সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোপন পরিকল্পনা ফাঁস হয়েছে, যেখানে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা থেকে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় পাঠানোর ছক কষছে ওয়াশিংটন। এই পরিকল্পনার খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম NBC।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই লিবিয়ার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। বিনিময়ে লিবিয়ার জব্দকৃত বিপুল অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ইসরাইলকে বিষয়টি অবহিত করেই এই নীলনকশা প্রণয়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে এই পরিকল্পনার কঠোর সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস। তাদের দাবি, গাজাবাসীর ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের রয়েছে। তারা মাতৃভূমি ছেড়ে যেতে চায় না এবং যেকোনো ত্যাগের জন্য প্রস্তুত।

মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ

ইতালি থেকে গাজামুখী জাহাজ! অবরোধ ভাঙতে গ্রেটা থুনবার্গের সাহসী পদক্ষেপ

গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু আশঙ্কা, জাতিসংঘের ভয়ঙ্কর বার্তা

আগুনের ভেতর প্রাণ বাঁচাতে ছুটছে ছোট্ট এক ফিলিস্তিনি শিশু... গাজায় বিভীষিকাময় রাত!

আমেরিকান জিম্মি গাজা ছেড়ে চলে গেলেও, ইসরায়েল বলছে যুদ্ধবিরতি নয়

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাস্তবিকভাবেই এক কোটি মানুষকে স্থানান্তর করা প্রায় অসম্ভব। বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী বিমানে করেও এর জন্য ১১৭৩টি ফ্লাইট প্রয়োজন। অথচ গাজায় কোনো বিমানবন্দরই নেই। স্থলপথেও গাজা থেকে লিবিয়ার দূরত্ব প্রায় ১৩০০ মাইল।

এই গোপন পরিকল্পনার খবর প্রকাশের পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে — এটি কি আদৌ সম্ভব, নাকি আরেকটি মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা?