সরিষাবাড়ীতে রেললাইনে দাঁড়িয়ে হেডফোনে কথা বলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীতে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা। রেললাইনে দাঁড়িয়ে হেডফোনে কথা বলার সময় ট্রেনের উপস্থিতি টের না পেয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছেন মেহেদী মাহাদ (২৫) নামের এক তরুণ।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সরিষাবাড়ী উপজেলার বাউসী পপুলার মোড় এলাকার বাউসী রেলওয়ে ব্রিজ থেকে প্রায় একশো গজ দক্ষিণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী মাহাদ পৌরসভার শিমলা পল্লী গ্রামের বাসিন্দা এবং ইতালি প্রবাসী মো. লাঞ্জু মিয়ার পুত্র। সম্প্রতি তিনি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে মেহেদী বাউসী এলাকায় ঘুরতে গিয়ে রেললাইনের পাশে স্লিপারের উপর দাঁড়িয়ে দুই কানে হেডফোন লাগিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় তারাকান্দি থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দ্রুতগতিতে বাউসী রেলওয়ে ব্রিজ অতিক্রম করছিল। ট্রেনচালক একাধিকবার হুইসেল বাজালেও হেডফোন লাগানো থাকায় মেহেদী কিছুই শুনতে পাননি। ট্রেন একেবারে কাছাকাছি চলে এলে তিনি ঘুরে তাকান, কিন্তু তখন আর সময় ছিল না। মুহূর্তেই ট্রেনের ধাক্কায় তিনি রেললাইনে ছিটকে পড়েন।
বাংলাদেশ রিলেটেড নিউজ
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা মেহেদীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু পথেই মেহেদী মাহাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার এই অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও পুরো এলাকাজুড়ে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় মরহুমের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী রেলওয়ে ফাঁড়ির এএসআই আশীষ চন্দ্র দে জানান, “সন্ধ্যায় ঢাকাগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় একজন যুবক নিহত হয়েছেন। এখনো তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ ঘটনাটি আবারও স্মরণ করিয়ে দেয়, রেললাইনের আশেপাশে হেডফোন ব্যবহার কতটা বিপজ্জনক হতে পারে। নিরাপদ চলাচলের জন্য সকলেরই আরও সচেতন হওয়া উচিত।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন