ইসরায়েল ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে: নতুন গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস

মুক্তধ্বনি নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ মে, ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
.png)
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সদ্য প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সম্ভাব্য সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সিএনএন-এর বরাতে জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসন এখনও তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় নিয়োজিত থাকলেও, ইসরায়েলের এই প্রস্তুতি তাদের বর্তমান কৌশল থেকে একটি বড় বিচ্যুতি নির্দেশ করে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যদি এই হামলা হয়, তবে তা মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর সংঘাতের সূচনা করতে পারে — যেটা যুক্তরাষ্ট্র এড়াতে চায়।
প্রস্তুতির আলামত কী কী?
নতুন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও সামরিক কার্যক্রম অনেক বেড়েছে। বিমান হামলার জন্য গোলাবারুদ স্থানান্তর এবং এয়ার ফোর্সের মহড়া সম্পন্ন হয়েছে। এমনকি কিছু সামরিক যোগাযোগও যুক্তরাষ্ট্র ধরে ফেলেছে, যা তাদের উদ্বিগ্ন করেছে।
বিশ্ব/আন্তর্জাতিক রিলেটেড নিউজ
হামলা নাকি চাপ প্রয়োগের কৌশল?
একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা বলছেন, এটি হয়ত ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল হতে পারে—তাদের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে বাধ্য করার জন্য। তবে কিছু কর্মকর্তা এটাও বলছেন, ইসরায়েলের হামলার সম্ভাবনা “গত কয়েক মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।”
কেন এই চাপ এখন?
ইসরায়েল মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান আলোচনা যদি তাদের নিরাপত্তা উদ্বেগের সঠিক সমাধান না দেয়, তবে তারা এককভাবে সামরিক পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
সিএনএন জানায়, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি দূতাবাসও চুপ রয়েছে।
খামেনির প্রতিক্রিয়া ও ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধের দাবি “অতিরিক্ত এবং গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি আলোচনায় আশাবাদী নন।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিছুদিন আগে বলেছেন, “ইরান পারমাণবিক অস্ত্র পেতে পারবে না, বিষয়টা এটাই।” তবে তিনি ইরানকে আলোচনায় টানতে চাচ্ছেন এবং বলেন, “আমি চাই ইরান দারুণভাবে উন্নতি করুক।”
ইসরায়েলের কূটনৈতিক সংকট
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল এখন এমন এক পরিস্থিতিতে রয়েছে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট না করেও, তারা এমন একটি চুক্তি ঠেকাতে চায় যা তাদের চোখে দুর্বল।
সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জনাথন প্যানিকফ বলেন, “শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ওপর।”
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন