলা, ইংরেজি বিষয়ে পঠনের জড়তা কাটাতে এবং গণিত বিষয়ের ভীতি দূর করতেই এই আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মোঃ সবুজ মিয়া ও সায়মা সুলতানা'র সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর শাহ আলম এবং উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান, শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন
ময়মনসিংহ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার হালুয়াঘাট সার্কেল সার্বিক দিক নির্দেশনা মোতাবেক অফিসার ইনচার্জ মোঃ আল-মামুন সরকার এর তত্ত্বাবধানে আজ ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা ১৪.৩০ ঘটিকার সময় ধোবাউড়া থানার এসআই (নিঃ) আনোয়ার হোসেন, এসআই (নিঃ) হাদিছ উদ্দিন, এএসআই (নিঃ) মনির হোসেন সহ সঙ্গীয় ফোর্স এর সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে থানাধীন পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের দুধনই বাজারের পান মহালস্থ সাহাবুদ্দিন আলী এর দোকানের সামনে কলসিন্দুর টু পোড়াকান্দুলিয়া পাকা রাস্তা হতে ১২৯ বোতল অবৈধ ভারতীয় মদ সহ ০১টি ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যানগাড়ী জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য-৫,১৬,০০০/-(পাঁচ লক্ষ ষোল হাজার) টাকা। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন
জাতীয় সমবায় পুরস্কার-২০২৪ এর জন্য শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি ও শ্রেষ্ঠ সমবায়ী নির্বাচনে ময়মনসিংহ জেলা বাছাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত সভায় জাতীয় সমবায় নীতিমালা-২০২৫ এর আলোকে কৃষি, সমাজকল্যাণ, সঞ্চয় ও ঋণদান, উৎপাদনমুখিতাসহ ১০টি ক্যাটাগরিতে ১০টি শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি ও ৪ জন শ্রেষ্ঠ সমবায়ী (২ জন পুরুষ ও ২ জন নারী) নির্বাচিত হবে। বাছাই কমিটির মনোনয়নের ভিত্তিতে জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান ও সমবায়ীর নাম পরবর্তীতে বিভাগীয় পর্যায়ে পাঠানো হবে। সমিতির বয়স, শেয়ার মূলধন, সঞ্চয় আমানত, নীট লাভ, স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ, ঋণ আদায়ের পরিমাণ, লভ্যাংশ বিতরণ প্রভৃতি মানদণ্ডের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ সমিতি ও শ্রেষ্ঠ সমবায়ী নির্বাচন করা হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. তানভীর হাসানের সঞ্চালনায় বাছাই কমিটির সভায় কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলাথানাধীন উস্থি ইউনিয়নে অবস্থিত সানফ্লাওয়ার ব্যাটারিজ লিমিটেড-কে পরিবেশ আইন অমান্যের দায়ে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। আজ ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর বিধান লঙ্ঘন করে অনুমোদন ছাড়াই ব্যাটারি উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে উক্ত আইনের ধারা ১৫(১) অনুযায়ী ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া সরকারি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত ফ্যাক্টরিটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কালিহাতী থানা প্রাঙ্গণে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রবিউল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিহাতী সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল ইমরান, কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান, থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম, কালিহাতী আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ইশতিয়াক হোসেন নাসিফ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক প্রদীপ ব্যানার্জী নীরু, সদস্য সচিব প্রবাল ভট্টাচার্য মানিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ। জানা গেছে, এবার উপজেলায় ১৬৮টি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপিত হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রবিউল ইসলাম বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা চাই সবাই মিলে আনন্দমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপিত হোক। পূজা উপলক্ষে কেউ বাড়িঘর খালি রাখবেন না, কারণ অপরাধীরা সুযোগ নিতে পারে। কোনো সমস্যায় পড়লে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে জানান। প্রতিটি পূজামণ্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিহাতী সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, “কালিহাতীতে সবসময়ই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট ছিল। আমরা চাই এ সম্প্রীতি আরও দৃঢ় হোক। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা সতর্ক অবস্থানে থাকবে। পূজার সময়ে যাতে কোনো অঘটন না ঘটে, সেদিকে কঠোর নজরদারি থাকবে। কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিটি পূজামণ্ডপে পুলিশের টহল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে এবং প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। সভায় বক্তারা বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি সার্বজনীন উৎসব। তাই এ উৎসবকে ঘিরে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা সবার দায়িত্ব।
সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠন সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়ন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গণিগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা ও দুই শতাধিক অসহায় ও দরিদ্র নারী পূরুষের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ২টায় সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাথারিয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে ও আজির উদ্দিন ও হর গোপালের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠন শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ছাদিকুর রহমান। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,সংগঠনের সাধারন সম্পাদক সাহাব উদ্দিন ভূইয়া,জয়কলস ইউনিয়ন কমিটির সিনিয়র সদস্য আব্দুস সালাম,পূর্ববীরগাঁও ইউনিয়ন সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের সহ-সভাপতি আরজু মিয়া,পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন কমিটির প্রস্তাবিত সভাপতি বজলু মিয়া ও আমেরিকা প্রবাসী শওকত আলী প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠন শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ছাদিকুর রহমান বলেছেন,আমরা উপজেলার কয়েকজন সমাজেসবী ব্যাক্তিরা মিলে ২০২২ সালে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করি। আমাদের সংগঠনের মূল উদ্দেশ্যে হলো এই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে যারা অসহায় ও হতদরিদ্ররা রয়েছেন তদের জীবনমান উন্নয়নে আমরা কাজ করতে চাই। সমাজে অনেক গরীব লোকজন রয়েছেন যারা অর্থাভাবে তাদের মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না অথবা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না ঐ সমস্ত পরিবারকে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। পরে আগত দুই শতাধিক গরীব মানুষের মাঝে প্রত্যেককে ১০ কেচি করে চাল বিতরণ করা হয়।
সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠন সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়ন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গণিগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা ও দুই শতাধিক অসহায় ও দরিদ্র নারী পূরুষের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টায় সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাথারিয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে ও আজির উদ্দিন ও হর গোপালের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠন শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ছাদিকুর রহমান। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,সংগঠনের সাধারন সম্পাদক সাহাব উদ্দিন ভূইয়া,জয়কলস ইউনিয়ন কমিটির সিনিয়র সদস্য আব্দুস সালাম,পূর্ববীরগাঁও ইউনিয়ন সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের সহ-সভাপতি আরজু মিয়া,পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন কমিটির প্রস্তাবিত সভাপতি বজলু মিয়া ও আমেরিকা প্রবাসী শওকত আলী,গণিগঞ্জ বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক ডাক্তার নজরুল মিয়া,আব্দুল মতিন,শওকত মিয়া,মুজিবুর রহমান,মোঃ রাগিবুল ইসলাম,বজলুর রহমান,মোঃ আবু বক্কর প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠন শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ছাদিকুর রহমান বলেছেন,আমরা উপজেলার কয়েকজন সমাজেসবী ব্যাক্তিরা মিলে ২০২২ সালে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করি। আমাদের সংগঠনের মূল উদ্দেশ্যে হলো এই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে যারা অসহায় ও হতদরিদ্ররা রয়েছেন তদের জীবনমান উন্নয়নে আমরা কাজ করতে চাই। সমাজে অনেক গরীব লোকজন রয়েছেন যারা অর্থাভাবে তাদের মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না অথবা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না ঐ সমস্ত পরিবারকে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। পরে আগত দুই শতাধিক গরীব মানুষের মাঝে প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।
বি এন এস বি চক্ষু হাসপাতাল মৌলভীবাজার এবং সচেতন নাগরিক পরিষদ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার লন্ডন প্রবাসী পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের কৃতি সন্তান রেজাউল কবির জায়গীরদার রাজার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের নোয়াখালী সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফ্রি চক্ষু শিবিরের দিনব্যাপী উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি,জয়কলস,শিমুলবাক ও পাথারিয়া এই চারটি ইউনিয়নের দুই হাজার অসহায় ও গরীব লোকজন চোখের ছানি অপারেশন ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরন করা হয়। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,লন্ডন প্রবাসী রেজাউল কবির জায়গীরদার রাজা,পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা লুৎফুর রহমান খোকন,চক্ষু বিশেষঞ্জ চন্দ্র শেখর,ডাঃ দেওয়ান রুহুল আমীন,ডাঃ আব্দুল মান্নান,ডাঃ হাবিবুল্লা,ডাঃ মনতোষ পাল, বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান,সাবেক ইউপি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফরিদ মিয়া,হুমায়ূন আহমদ,অদুদ মিয়া,সেলিম মিয়া ও বাবুল মিয়া প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী সুকান্ত সাহা বলেছেন,এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। মানবসেবায় এমন মহতী উদ্যোগ সব সময় সমাজের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষজনের কল্যাণে অব্যাহত রাখার জন্য তিনি লন্ডন প্রবাসী উদ্যোক্তা বিএনপি নেতা রেজাউল কবির জায়গীর রাজার প্রতি তিনি এ আহবান জানান। তিনি আরো বলেন,যারা টাকার অভাবে চোখের চিকিৎসা করাতে পারেন না সমাজের অস্বচ্ছল নারী পূরুষদের বিনামূল্যে এই চিকিৎসাসেবা করা হয়েছে। পরে তিনি চোখে ছানি অপারেশন ও বিনামূল্যে চশমা বিতরণ কার্যক্রম ঘুরে ঘুরে দেখেন।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নেতৃত্বদানে সক্ষম প্রার্থী বাছাই করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এ বাছাই পরীক্ষা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে গ্রহণের জন্য হল ও কেন্দ্র প্রধান, আহ্বায়ক এবং বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২৪ এর প্রিলিমিনারি টেস্ট (এমসিকিউ টাইপ) উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সেমিনারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) বিজ্ঞ সদস্য এ এস এম গোলাম হাফিজ। বিপিএসসি কর্তৃক আয়োজিত জেলা পরিষদের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়া, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল ইসলাম ও সিভিল সার্জন মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খান। এছাড়াও শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর ) ময়মনসিংহের বিপিএসসির আঞ্চলিক কেন্দ্র ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিতব্য ৪৭তম বিসিএসের ২৮টি কেন্দ্রের হল প্রধান ও আহ্বায়ক, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ উপস্থিত ছিলেন। বিপিএসসির আঞ্চলিক কার্যালয় ময়মনসিংহের উপপরিচালক কামরুন্নাহার শেফার সঞ্চালনায় শুরুতেই পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নিয়ম-কানুন নিয়ে একটি তথ্যবহুল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। ময়মনসিংহে ২৮টি কেন্দ্রে মোট ৩০৩৮১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। এরপর প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রপ্রধানদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন বলেন, প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন করে মেডিক্যাল অফিসার এবং একজন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকবে। ছোটখাটো বা জরুরি প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় তারা নিয়োজিত থাকবে। পুলিশ সুপার বলেন, ১৯টি পয়েন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।যেকোনো ধরনের জালিয়াতি ও প্রতারণা রোধে পুলিশ সদা তৎপর। এছাড়াও যানজট এড়াতে পরীক্ষার্থীদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, আপনাদের পরীক্ষাপূর্ব, পরীক্ষা চলাকালীন এবং পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে করণীয় বিষয়ক যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা যথাযথভাবে পালন করুন।কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকুন। ময়মনসিংহের রেঞ্জ ডিআইজি বলেন, প্রশাসন ও পুলিশ সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে এ পরীক্ষা আয়োজনে বদ্ধপরিকর। বিপিএসসির সদস্য ও প্রধান অতিথি বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতির চেষ্টা করা হয়, সেগুলো চেকিং এর সময় সনাক্ত করে প্রতিহত করতে হবে। কানের মধ্যে কোনো ডিভাইস, ইলেকট্রনিক ঘড়ি, অলংকার, মোবাইল, মানিব্যাগ আনা যাবে না। নিষিদ্ধ সামগ্রীর বিষয়ে কেন্দ্রে হ্যান্ডমাইকে বারবার প্রচার করতে হবে। আসন বিন্যাস দৃশ্যমান জায়গায় টাঙানো, নিয়ম অমান্য করলে সাইলেন্ট এক্সপেল (নীরব বহিষ্কার) সহ সবকিছুতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে অনুরোধ রইল। সমাপনী বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পিএসসি’র পরীক্ষা জাহাজের মতো যার কান্ডারী আপনারা। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ বাছাই পরীক্ষা ময়মনসিংহ অঞ্চলে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টা একান্ত জরুরি
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদ হলরুমে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম। এতে উপস্থিত ছিলেন কালিহাতী আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার লে. ইশতিয়াক হোসেন নাসিফ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদা খানম লিজা, কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক প্রদীপ ব্যানার্জী নীরু, সদস্য সচিব প্রবাল ভট্টাচার্য মানিকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ। সভায় সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়, যাতে পূজা উদযাপন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। ইউএনও খায়রুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি এবং সূর্যাস্তের আগে বিসর্জন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকারও পরামর্শ দেন তিনি। ওসি মাহবুবুর রহমান আশ্বাস দেন, যেকোনো নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশ মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবস্থা নেবে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক প্রদীপ ব্যানার্জী নীরু বলেন, “প্রতিমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে পূজা অনুষ্ঠান না করাই উত্তম।” সভায় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনৈতিক দল এবং স্থানীয় জনগণকে একযোগে কাজ করার মাধ্যমে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের জন্য সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। রবিবার (১০ আগস্ট) রাতে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কাবারিয়া বাড়ি এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন ২৬ বীর সরিষাবাড়ী অস্থায়ী ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন অর্ণব কবির পাপন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলেন—টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার বেড়িপোটল গ্রামের দুলাল মিয়ার দুই ছেলে নাছির ও রুবেল এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কাবারিয়া বাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে সাদ্দাম। অভিযানে ১৮ পিস ইয়াবা, গাঁজা, পাঁচটি বাটন ফোন, নগদ ৭ হাজার ৮৯০ টাকা এবং একটি ধারালো অস্ত্র (কুড়াল) জব্দ করা হয়। পরে সকালে আটককৃতদের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হয়।
নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ১১নং কৈমারী মডেল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মৌজা ছিঁড়াবদী এলাকায় তিস্তা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছিল। দিনে-দুপুরে ও গভীর রাতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বাঁধ থেকে মাত্র ২০ ফুট দূরে বালু তোলা হচ্ছিল। স্থানীয়ভাবে এসব বালু ব্যবহার করার পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবেও বিক্রি করা হচ্ছিল। প্রথমে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের সতর্ক করে কার্যক্রম বন্ধ করেন। কিন্তু রাতের আঁধারে আবারও বালু উত্তোলন শুরু হলে বিষয়টি ৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়। ইউএনও’র নির্দেশে এসিল্যান্ড ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন এবং কিছু পাইপ ভেঙে দেন। এসময় উত্তোলনকারীদের কঠোরভাবে সতর্কও করা হয়। এরপর ক্ষুব্ধ বালু ব্যবসায়ী চক্র ইউএনওকে তথ্য দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় সংবাদদাতা মো. সিয়াম ইসলামকে হুমকি দেয়। তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার কথাও বলা হয়। এ ঘটনায় সিয়াম ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে পোস্ট দেন এবং জলঢাকা থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের মাত্র দুই দিন পর, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে দেশীয় অস্ত্র দা, কুড়াল ও লাঠি নিয়ে বালু ব্যবসায়ী চক্র সংবাদদাতা সিয়াম ইসলাম ও তার পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে সিয়াম, তার বাবা এবং ছোট ভাইসহ চারজন গুরুতরভাবে আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে চিকিৎসকরা অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলায় সিয়ামের বাবার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তার মাথায় ২৫টি সেলাই দিতে হয় এবং একটি হাত ভেঙে যায়। সিয়ামের মাথায়ও ২২টি সেলাই দিতে হয়েছে। ছোট ভাই সিহাবও হাত ভেঙে গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, তিস্তা বাঁধ সংলগ্ন একটি ছোট্ট ঘরে সিয়াম তার পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তার বড় ভাই রুহুল কুদ্দুস বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক হামলাকারীকে আটক করে। তবে বাকি আসামিরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। তাদের অভিযোগ, প্রভাবশালী একটি মহল মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। জলঢাকা থানার ওসি বলেন, “এই ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং দোষীরা শাস্তি ভোগ করবেই।” বর্তমানে আহত সংবাদদাতা সিয়াম ইসলাম ও তার পরিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ন্যায্য জ্বালানির অঙ্গীকার, নির্মল বায়ু সবার অধিকার”এই প্রতিপাদ্যে সুনামগঞ্জে নীল আকাশের জন্য আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস পালন করা হয়েছে। বায়ুর গুণমান উন্নত করতে এবং বায়ু দূষণ কমাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৭ সেপ্টেম্বর কে নীল আকাশের জন্য আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ উপলক্ষে শনিবার দুপুরে লতিফা কনফারেন্স হলে একশন এইডের সহযোগিতায় জেটনেট বিডি ও হাউস আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জৈববৈচিত্র ও উন্নয়ন ফোরামে সহ সভাপতি জনাব আবুল হোসেন। হাউসের নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরী শুভ'র সসঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য নুরুল হক আফিন্দী। আলোচনা সভায় বক্ততা বলেন, দেশের বায়ুকে নির্মল রাখতে হলে কার্বন নিঃস্বরণ কমাতেই হবে। এজন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। বক্তরা আরো বলেন দেশের তেল, গ্যাস ও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করে নবায়ন যোগ্য জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রূপান্তর করতে হবে। জ্বালানির এ রূপান্তরই হবে দেশের টেকসই উন্নয়নের ভিত। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, প্রভাষক শাহীনা চৌধুরী রুবী, সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফজলুল করিম সাইদ, শিক্ষাবিদ মোদাচ্ছির আলম সুবল, সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কোষাধ্যক্ষ এডভোকেট মহসিন রেজা মানিক, জাহির উদ্দিন জাহিদ, সুহেল আহমেদ, তৃষনা আক্তার রোশনা, জীববৈচিত্র ও উন্নয়নে তারুণ্যের সভাপতি ফারুক আহমেদ, চম্পা বেগম, সাংবাদিক কর্ন বাবু দাস প্রমুখ
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সাথে বাংলাদেশ পূজাঁ উদযাপন পরিষদ ও বাংলদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টসহ সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে শারদীয় দূর্গপূজাঁ ২০২৫ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক(রুটিন দায়িত্ব) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় বক্তব্যে রাখেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সমর কুমার পাল,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাকির হোসেন,সুনামগঞ্জ সেনাক্যাম্পের মেজর রাহাত,আনসার বিডিপির উপ পরিচালক রুবায়াত হাসান,সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে,বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বিমল বণিক,সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতিসন্তোষ রায় সন্তু,সাধারন সম্পাদক বলাই এষ,সুনামগঞ্জ পৌর কমিটির সভাপতি বিধান দাস,সহ সভাপতি অরুণ তালুকদার, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক বাবু অশোক তালুকদার,সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট দিপংঙ্কর বণিক সুজিত,অজিত দাস,রাজন তালুকদার,শংকর কুমার দাস,রমাকান্ত দাস,প্রজেশ রঞ্জন চৌধুরী,সুমন চক্রবর্তী,রনজিৎ সূত্রধর,পীযূষ কান্তি তালুকদার,দেবেশ রায়,পিংকু রায়,সজীব রায়,সুব্রত বণিক,চন্দন রায়,অরবিন্দু তালুকদার,নিরঞ্জন দেবনাথ,রিন্টু রায়,রতন কুমার মিস্ত্রি,জগন্নাথ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক বিজন দে,জামালগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমরেন্দ্র আচার্য্য শম্ভ,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সুমন পাল চৌধুরী,বিশ^ম্ভর কমিটির সভাপতি জীবন কৃষ্ণ দাস,সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক স্বপন বর্মণ,শান্তিগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষশদের সভাপতি জ্যোতি ভ’ষন তালুকদার ঝন্টু,সাধারন সম্পাদক সুরঞ্জিৎ চৌধুরী টপ্পা,তাহিরপুর কমিটির সাধারন সম্পাদক গণেশ তালুকদার,দিরাই কমিটির সাধারন সম্পাদক স্বাধীন দাস সহ জেলা প্রশাসন,সেনাবাহিনী,বিজিবিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করেন বিগত আওয়ামীলীগের আমলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির সহযোগি সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দদেরকে জেলায় কোন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতে দেয়া হয়নি। গত বছরের ৫ই আগষ্ট ফ্যাসিস আওয়ামীলীগের পতনের পর এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উন্মুক্তভাবে এখন তারা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সভা সমাবেশ পালন করতে পারছেন বলে জানান। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক(রুটিন দায়িত্ব) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম বলেছেন,আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সম্প্রদায়ের ৫দিনব্যাপী হিন্দু সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হবে তাই পূজাঁ নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সুনামগঞ্জ হচ্ছে সম্প্রীতির একটি নিরাপদ জায়গা। এই জেলায় প্রতিটি ধর্মের মানুষের মাঝে সম্প্রীতির যে একটা মিলবন্ধন রয়েছে তা বাংলাদেশের মধ্যে একটি অনন্য উদাহরণ। তিনি বলেন আগামী দূর্গাপূজা নির্বিঘেœ পালন করতে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বলয় তৈরী করবেন এবং পূজামন্ডপে নিজস্ব ভলেন্টিয়ার থাকবে এবং প্রতিটি পূজামন্ডপকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে ও তিনি জানান।
আটক করার দীর্ঘ ৪ মাসের ব্যবধানে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আগ্রহী প্রায় ৭০ জন দরদাতাদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে ১০ লাখ টাকার পে-অর্ডার গ্রহন করার পরও জব্দকৃত বিভিন্ন আকৃতি ও রঙ্গের ভারতীয় ৯০টি ডেকা ষাড় গরুর নিলাম সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত করেছেন সনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার পর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতের এজলাস কক্ষে সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের নিলাম সংক্রান্ত কমিটির আহবায়ক ও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিন,জনাকীর্ণ আদালতে এই নিলাম কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। বিজ্ঞ আদালতের দুইজন বিচারক একত্রে এজলাসে বসে ঘোষণা করেছেন, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার মামলা নং ০২ (জিআর ১২৬/২০২৫) তাং ৪/৫/২০২৫ইং এর মাধ্যমে জিম্মাদারদের কাছে যে ৯০টি গরু জিম্মায় দেয়া হয়েছিল তারা আজকে আদালতে এতদিন গরুগুলোর ভরন পোষন বাবত ১৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে আদালতের কাছে দাবী করেছেন। অন্যদিকে আজকে আদালতের সামনে যে ৯০টি গরু উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করে আমরা দেখেছি পূর্বের জব্দকৃত গরুগুলোর সাথে আকারে প্রকারে আজকের আনীত গরুগুলোর কোন মিল নেই। এছাড়া সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ ও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে আদালতের নিলাম কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ৯০টি গরু উপস্থাপন করতে গিয়ে জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহন করা হয়েছে। এসব কারণে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট সকল এজেন্সীর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আমরা নিলাম কার্যক্রম আপাতত স্থগিত ঘোষণা করলাম। জানা যায়,সুনামগঞ্জের সাংবাদিকদের কাছ থেকে সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে গত ৩০ এপ্রিল ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র সদস্যরা দোয়ারাবাজার থেকে একটি স্ট্রীলবডি ইজ্ঞিন চালিত নৌকায় করে সুরমা নদী দিয়ে পাচারকালে ইঞ্জিননৌকাসহ যে ৯০টি ভারতীয় গরু আটক করেছিল সেই গরুগুলো তৎকালীন চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্সের সভাপতি ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ৫জন চোরাকারবারীর কাছে জিম্মা দেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এর আওতাভূক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ঐ জিম্মাদানের ঘটনাটিকে জিম্মা নাটক বলে এই প্রক্রিয়াকে বেআইনী ঘোষণা করে সিলেটের বিভাগীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কার্যক্রমে লিখিত বক্তব্য দিয়ে সম্পৃক্ত হন সুনামগঞ্জের সচেতন ৮/১০ জন সাংবাদিক। এদিকে ২৬ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪ টায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর কার্যালয়স্থিত নিলাম কমিটির আহবায়কের এজলাস কক্ষে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করা হবে ৯০টি গরু। আগ্রহী ক্রেতাগনকে যথাসময়ে উপস্থিত থেকে ৯০টি ডেকা ষাড় গরু ক্রয়ের জন্য ১০ লক্ষ টাকা জামানত হিসেবে সংশ্লিষ্ট আদালতের নেজারত বিভাগের রুপালী ব্যাংক শাখার অনুকূলে ১৯৩৩০২৪০০০০২৩ নং হিসেবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে বলা হয়। গত ১০/০৮/২০২৫ইং তারিখে ৩৮২ নং স্মারকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ও সিজেএম কোর্টের নিলাম সংক্রান্ত কমিটির আহবায়ক মুহাং হেলাল উদ্দিন উক্ত নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ জারী করলে একাধিক আগ্রহীরা নিলামে অংশগ্রহন করেন। কিন্ত কাস্টমস ও বিজিবি কর্তৃপক্ষের মতে এই নিলাম এখতিয়ার বহির্ভূত। কাস্টমসকে উপেক্ষা করে আদালত একতরফাভাবে নিলাম করতে পারেনা বলে যে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল শেষ পর্যন্ত সেটিই বাস্তবায়িত হলো। এর আগে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক খবরপত্র প্রতিনিধি হোসাইন মাহমুদ শাহীনসহ ৮জন সাংবাদিক বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) পর্যন্ত তদন্ত কমিটির আহবায়ক কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট এর কমিশনার রেজভী আহাম্মেদ এবং একই বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলা বিভাগীয় কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব সহকারী কমিশনার গৌরব মহাজনের কাছে সুনামগঞ্জে ৯০টি ভারতীয় গরু অদৃশ্য হওয়ার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে দায়ী করে তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১২মে কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট এর ০৮.০১.৬০০০.০১৭.৩৪.০০৩.০৭ (অংশ-১)/২৪৬৮ নং স্মারকাদেশ মোতাবেক জনৈক আব্দুল আলী নামের এক ব্যক্তির দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ৪ সদস্য বিশিষ্ট উক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দায়েরকৃত অভিযোগে সাংবাদিকরা বলেন,গত ৩০ এপ্রিল আমরা সুনামগঞ্জ শহরে কর্মরত প্রায় ২০ জন সাংবাদিক ঘটনার সময় জেলার আব্দুজ জহুর সেতুতে অবস্থান করে,নদীপথে ৯০টি ভারতীয় চোরাই গরু পাচার করা হইতেছে দেখে স্বউদ্যোগী হয়ে বিজিবি সুনামগঞ্জকে একের পর এক মোবাইল কল করত: সংবাদ দেই। আমাদের মোবাইল ফোনের সংবাদে বিজিবি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের অচিন্তপুর গ্রামের সামনে সুরমা নদীতে নৌকাসহ ৯০টি গরু আটক করে ব্যাটালিয়নের হেডকোয়ার্টারে আটককৃত নৌকাসহ ৯০টি গরু নিয়ে যায়। আটককৃত গরুগুলোর ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অমিত সাহা,এগুলো ভারতের মেঘালয় এলাকার গরু বলে লিখিত মতামত ব্যক্ত করেন। এরপর আমরা সাংবাদিকরা সুনামগঞ্জ বিজিবির মল্লিকপুরস্থ হেডকোয়ার্টারে সরজমিনে গিয়ে আটককৃত গরুগুলোর ভিডিও ধারন করি। এসময় সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত কাস্টমস কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন ,স্টমস আইন ২০২৩ ও বিধি অনুযায়ী গরুগুলো নিলাম দেওয়ার জন্য বলার পরও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুনামগঞ্জ (এডিএম) মোহাম্মদ রেজাউল করিমের দোহাই দিয়ে ৫ জন ব্যবসায়ী বিজিবির মল্লিকপুরস্থ হেডকোয়ার্টারে অনধিকার প্রবেশ করে সাংবাদিকদের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি অনধিকার প্রবেশকারী ঐ ৫জন লোক ভারতীয় গরুর চোরাকারবারী। এডিএম মোহাম্মদ রেজাউল করিম,ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রচলিত কাস্টমস আইনকে উপেক্ষা করে ঐ ৫ জন লোকের কাছে একে অপরের যোগসাজশে তার পছন্দের ব্যক্তি হিসেবে আটককৃত ভারতীয় গরুগুলো নির্বাহী ম্যাজিট্টেট মেহেদী হাসান হৃদয় কে প্রেরণ করে উপস্থিত সকল সংস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করে গরুগুলো তাদের জিম্মায় দিতে বিজিবিকে বাধ্য করেছেন। ঐদিন তিনি জেলা সদরে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের ও চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্সের সভাপতিরও দায়িত্বে ছিলেন। জিম্মা গ্রহনকারীরা ঐ গরুগুলো এডিএম রেজাউল করিমের আশ্রয় প্রশ্রয়ে ও পরোক্ষ সহযোগীতায় কালোবাজারে বিক্রয় করেছে মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় তদন্তাধীন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আল আমিন সরজমিনে গিয়ে ৯০টি ভারতীয় গরু জিম্মাদারদের কাছে না পেয়ে গত ১০ জুন বিজ্ঞ আদালতকে লিখিতভাবে অবগত করেন। পরবর্তীতে ভারতীয় গরু পাচারের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এডিএম মোহাম্মদ রেজাউল করিম কথিত ৫ জিম্মাদারকে যেকোন মূল্যে ৯০টি গরু তাদের হেফাজতে পুনরায় সংগ্রহের নির্দেশ দিলে উক্ত জিম্মাদাররা দেশী বিদেশী আরো ৯০টি গরু সংগ্রহ করে। কিন্তু পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা,বিজিবি,কাস্টমস এর কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা জিম্মাদারদের জিম্মায় নেয়া পূর্বের গরুর মধ্যে মাত্র ১৪টি ভারতীয় গরুর কোনরকম মিল পেলেও বাকী গরুগুলো পূর্বের আটককৃত ও জিম্মায় দেয়া গরুর সাথে মিলেনা বলে জানিয়েছেন এবং মতামত ব্যক্ত করেছেন। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন,বিজিবির উপস্থাপন মতে ৯০টি গরুর মধ্যে পূর্বের গরুর সাথে মাত্র ১৪টি গরুর মিল পাওয়া গেছে মর্মে গত ২৮ জুলাই বিজ্ঞ আদালতে আমি একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছি। ভারতীয় গরু পাচারে সহায়তার অভিযোগটি ধামাচাপা দিতে এবং বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহন করা হচ্ছে বলেও দুদকের কর্মকর্তারা অনুসন্ধানে জানতে পেরেছেন। গত ২৯ জুলাই কাস্টমস বরাবরে সাংবাদিকদের নাম ঠিকানা উল্লেখসহ সাংবাদিক হোসাইন মাহমুদ শাহীন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সদাশয় সরকারের ৭০ লক্ষ টাকা রাজস্বের ক্ষতিসাধন এবং কাস্টমস আইন অমান্য করে জিম্মদার নাটকের মাধ্যমে ভারতীয় গরু পাচারে সহায়তার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে এডিএম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন অভিযোগকারী সাংবাদিকবৃন্দ। জানা যায়,এডিএম রেজাউল করিম ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি সুনামগঞ্জে এডিসি হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে আওয়ামীলীগের মন্ত্রী,এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে তার ব্যক্তিগত দহরম মহরম গড়ে উঠে। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের দায়িত্বে থেকে হাঠবাজারের গরু বিক্রেতাদের সাথে গড়ে উঠে তার অন্যরকম সম্পর্ক। সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল জাকারিয়া কাদির বলেন, ৯০টি গরু টাস্কফোর্স কমান্ডার জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ৫ জনকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। পরে পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করে জানতে পেরেছে আমাদের আটককৃত গরুগুলো জিম্মাদারদের কাছে নেই। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ওই ঘটনার টাস্কফোর্স কমান্ডার মেহেদি হাসান হৃদয় ইতিপূর্বে সাংবাদিকদের বলেন,আমি বিজিবিকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দিয়ে গরুগুলো ৫ জনের জিম্মায় দিয়েছিলাম। এগুলো রাখার এখতিয়ার আমাদের নেই। এ বিষয়ে আদালতই সিদ্ধান্ত নিবেন। সুনামগঞ্জ জেলা সদরে শত শত গরু বিক্রেতা ও খামারী থাকার পরও দোয়ারাবাজারের সীমান্ত হাটের ব্যবসায়ীদের কাছে কার নির্দেশে জিম্মায় দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন,যে ম্যাজিস্ট্রেট গরুগুলো জিম্মায় দিয়েছেন এবং যে কর্মচারী কথিত জিম্মানামায় স্বাক্ষর করেছেন তাদের উভয়কেই বিজিবির হেডকোয়ার্টারে প্রেরণ করেছেন এডিএম রেজাউল করিম। সুতরাং জিম্মা নাটকের মাধ্যমে ভারতীয় গরু আড়াল করার ঘটনার দায় তিনি কোনভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেননা। কিন্ত অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম বরাবরই বলে এসেছেন,এটা কোর্টের বিষয় কোর্ট দেখবে। তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের সুনামগঞ্জ জেলা কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব সহকারী কমিশনার গৌরব মহাজন ও বড়ছড়া কাস্টমস এর গোডাউন কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন,আমরা বারবার বলে আসছি ভারতীয় গরু নিলামের এখতিয়ার শুধুমাত্র কাস্টমস আইনে কাস্টমস কর্তৃপক্ষসহ চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্সের হাতেই ন্যস্ত রয়েছে। আমরা বিধি মোতাবেক জেলা প্রশাসন,বিজিবি,ডিজিএফআই ও এনএসআই প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্য দিবালোকে নিলাম করার আইনগত অধিকার রাখি। ৩০ এপ্রিলের জব্দকৃত গরুগুলো ঐসময়ই নিলাম করার কথা। কিন্তু জেলা প্রশাসন কাস্টমস আইন ও বিধিবিধান অনুসরণ না করায় ৪ মাস পরে নিলাম দেওয়ার কথা উঠেছে। তাছাড়া পূর্বের ৯০টি ভারতীয় গরুর মধ্যে বর্তমানে আছে ১৪টি। বাকি ৭৬টি ভেজাল গরু সংগ্রহ করে জাল জালিয়াতির আশ্রয় যারা গ্রহন করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করার দায়িত্ব সুনামগঞ্জবাসীকে নিতে হবে বলে আমরা মনে করি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পূর্বের জব্দকৃত ৯০ টি ভারতীয় গরুর মধ্যে যেখানে পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট মতে ৭৬টি গরু এখনও বাস্তবে নেই সেই ৭৬টি গরুর দায়িত্ব কে নেবে ? এবং ৩০ এপ্রিলের পর ১লা মে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির হেডকোয়ার্টারে আমাদের নির্ধারিত ৭০ লক্ষ টাকা নিলামের সরকারী রাজস্ব মূল্য কে দেবে ? এরজন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আদৌ কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কি ? এছাড়া বিজিবি হেডকোয়ার্টারে হাতের নাগালের মধ্যে পেয়েও যেসব চোরাকারবারীদের আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি এমনকি আসামী করা হয়নি মামলার এজাহারে সেই ৫ জিম্মাদারের কবল থেকে ৭৬টি গরু উদ্ধারের কোনরকম প্রচেষ্টা কি আদৌ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নেবে সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন নাগরিকদের মধ্যে। মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালতের সামনে উপস্থিত আইনজীবী,সাংবাদিক,আইনজীবী সহকারী,নিলামে অংশ নেয়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ব্যবসায়ীরা একবাক্যে বলেন,আজ আমরা যে গরুগুলো দেখলাম তার মধ্যে একটি গরু ও পূর্বের জব্দকৃত মোটাতাজা ভারতীয় গরু নয়। এগুলোর সবকটিই হচ্ছে স্থানীয় জাতের গরু। এর মধ্যে ৭৬টিই হচ্ছে ছোট বকনা বাছুর। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত কোনদিকে মোড় নেয় সেদিকে দৃষ্টি এখন সকলের।
ওসি আলাউদ্দিনের আহ্বান—“সবার সহযোগিতা পেলে মাদক নির্মূল সম্ভব” গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন মাদক নির্মূলে তার কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “মাদক নির্মূলে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা পেলে কালিগঞ্জকে মাদকমুক্ত এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, “মাদক কারবারি ও মাদকসেবীরা কোনো রাজনৈতিক দলের অংশ নয়। তারা কেবল মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। এরা সমাজের শত্রু, দেশের শত্রু। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।” দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ওসি আলাউদ্দিন সাহসিকতার সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করেছেন। তার নেতৃত্বে কালিগঞ্জ থানা ইতিমধ্যে নানা মাদকবিরোধী অভিযানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যেখানেই মাদক কারবারি বা সেবনকারী পাওয়া যাবে, তাদেরকে ধরে আইনের হাতে তুলে দিন। এতে সমাজ ও দেশ উভয়ই উপকৃত হবে।” কালিগঞ্জবাসী তার এ উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সাধারণ মানুষও ওসি আলাউদ্দিনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার কৈতক রাজনপুর গ্রামে এক নিরীহ ব্যাক্তির সাথে গ্রামের প্রতিপক্ষ আত্মীয় হলে ও স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়াতে গ্রাম্য বিভিন্ন বিষয়াদি,জায়গা জমি ও বাড়ির সীমানা এবং ডুবা নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে নগদ দু”লাখ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনতাই ও শারীরিক নির্যাতন ও প্রাণে হত্যার হুমকিদাতা গংদের বিরুদ্ধে আমল গ্রহনকারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ছাতক জোনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত ১৩ই আগষ্ট রোজ বুধবার বিকেলে নিজ বাড়ির সামনে। এই ঘটনায় গত ১৯ আগষ্ট রাজনপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ আলীর ছেলে নিরীহ আব্দুর রহিম নিজে বাদি হয়ে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ হুমকিদাতা আলমাছ আলীর আলী আহমদ(৪০),স্বাধীন মিয়া,আহাদ মিয়ার ছেলে ইজাজুল মিয়া,আসদ আলীর ছেলে আব্দুল্লা,মারুফ মিয়ার ছেলে রহমত আলী,স্বাধীন মিয়ার স্ত্রী রুবেনা বেগমকে আসামী করে এই মামলাটি দায়ের করেন। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১১৪/৩২৩/৩০৭/৩৮২/৩৭৯/৫০৬ ও ৩৪ ধারায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত গত ১৩ই আগষ্ট মামলার বাদি আব্দুর রহিমের মামাতো ভাই মৌলভীবাজারের শোয়েব মিয়া দুবাইয়ে অবস্থান করায় তার ফুফাতো ভাই মামলার বাদি আব্দুর রহিমকে দুবাইয়ের ভিসার প্রসেসিং করায় আব্দুর রহিম শান্তিগঞ্জ বাজারের পাশে তার বড়বোন মনোয়ারা বেগমের নিকট হতে দুইলাখ টাকা নিয়ে বাড়িতে আসেন। এমন খবর পেয়ে প্রতিপক্ষ গ্রামের আলী আহমদ,স্বাধীন মিয়া ও তার স্ত্রী রুমেনা বেগম দেশীয় ও দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে আব্দুর রহিমের গতিরোধ করে গলায় দাঁড়ালো অস্ত্র ঠেকিয়ে দুইলাখ টাকা,ত্রিশহাজার টাকা দামের একটি এন্ডএজ মোবাইল ও পাচঁহাজার টাকা দামের বাটন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় ছিনতাইকারীরা বাদি আব্দুর রহিমকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে রক্তাক্ত করে এবং যাওয়ার সময় এই ঘটনা নিয়ে কাউকে জানালে তোমার বাড়িঘর দখলসহ প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে যায় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরে বাদি আব্দুর রহিমের বসতভিটার দ্ইুহাত জায়গা এবং চলাচলের রাস্তাটি র্যন্ত জোরপূর্বক দখল করে তাদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এসবের প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে নামাংঙ্খিত ব্যাক্তিরা প্রাণনাশের ও হুমকি দিত বলে উল্লেখ করা হয়। এ ব্যাপারে মামলার বাদি আব্দুর রহিম জানান মৌলভীবাজারে আমার মামতো ভাই দুবাই প্রবাসী হওয়াতে তিনি আমার জন্য ভিসার ব্যবস্থা করেন। আমি এমন খবর পেয়ে ভিসার টাকার জন্য শান্তিগঞ্জ উপজেলায় আমার বড়বোনের বাড়ি হতে নগদ দু”লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি আসার পথে বাড়ির সামনে প্রতিপক্ষ আলী আহমদ,স্বাধীন মিয়া ও তার সহধর্মিনী রুমেনা বেগম দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে আমার গতিরোধ করে গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকাপয়সা ও দুটি মোবাইল ফোনে ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে মারধোর করে রক্তাক্ত জখম করে এবং ঘটনাটি কাউকে জানালে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার ও হুমকি দেয়। বর্তমনে আমি পরিচার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। অবিলম্বে এই সমস্ত ছিনতাইকারি চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি আমার টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট দাবি জানাই। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ হামলাকারি আলী আহমদ ও স্বাধীন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা টাকা ছিনতাই ও হামলার ঘটনাটি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শফিকুল ইসলাম খাঁন জানান,আদালতে মামলা হলেও মামলার কপি হাতে আসেনি। আসলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইরা-সিআরইএ প্রকল্পের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী অভিযোজন এক্সপো মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুববার বিকেল সাড়ে ৪টায় এনজিও সংস্থা ইরা- সিআরইএ প্রকল্পের আয়োজনে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনার বিষয় ছিল লিঙ্গ-সংবেদনশীল দূর্যোগ ঝুকি হ্রাস ও প্রস্তুতি। ইরা'র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও এনটিভির সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি দেওয়ান গিয়াস চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন 'মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন' এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার, আহসানুল ওয়াহেদ। প্রথমআলো স্টাফ রিপোর্টার অ্যাড. খলিল রহমান, সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য রুনা শাহিনারা লেইস, ইরা'র প্রধান উপদেষ্টা ফাহমিদা আক্তার, বাতিঘর সংগঠনের আবৃত্তি শিক্ষক তাজকিরা হক তাজিন। পরে বিকালে সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইরা'র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কামরুজ্জামান। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। তিনি বলেন, জলবায়ূ পরিবর্তন ও বন্যা মোকাবেলায় আমাদের সবাইতে বেশী করে সচেতন হলে নিজেকে যেমন রক্ষা করা সম্ভব পাশাপাশি ছেলেমেয়ে গোবাদি পশুসহ সবকিছু এই বন্যার ঝুকি মোকাবেলা করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্েয এবং গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট প্রদর্শন করায় সকল স্টল দায়িত্বশীলদের পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে ১৪টি স্টল পরিদর্শন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া এবং অন্যান্য অতিথিরা। অনুষ্ঠানে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের, বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের ও ফতেহপুর ইউনিয়নের প্রায় ৭০ জন উপকারভোগী অংশ নেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র্যালী, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ডাস্টবিন স্থাপন ও ফলজ-বনজ বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ স্থলে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংকর বনিক সুজিত। পরবর্তীতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ডাস্টবিন স্থাপন ও ফলজ-বনজ বৃক্ষরোপন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আরএমও এবং সুনামগঞ্জ ড্যাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ,সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া,লিয়াকত আলী, আনোয়ার আলম, মোজাহিদুল ইসলাম শিপলু সৈয়দ মোহাদ্দিস,বাহাউদ্দীন শাহী,মনসুর আহমদ, ওমর ফারুক, সামসুর রহমান, আহমেদ হুমায়ুন রশিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য (দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত) দপ্তর সম্পাদক ছাদিকুর রহমান চৌধুরী, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন আপু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য নুর জালাল মন্টি,এডভোকেট আতিকুর রহমান, সাইফুল ইসলাম আতাহার চৌধুরী শাহীন, মাসুম বিল্লাহ,আতহাব চৌধুরী হাসান,আসাদুজ্জামান সাগর,মাছুম বিল্লাহ,জুবায়ের আহমদ সহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের অধীনস্থ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দরা।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা বেগমের দাদন ব্যবসার ভেড়াজালে পড়ে এবং মিথ্যা মামলা হামলার ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত সাহেব আলীর ছেলে সংবাদকর্মী শফিউল আলম ও তার আপন সহোদর হাবিজুল আলম। এ ঘটনার ধারাবাহিকতায় জানাযায় হাবিজুলের আপন বড়ভাই স্থানীয় সংবাদকর্মী শফিউল আলমের শ্বশুর জামালগঞ্জ উপজেলার তেলিয়া লামাপড়া গ্রামের বাসিন্দা আলিম উদ্দিনের একটি পাওয়ার টিলার জমি আবাদের জন্য পাঠনো হয় তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রাজাই গ্রামে। কিন্তু দাদন ব্যবসায়ী স্কুল শিক্ষিকা রেহেনা বেগম জানতে পারেন দেনাদার হাবিজুল আলমের বড়ভাই সাংবাদিক শফিউল আলমের শ্বশুরের পাওয়ার টিলার রাজাই গ্রামে নেওয়া হয়েছে জমি চাষাবাদের জন্য। এই সুযোগে শিক্ষিকা রেহেনা বেগম দলবল নিয়ে গত ২০২৩ সালের ৭ই আগষ্ট রাজাই গ্রামে গিয়ে এই পাওয়ার টিলারটি জোরপূর্বক নিয়ে আসার চেষ্টাকালে সাংবাদিক শফিউল আলম ৯৯৯ এই নম্বরে কল করলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পাওয়ার টিলারটি আর নিতে দেয়া হয়নি। এই শিক্ষিকা রেহেনা বেগম তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গড়কাটি গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের মেয়ে এবং তিনি আমতৈল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে রেহেনা বেগম ভূক্তভোগী চড়াসুদের দেনাদার হাবিজুল ও শামছুল আলম এবং শফিউল আলমকে বিভিন্নভাবে হুমকি দামকী দিয়ে আসছিলেন। দাদন ব্যবসায়ী স্কুল শিক্ষিকা মোছাঃ রেহেনা বেগম সাংবাদিক শফিউল আলমের আপন ছোটভাই হাবিজুলকে দেড়লাখ টাকা চড়াসুদে দেওয়ার পর থেকে সুদে আসলে টাকা পরিশোধ করতে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতির কারণে সাংবাদিক শফিউল আলম ২০২৩ সালের ৯ই আগষ্ট দাদন ব্যবসায়ী মোছাঃ রেহেনা বেগমের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,২০২৩ ইং সালের ৬ মার্চ মাসে বিপদে পড়ে হাবিজুল আলম ঐ শিক্ষিকা দাদন ব্যবসায়ী রেহেনা বেগমের দারস্থ হন এবং চড়াসুদে দেড়লাখ টাকায় আরো ত্রিশহাজার টাকা মুনাফা দেয়ার অঙ্গীকার করে সুদে টাকা গ্রহন করেন। সময়মতো সুদ ৩০ হাজার টাকা প্ররিশোধ করলে ও আসলের একলাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় কৃষক হাবিজুল আলমকে মানসিকভাবে নির্যাতন চালায় সুদখোর রেহেনা। পরবর্তীতে দেনাদার হাবিজুল আলম ২০২৩ সালের ৯ আগষ্ট মোট টাকার মধ্যে চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে দাদন ব্যবসায়ী রেহেনা বেগমের বাড়িতে গেলে রেহেনা বেগম চল্লিশ হাজার টাকা রেখে ষ্ট্যাম্পে আর ৬০ টাকা বর্ধিত করে মোট দুইলাখ চল্লিশ হাজার টাকা দুয়েকদিনের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য মানসিক চাপ প্রয়োগ করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।এঘটনায় হাবিজুল আলম মানসিক অসুস্থ হয়ে পড়লে সাংবাদিক শফিউল আলম জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ বরাবর সুদখোর রেহেনার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফ থেকে তদন্ত করা হলে ও কোনধরনের সুরাহা হয়নি। পরবর্তীতে দাদন ব্যবসায়ী রেহেনা বেগম রাগান্বিত হয়ে সাংবাদিক শফিউল আলম ও বড় ভাই শামছুল আলম এবং তার ছোট ভাই তফছিরুল আলম হাবিজুল আলমের বিরুদ্ধে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ও ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে সুদের টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার লিখিত অভিযোগে ও দায়ের কৃত মামলার লিখিত ভাষ্য ভিন্ন ভিন্ন দেখা যায়। পরবর্তীতে তৎকালীন ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ সাংবাদিক শফিউল আলম ও হাবিজুল আলমকে ২০২৪ ইং সালের ১৫ মে পরিষদে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন উভয়পক্ষই যথাসময়ে পরিষদে হাজির হন। সাংবাদিক শফিউল আলম উপস্থিত হয়ে এই টাকার সাথে তার ও তার আরও দুই ভাই শামছুল আলম ও তফছিরুল আলমের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেন।ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদে রেহেনার দায়ের করা অভিযোগ খারিজ হয় কিন্তু কোনরকম সুরাহা হয়নি। এদিকে ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর সাংবাদিক শফিউল আলম নিজের প্রতিষ্ঠানের জরুরী কাজে বাদাঘট বাজারে গেলে দাদন ব্যবসায়ী স্কুল শিক্ষিকা রেহেনা বেগম তার সন্ত্রাসী বাহিনী সহ সে তাকে আটক করে শারীরিক নির্যাতন করে দুই লাখ টাকা দাবি করে।তাদের সৃজনকৃত একটি লিখিত স্টাম্পে স্বাক্ষর রেখে নগদ ত্রিশহাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায় এবং সাংবাদিকের সোনালী ব্যাংক শাখার একটি চেক এ একলাখ ৭০ হাজার টাকা লিখে চেক রেখে তাকে ছেড়ে দেয়। এই চেক রাখার পর সাংবাদিককে শাসিয়ে দিয়ে দাদন ব্যবসায়ী বলে দেন এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মেরে ফেলার ও হুমকি দিয়ে দেন। এদিকে আহত সাংবাদিক শফিউল আলম বিশ্বম্ভরপুর এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তাকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে গত ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার ও তাহিরপুর থানায় সুদখোক শিক্ষিকা রেহেনা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের ১৮দিন পরে সুদখোর মহাজন রেহেনা বেগম ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে বাদি হয়ে সাংবাদিক শফিউল আলম ও তার ছোটভাই হাবিজুল আলমের নিকট দুইলাখ টাকা পাবে এমন অভিযোগ এনে আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাহিরপুর জোনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৭০/২০২৪ইং তারিখ। এই মামলা থেকে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সাংবাদিক শফিউল আলমকে অব্যাহতি প্রদান করেন। পরবর্তীতে এই মামলাটি বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে এই মামলার পর সাংবাদিক শফিউল আলম সুদখোর মহাজন শিক্ষিকা রেহেনা বেগমকে আসামী করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাহিরপুর জোনে মামলা নং ১১৭/২৪ একটি মামলা দায়ের করেন।মাননীয় আদালত মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কে।এ মামলার তদন্তে রেহেনার দাদন ব্যবসার বিষয় টি উঠে আসে।সি আর ১১৭/২৪ এই মামলার পরপরই রেহেনা বেগম সাংবাদিক শফিউল আলমকে আসামী করে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে সাংবাদিক শফিউল আলম বৃহস্পতিবার(১৪ই আগষ্ট ২০২৫) ইং তারিখে সুদখোর রেহেনা বেগমের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে আরো পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে শিক্ষিকা রেহেনা বেগম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চড়াসুদে দাদন ব্যবসা করে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা আর তার চড়াসুদের ব্যবসায় ইতিমধ্যে অনেকগুলো মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই এমন অভিযোগের কথা সাংবাদিকদের জানান। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দাদন ব্যবসায়ী মোছাঃ রেহেনা বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সুদের ব্যবসার কথা অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহন লাল দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানা তদন্ত সাপেক্ষে প্রমানিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।