ঢাকা, মঙ্গলবার, জুন ১০, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তালহা-হ্যাপি দ্বন্দ্ব: লাইভে এসে মাওলানা মামুনুল হক সাহেবকে দোষারোপ ও ফাঁসানোর চেষ্টা

মুক্তধ্বনি নিউজ ডেস্ক

মুক্তধ্বনি নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ মে, ২০২৫, ০২:৪৮ এএম

তালহা-হ্যাপি দ্বন্দ্ব: লাইভে এসে মাওলানা মামুনুল হক সাহেবকে দোষারোপ ও ফাঁসানোর চেষ্টা
HTML tutorial

সাবেক চিত্রনায়িকা হ্যাপি ও মাওলানা তালহা ইসলামের দাম্পত্য কলহ এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত একটি বিষয়। শুরুটা হয় হ্যাপির একাধিক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে, যেখানে তিনি অভিযোগ করেন পারিবারিক নির্যাতন, গৃহবন্দিত্ব এবং দাম্পত্য সম্পর্ক থেকে মুক্তি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা।

এই অভিযোগের পরপরই মাওলানা তালহার প্রতি জনমত বিরূপ হয়ে ওঠে। হ্যাপির পক্ষে বিভিন্ন মহল সোচ্চার হয়। এরইমধ্যে, আলেমদের বিরুদ্ধে নারীর প্রতি সহিংসতার অভিযোগ এমন একটি সময়ে সামনে আসে, যখন তারা নারী ও শিশু উন্নয়ন নীতিমালার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। অনেক আলেমই আশা করছিলেন, এ ইস্যুটি যেন ব্যক্তি পর্যায়ে সমাধান হয়।

এই প্রেক্ষাপটে, দেশের শীর্ষ আলেম শায়খ আহমাদুল্লাহর উদ্যোগে ৭-৮ জন দায়ী আলেমের একটি বৈঠকে তালহার পারিবারিক ইস্যুটি আলোচিত হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, তালহার ঘনিষ্ঠ কোনো অভিভাবকতুল্য আলেম এই ইস্যুতে মধ্যস্থতা করবেন। তখন তালহার পক্ষ থেকে প্রস্তাব আসে, তাঁর ঘনিষ্ঠ এবং সম্মানিত আলেম মাওলানা মামুনুল হক সাহেব এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করুন।

তালহার অনুরোধে এবং শীর্ষ আলেমদের পরামর্শে মাওলানা মামুনুল হক সাহেব বিষয়টি দেখার দায়িত্ব নেন। আলোচনার জন্য একটি নিরপেক্ষ স্থান প্রস্তাব করা হলেও, শেষপর্যন্ত বসা হয় তালহা-হ্যাপির বাসায়।

তবে আলোচনার ফলাফল কারও প্রত্যাশা পূরণ করেনি। তালহার ধারণা ছিল, মামা-সম তুল্য এই আলেম নিঃশর্তভাবে তার পক্ষ নেবেন। অপরদিকে, হ্যাপিও ভেবেছিলেন সামাজিক সহানুভূতির কারণে রায় তার পক্ষে যাবে। কিন্তু মাওলানা মামুনুল হক সাহেব শরীয়তের আলোকে নিরপেক্ষ রায় দেন, যা উভয় পক্ষকেই কিছুটা অপ্রসন্ন করে।

এর পরপরই তালহা ও হ্যাপি উভয়েই সামাজিক মাধ্যমে মামুনুল হক সাহেবের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করা শুরু করেন। বিশেষত, মাওলানা তালহা একাধিক লাইভে তাঁর বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় কথা বলেন, যদিও তিনিই প্রথমে মামুনুল হক সাহেবকে মধ্যস্থতার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

জানা যায়, মাওলানা মামুনুল হক কেবল একজন অভিজ্ঞ আলেম হিসেবে একটি বিচারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এতে তার মানহানি বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সম্পৃক্ততার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। অনেক আলেম ও সাধারণ মানুষ এই মানহানিকর আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন এবং তালহার প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, তালহার পারিবারিক সম্পর্ক ও আচরণ নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। তার ছোট ভাই মাওলানা হামজা ইসলামের বক্তব্য অনুযায়ী, তাঁদের পিতা মরহুম মুফতি শহিদুল ইসলাম (রহ.) জীবদ্দশায় বড় ছেলে তালহার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন না এবং তাকে “অকর্মণ্য” বলে উল্লেখ করেছিলেন।

বিশ্লেষকদের মতে, দাম্পত্য দ্বন্দ্বের বিচার একমাত্র আদালতের মাধ্যমেই সম্ভব। ফেসবুক লাইভ বা সামাজিক মাধ্যমে একতরফা অভিযোগ তুলে আলেম সমাজের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।

মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

Google News Icon গুগল নিউজে দেখুন
HTML tutorial