ঢাকা, সোমবার, জুন ৯, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোদি বিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা বেড়েছে, আতঙ্কে শুভেন্দু অধিকারী

মুক্তধ্বনি নিউজ ডেস্ক

মুক্তধ্বনি নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ মে, ২০২৫, ০২:৪১ পিএম

মোদি বিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা বেড়েছে, আতঙ্কে শুভেন্দু অধিকারী
HTML tutorial

ভারতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। “বিজেপি হটাও, সংবিধান বাঁচাও” স্লোগানে রাজপথ কাঁপছে, বিশেষ করে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় লক্ষাধিক মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, মোদি সরকারের ভুল নীতির কারণে দেশে ভয়াবহ বেকারত্ব সৃষ্টি হয়েছে, ব্যবসায়ী সমাজ ধ্বংসের মুখে পড়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চরমভাবে টালমাটাল হয়ে পড়েছে।

সরকার যেখানে জনগণের দুঃখ-কষ্টের প্রতি উদাসীন, সেখানে মোদি সরকার সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিন্দু-মুসলিম ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করে সরকার জনদৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদকারীরা বলছে, পাকিস্তানের সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা তৈরি করে ভারত ৮৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই আন্দোলনের উত্তাপ থেকে রক্ষা পাননি বিজেপির শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তার উগ্র সাম্প্রদায়িক মন্তব্যে দেশটির হিন্দু জনগণের মধ্যেও প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কলকাতায় জনরোষের মুখে পড়েন তিনি এবং নিরাপত্তার স্বার্থে পালাতে বাধ্য হন।

এক আন্দোলনকারী বলেন,
“আমরা গাড়ির ভিতরে ছিলাম, বাইরে থাকলে মেরে ফেলত।”
শুভেন্দুর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে অনেক হিন্দু নাগরিক বলছেন, "যেখানেই শুভেন্দুকে পাওয়া যাবে, সেখানেই গণধোলাই দেওয়া হবে।"

শুভেন্দুর বক্তব্যে তিনি বলেন,
“দাড়িওয়ালা টুপিওয়ালাদের গাছে উল্টো করে ঝুলিয়ে দেব।”
তার এই বক্তব্যে দেশটির হিন্দু সমাজ এবং ব্যবসায়ী মহল তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের মতে, এর ফলে শুধু মুসলিমরাই নয়, হিন্দু ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

ভারতের এক হিন্দু নেত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“শুভেন্দুর মতো মূর্খ নেতা শুধু ধর্মবিদ্বেষ ছড়িয়ে রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করছে। ও বলছে বাংলাদেশিরা যেন করাচি বা লাহোরে গিয়ে চিকিৎসা করায়। অথচ ওর কথায় হিন্দু-মুসলিম উভয় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে।”

এই অবস্থায় ভারতের সংবাদমাধ্যমেও প্রশ্ন উঠেছে। জনপ্রিয় এক বিজেপি ঘনিষ্ঠ টিভি চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক ময়ুক রঞ্জন ঘোষকে নিয়েও উঠেছে বিতর্ক। কলকাতার মানুষ তাকে সাংবাদিক হিসেবে মানতে নারাজ। তারা বলেন, "সে তো মাছ বিক্রেতা, সাংবাদিক না!"

সবমিলিয়ে আন্দোলনের এই ঢেউ যেন থামছেই না। বরং তা ছড়িয়ে পড়ছে সারা ভারতে। প্রতিবাদকারীরা বলছেন, মোদি সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই জনগণের বিরুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাতেও আন্দোলনের আগুন নিভছে না।

মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

Google News Icon গুগল নিউজে দেখুন

বিশ্ব/আন্তর্জাতিক রিলেটেড নিউজ

HTML tutorial