‘অপারেশন গিলিয়ন্স চ্যারিয়রস’ নাম দিয়ে শুক্রবার থেকে গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল। মাত্র চার দিনেই এই বর্বর অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৬০০ নিরীহ ফিলিস্তিনি। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ইসরাইলি বাহিনী এবার আরও উদ্ধত ও আগ্রাসী রূপে এই নিঃসংশতা চালাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে যখন ইসরাইলের এই হামলার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে, তখন এবার কড়া বার্তা দিয়েছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের তিন প্রভাবশালী দেশ—যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা।

তিন দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরাইলের এই অভিযান অবিলম্বে বন্ধ না হলে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। নেতানিয়াহু প্রশাসনের এই সামরিক তৎপরতাকে ‘জঘন্য’ বলে আখ্যা দিয়েছে তারা এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, এমন আচরণের পাশে তারা দাঁড়াবে না। এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। দীর্ঘ প্রায় ৮০ দিন উপত্যকার মানুষের ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকার পর সম্প্রতি সীমিত আকারে কিছু ত্রাণ ঢুকতে দিয়েছে ইসরাইল। তবে তা ২৪ লাখ অনাহারী গাজাবাসীর জন্য সম্পূর্ণই অপ্রতুল।

এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা দ্রুত ত্রাণ সরবরাহের সবধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। একইসাথে ইউরোপজুড়ে ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়ছে। স্পেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে হামলার সময় যেমন রাশিয়াকে সকল আন্তর্জাতিক আয়োজন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, তেমনি ইসরাইলের ক্ষেত্রেও সেই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তারা বলেছে, আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও দ্বিমুখী নীতি চলবে না।

মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মরক্কোতে ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি নিষিদ্ধ, ‘আসল’ কারণ জানুন

ইসরায়েল যুদ্ধ পরিচালনার বৈধতা হারিয়েছে | নেতানিয়াহুর কূটনৈতিক ব্যর্থতা

গাজায় শিশু হত্যা বন্ধে জাতিসংঘের প্রস্তাবে আমেরিকার ভেটো: বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

ফিলিস্তিন কি কখনো ইসরাইল মুক্ত হবেনা? ইসলাম এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে বিশ্লেষণ

ইতোমধ্যে ফ্রান্স, স্পেনসহ ইউরোপের মোট ২২টি দেশ গাজায় জরুরি ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবিতে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। তারা ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে এবং ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।