গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু আশঙ্কা, জাতিসংঘের ভয়ঙ্কর বার্তা
-(20).png)
.gif)
১১ সপ্তাহের অবরোধের পর বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় অবশেষে সোমবার থেকে সীমিত আকারে ঢুকতে শুরু করেছে ত্রাণবাহী ট্রাক। কিন্তু ২১ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য এই অল্প কিছু ত্রাণ যে যথেষ্ট নয়, তা সহজেই অনুমেয়। ক্ষুধায় জর্জরিত গাজাবাসীর বেঁচে থাকার লড়াই এখন চরমে।
এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার এক ভয়াবহ সতর্কবার্তা দিয়েছেন। সোমবার বিবিসি রেডিও ফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, "গাজায় জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ না পৌঁছালে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ১৪,০০০ শিশু মৃত্যুবরণ করতে পারে।"
তিনি আরও বলেন, "গাজা উপত্যকার প্রায় অর্ধেক মানুষই শিশু। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, তা এক ফোঁটা পানির মতোই অপ্রতুল।" ত্রাণকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ
-(3).png)
.png)
টম ফ্লেচার জানান, জাতিসংঘ তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শিশুদের কাছে খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দিতে। ইতোমধ্যে আরও ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু ইসরাইলের অনুমতি ছাড়া এই ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না।
এদিকে ইউএনআরডব্লিউএ (UNRWA) জানায়, গাজায় অপুষ্টির হার দ্রুতই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। হাজার হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক গাজার সীমান্তে অপেক্ষায় থাকলেও ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে সব সিদ্ধান্ত।
ফিলিস্তিনের বর্তমান মানবিক সংকট বিশ্ববাসীর বিবেককে নাড়া দেওয়ার মতো। এখন দেখার বিষয়, বিশ্ব সম্প্রদায় এই সংকটে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
.jpg)
-(20).png)
.png)
.png)
-এর-নসিহত।.jpg)
.jpg)
