সারা দেশ

সেতু নয় ভোগান্তি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে কোটি টাকার ব্রিজের কাজ থেমে আছে পাঁচ বছর

reporter-icon
নাদিম তালুকদার: স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ | 0
সেতু নয় ভোগান্তি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে কোটি টাকার ব্রিজের কাজ থেমে আছে পাঁচ বছর
সেতু নয় ভোগান্তি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে কোটি টাকার ব্রিজের কাজ থেমে আছে পাঁচ বছর
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার করটিয়াপাড়া বাজারের উত্তর পাশে কাঁকড়ার ঝোড়া এলাকায় বংশাই নদীর শাখা টুঙ্গি নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের কাজ দীর্ঘ পাঁচ বছরেও শেষ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় হাজারো মানুষ। প্রায় ২ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৩১ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের পিএসসি গার্ডার ব্রিজটি এলাকাবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনের কথা থাকলেও বাস্তবে তা এখন ভোগান্তির প্রতীকে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় ও এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, সখীপুর উপজেলার কালিদাস–বহুরিয়া সড়কের করটিয়াপাড়া বাজারসংলগ্ন কাঁকড়ার ঝোড়া নামক স্থানে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন বছর পার হয়ে গেলেও এখনো তা সম্পন্ন হয়নি। কাজ চলছে থেমে থেমে—একটানা কয়েকদিন কাজ করার পর দীর্ঘ সময় ধরে পুরোপুরি বন্ধ থাকে নির্মাণ কার্যক্রম। এর ফলে ব্রিজের দুই পাড়ের মানুষের স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলা শহর কিংবা আশপাশের এলাকায় যাতায়াত করতে স্থানীয়দের বাধ্য হয়ে ১৪ থেকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরপথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি বাড়ছে যাতায়াত ব্যয়। বিশেষ করে দিনমজুর, কৃষক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এলাকাবাসী জানান, এই একটি ব্রিজের ওপর নির্ভর করে কালিদাস, ঠকাইনাপাড়া, ফুলঝুড়িপাড়া, করটিয়াপাড়া, বেলতলী, হারিঙ্গাচালা, হতেয়া–রাজাবাড়ি, কালমেঘা, ছলংগা ও বহুরিয়া চতলবাইদসহ ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন চলাচল। ব্রিজটি অসম্পূর্ণ থাকায় স্কুল–কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে যেতে পারছে না। অনেক সময় অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, রোগীদের কাঁধে করে কিংবা ঝুঁকি নিয়ে নদী পার করতে হয়, যা অত্যন্ত মানবিক সংকট তৈরি করছে। স্থানীয় কৃষকরাও পড়েছেন বিপাকে। ব্রিজ না থাকায় ফসল, শাকসবজি ও অন্যান্য কৃষিপণ্য বাজারে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, দুই পাড়ের কালিদাস ও করটিয়াপাড়া বাজারে মালামাল পরিবহন এখন সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে তারা এই বাড়তি খরচ বহন করে আসছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাইন উদ্দিনবাসী কিছুদিন কাজ করে দীর্ঘ সময়ের জন্য লাপাত্তা হয়ে যায়। ফলে মাসের পর মাস কোনো কাজ হয় না। সাময়িক পারাপারের জন্য সরকারি বিধান থাকলেও ঠিকাদার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে অর্থ সংগ্রহ করে ব্রিজের পশ্চিম পাশে একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো তৈরি করেছেন। সখীপুর উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাইন উদ্দিনবাসী ব্রিজটির কার্যাদেশ পায়। এলজিইডির কাগজপত্রে কাজের ৮০ শতাংশ সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, “পিএসসি গার্ডার ব্রিজটির প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কারিগরি ও প্রশাসনিক কারণে কাজটি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। আশা করছি খুব শিগগিরই পুনরায় কাজ শুরু হবে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই ব্রিজটির কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।” তবে স্থানীয়দের দাবি, শুধু আশ্বাস নয়—দীর্ঘ পাঁচ বছরের ভোগান্তির অবসান ঘটাতে এখন প্রয়োজন কার্যকর পদক্ষেপ ও কঠোর নজরদারি। তারা দ্রুত ব্রিজের কাজ সম্পন্নের পাশাপাশি ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

সারা দেশ

আরও পড়ুন
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান গেটে ময়লার ভাগাড়, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান গেটে ময়লার ভাগাড়, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে দীর্ঘদিন ধরে ময়লার ভাগাড় সৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী, তাদের স্বজন এবং পথচারীরা। হাসপাতালের প্রবেশমুখেই স্তূপ করে রাখা প্লাস্টিক, পঁচা ফল, খাবারের উচ্ছিষ্ট ও বিভিন্ন মেডিকেল বর্জ্য থেকে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে একদিকে পরিবেশ দূষণ বাড়ছে, অন্যদিকে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের পশ্চিম পাশে অবস্থিত মেইন গেট সংলগ্ন এলাকায় ময়লার ভাগাড়ে মশা-মাছি ও নানা ধরনের পোকামাকড় ভনভন করছে। দুর্গন্ধের কারণে অনেক রোগীর স্বজন নাকে কাপড় চেপে হাসপাতালে প্রবেশ করছেন। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীদের জন্য এ পরিবেশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও হাসপাতালের ১৫ তলা ভবনের প্রায় প্রতিটি সিঁড়ির মুখে পানের পিক, ব্যবহৃত টিস্যু, খাবারের উচ্ছিষ্ট ও বাথরুমের ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ফলে পুরো ভবনজুড়েই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে। ব্যতিক্রম হিসেবে হাসপাতালের চতুর্থ তলায় অবস্থিত প্রশাসনিক এলাকা তুলনামূলকভাবে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে, যা নিয়ে সাধারণ রোগী ও স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভও দেখা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের এসব বর্জ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা, রোগীর স্বজনদের অসচেতনতা এবং হাসপাতালের আশপাশে গড়ে ওঠা অস্থায়ী চা ও টং দোকানিদের ফেলা ময়লা থেকে জমে উঠছে। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের অবহেলা ও নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ না করাও এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, হাসপাতালের প্রবেশমুখে এমন নোংরা পরিবেশ সংক্রমণ ছড়ানোর বড় কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তারা দ্রুত নিয়মিত ময়লা অপসারণ, পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের তদারকি বাড়ানোর দাবি জানান। হাসপাতালের বাইরে দেয়াল ঘেঁষে থাকা চায়ের দোকানী রফিকুল ইসলাম, ফলের দোকানী নিজাম উদ্দিন ও ইলিয়াছ হোসেনসহ একাধিক দোকানী জানান, রোগীর স্বজনরা সময় কাটানোর জন্য তাদের দোকানে এলেও তীব্র দুর্গন্ধের কারণে চা-বিস্কুট বা ফল খেতে পারেন না। এতে তাদের ব্যবসাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং সিটি করপোরেশনের অনিয়মিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণেই হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল কদ্দুছ বলেন, হাসপাতালের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা একটি নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। তবে রোগীর চাপ ও বিভিন্ন কারণে কিছু কিছু জায়গায় ময়লা জমে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক চেষ্টা করছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে। অচিরেই এ অবস্থার দৃশ্যমান উন্নতি হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0

লাল বানুর জীবনরক্ষায়,পাশে দাঁড়ালেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

সিএনজি অটোরিকশা দুর্ঘটনায় একাধিক আহত

নেত্রকোনা দুর্গাপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

নেত্রকোনা দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধের ঘটনায় নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলায় টহল জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি)। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ৮.০০ টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এস এম কামরুজ্জামান (পিবিজিএম)। বিজিবির অধিনায়ক জানান, নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা সীমান্তে যে কোন প্রকার পারাপার বন্ধ করতে নি:ছিদ্র টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। টহল জোরদারের কারণ উল্লেখ করে বিজিবি অধিনায়ক এস এম কামরুজ্জামান জানান, ১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ঢাকায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক উসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণকারী আততায়ী, যাতে সীমান্ত দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য গতকাল গভীর রাত থেকে সীমান্তে সকল এন্ট্রি পয়েন্টে বিজিবি চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিশেষ টহলের মাধ্যমে সীমান্তে সকল চলাচল বন্ধে বিজিবি তৎপর রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন পেশাজীবী, চালক ও সীমান্তে বসবাসকারী জনগণকে সম্পৃক্ত করে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান বিজিবির ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

বিএনপি সংসদে গেলে ইসলামবিরোধী কোন আইন পাস হবে না : ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

টাঙ্গাইলে র‌্যাবের অভিযানে পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলে র‌্যাবের অভিযানে পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

সেতু নয় ভোগান্তি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে কোটি টাকার ব্রিজের কাজ থেমে আছে পাঁচ বছর
সেতু নয় ভোগান্তি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে কোটি টাকার ব্রিজের কাজ থেমে আছে পাঁচ বছর

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার করটিয়াপাড়া বাজারের উত্তর পাশে কাঁকড়ার ঝোড়া এলাকায় বংশাই নদীর শাখা টুঙ্গি নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের কাজ দীর্ঘ পাঁচ বছরেও শেষ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় হাজারো মানুষ। প্রায় ২ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৩১ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের পিএসসি গার্ডার ব্রিজটি এলাকাবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনের কথা থাকলেও বাস্তবে তা এখন ভোগান্তির প্রতীকে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় ও এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, সখীপুর উপজেলার কালিদাস–বহুরিয়া সড়কের করটিয়াপাড়া বাজারসংলগ্ন কাঁকড়ার ঝোড়া নামক স্থানে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন বছর পার হয়ে গেলেও এখনো তা সম্পন্ন হয়নি। কাজ চলছে থেমে থেমে—একটানা কয়েকদিন কাজ করার পর দীর্ঘ সময় ধরে পুরোপুরি বন্ধ থাকে নির্মাণ কার্যক্রম। এর ফলে ব্রিজের দুই পাড়ের মানুষের স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলা শহর কিংবা আশপাশের এলাকায় যাতায়াত করতে স্থানীয়দের বাধ্য হয়ে ১৪ থেকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরপথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি বাড়ছে যাতায়াত ব্যয়। বিশেষ করে দিনমজুর, কৃষক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এলাকাবাসী জানান, এই একটি ব্রিজের ওপর নির্ভর করে কালিদাস, ঠকাইনাপাড়া, ফুলঝুড়িপাড়া, করটিয়াপাড়া, বেলতলী, হারিঙ্গাচালা, হতেয়া–রাজাবাড়ি, কালমেঘা, ছলংগা ও বহুরিয়া চতলবাইদসহ ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন চলাচল। ব্রিজটি অসম্পূর্ণ থাকায় স্কুল–কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে যেতে পারছে না। অনেক সময় অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, রোগীদের কাঁধে করে কিংবা ঝুঁকি নিয়ে নদী পার করতে হয়, যা অত্যন্ত মানবিক সংকট তৈরি করছে। স্থানীয় কৃষকরাও পড়েছেন বিপাকে। ব্রিজ না থাকায় ফসল, শাকসবজি ও অন্যান্য কৃষিপণ্য বাজারে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, দুই পাড়ের কালিদাস ও করটিয়াপাড়া বাজারে মালামাল পরিবহন এখন সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে তারা এই বাড়তি খরচ বহন করে আসছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাইন উদ্দিনবাসী কিছুদিন কাজ করে দীর্ঘ সময়ের জন্য লাপাত্তা হয়ে যায়। ফলে মাসের পর মাস কোনো কাজ হয় না। সাময়িক পারাপারের জন্য সরকারি বিধান থাকলেও ঠিকাদার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে অর্থ সংগ্রহ করে ব্রিজের পশ্চিম পাশে একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো তৈরি করেছেন। সখীপুর উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাইন উদ্দিনবাসী ব্রিজটির কার্যাদেশ পায়। এলজিইডির কাগজপত্রে কাজের ৮০ শতাংশ সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, “পিএসসি গার্ডার ব্রিজটির প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কারিগরি ও প্রশাসনিক কারণে কাজটি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। আশা করছি খুব শিগগিরই পুনরায় কাজ শুরু হবে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই ব্রিজটির কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।” তবে স্থানীয়দের দাবি, শুধু আশ্বাস নয়—দীর্ঘ পাঁচ বছরের ভোগান্তির অবসান ঘটাতে এখন প্রয়োজন কার্যকর পদক্ষেপ ও কঠোর নজরদারি। তারা দ্রুত ব্রিজের কাজ সম্পন্নের পাশাপাশি ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা

টাঙ্গাইলে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা

টাঙ্গাইল-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু’র নির্বাচনী ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ

টাঙ্গাইল-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু’র নির্বাচনী ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাসের চাপায় তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যু

0 মন্তব্য