ঢাকা, সোমবার, জুন ৯, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ নেতাদের অর্থে নৈরাজ্যের ছক: গ্রেফতার সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের জবানবন্দি

মুক্তধ্বনি নিউজ ডেস্ক

মুক্তধ্বনি নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯ মে, ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম

আ.লীগ নেতাদের অর্থে নৈরাজ্যের ছক: গ্রেফতার সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের জবানবন্দি
HTML tutorial

📍 ঢাকা, ২৯ মে ২০২৫ – রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দায়েরকৃত অস্ত্র মামলায় বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন এবং তার সহযোগী আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। আদালত এ মামলায় সুব্রত বাইনকে ৮ দিন এবং অন্য তিন আসামিকে ৬ দিনের রিমান্ডে দিয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর কলকাতা স্টেশন চিফ রাজেশ উইকি এবং কলকাতা পুলিশের সাবেক কমিশনার রাজীব কুমার ১৬১৭ দিন আগে মোল্লা মাসুদকে ‘বিশেষ মিশনে’ বাংলাদেশে পাঠায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

📡 রয়-এর নির্দেশে গুপ্ত মিশনে বাংলাদেশে প্রবেশ

সুব্রত ও মোল্লা মাসুদের পরিকল্পনা ছিল ভারতীয় ‘র’-এর সহায়তায় বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা। জিজ্ঞাসাবাদে মোল্লা মাসুদ জানিয়েছেন, তাদের টার্গেট ছিল কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, যিনি সম্প্রতি ভারতীয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ও ‘চিকেন নেক’ বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন।

💰 অর্থ এসেছে হুন্ডির মাধ্যমে, সম্পৃক্ত আওয়ামী লীগের কিছু শীর্ষ নেতা

গোয়েন্দা সূত্র আরও জানায়, এই পরিকল্পনার পিছনে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ শীর্ষ পর্যায়ের কিছু নেতার প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। হুন্ডির মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে, যা দিয়ে ‘সুব্রত বাহিনী’ দেশব্যাপী শুটার ও কিলার নিয়োগ করছিল।

👨‍⚖️ আদালতে সুব্রতর বক্তব্য: “আমি অস্ত্র রাখি, কারণ আমার শত্রু আছে”

আদালতে হাজিরের সময় সুব্রত বাইন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আমি অস্ত্র রাখি, এটা অস্বীকার করব না। লিয়াকত, মুরগি মিলন – এরা আমার শত্রু ছিল। যুদ্ধ করেই আমি এখানে এসেছি।” তিনি আরও দাবি করেন, ২০২২ সালের রমজানের ২৬ তারিখে তাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢোকানো হয় এবং এরপর আড়াই বছর ‘আয়নাঘরে’ বন্দি রাখা হয়।

🔙 সুব্রতের অপরাধ ইতিহাস: বারবার গ্রেফতার, বারবার পালানো

সুব্রত বাইনের সন্ত্রাসী জীবন শুরু হয় ১৯৯১ সালে। ২০০৩ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে গেলে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১২ সালে ভারত ও নেপালে একাধিকবার গ্রেফতার হন, কিন্তু একাধিকবার পালিয়ে যান এবং পুনরায় ছদ্মবেশে অবস্থান নেন।


🖋️ প্রতিবেদন: মাল্টিমিডিয়া ডেস্ক, আমার দেশ

📌 সম্পাদকের মন্তব্য: এই ঘটনা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা কার্যক্রমের জটিলতায় নতুন করে আলোড়ন তুলেছে। রিমান্ডে থাকা আসামিদের কাছ থেকে আরও বিস্ফোরক তথ্য আসার আশঙ্কা রয়েছে, যা ভবিষ্যতে তদন্তের গতিপথ নির্ধারণ করবে।

মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

Google News Icon গুগল নিউজে দেখুন
HTML tutorial