যুদ্ধ নয়, ক্ষুধাই গাজাবাসীর প্রধান শত্রু: মৃত্যুর মুখে ২৩ লাখ মানুষ

অবিরাম বোমা হামলার পাশাপাশি ভয়াবহ খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। ইসরাইলের একের পর এক বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজার একাধিক আবাসিক এলাকা, বিশেষ করে সুজাইয়া অঞ্চলে হতাহতের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের বালাতা শরণার্থী শিবির ও নিকটবর্তী নাবলুস এলাকাতেও ইসরাইলি বাহিনী চালিয়েছে বড় ধরনের অভিযান। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব হামলা কোনো সামরিক অভিযান নয়, বরং সরাসরি গণহত্যার শামিল।
অবরোধের ষষ্ঠ সপ্তাহে গাজায় পৌঁছায়নি কোনো ত্রাণবাহী ট্রাক। মার্চের শুরু থেকে সব চেকপয়েন্ট বন্ধ করে রেখেছে ইসরাইল। এর ফলে, ২৩ লাখ গাজাবাসীর জন্য সংরক্ষিত শেষ খাদ্য মজুদও প্রায় শেষের পথে। বেকারিগুলো বন্ধ, বাজারগুলো খালি, খাবার বিতরণে জর্জরিত ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, খুব শিগগিরই তারা কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে।
মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ
নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে শত শত মানুষ প্রতিদিন খোলা জায়গায় অপেক্ষা করছে একবেলা খাবারের আশায়। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (UNRWA) ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) জানিয়েছে, গাজায় খাদ্য, পানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ভয়াবহ ঘাটতি চলছে। শিশুরা না খেয়ে ঘুমাচ্ছে, অনেক নবজাতকের মৃত্যুও ঘটছে অপুষ্টির কারণে।
ইসরাইল দাবি করছে, এই অবরোধ হামাসকে ত্রাণ থেকে বঞ্চিত রাখার জন্য। তবে হামাস বরাবরের মতো এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ইসরাইল ক্ষুধাকে এক প্রকার ‘যুদ্ধকৌশল’ হিসেবে ব্যবহার করছে, যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিশ্ব নেতারা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নীরবতা গাজার পরিস্থিতিকে আরও করুণ করে তুলছে। যদি দ্রুত চেকপয়েন্ট খুলে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া হয়, তাহলে শুধু বোমায় নয়, হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করবে শুধুমাত্র ক্ষুধার কারণে।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন