ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ইউরোপিয়ান হাসপাতালের আশেপাশে ২৮ জন নিহত

গাজা: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন যে, আগামী দিনগুলোতে ইসরায়েল “সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে” গাজায় প্রবেশ করবে। এই ঘোষণার পরপরই গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে অবস্থিত ইউরোপিয়ান হাসপাতালের আশেপাশে ভয়াবহ বিমান হামলা চালানো হয়, যাতে অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন।
গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানায়, হামলার তীব্রতার কারণে অনেক মরদেহ হাসপাতাল এলাকার আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সংস্থাটি আরও জানায়, দ্বিতীয় দফায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, যেন আহতদের কাছে পৌঁছাতে না পারে উদ্ধারকারীরা। তারা অভিযোগ করে, ইসরায়েলি বাহিনী "ইচ্ছাকৃতভাবে আহতদের সহায়তা করতে যাওয়া ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।"
Footage of the Israeli bombing in the courtyard of the European Hospital yesterday. pic.twitter.com/YQIv1VH5oI
— TIMES OF GAZA (@Timesofgaza) May 14, 2025মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ইউরোপিয়ান হাসপাতালের নিচে একটি "হামাস কমান্ড সেন্টার" ছিল, যদিও তারা এর কোনো প্রমাণ হাজির করেনি।
এর আগে একই দিনে খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সেও “টার্গেটেড অ্যাটাক” চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে দু’জন নিহত হন, যাদের মধ্যে একজন হলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক হাসান এসলাইহ। তিনি ৭ এপ্রিল ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫২,৯০৮ এবং আহতের সংখ্যা ১,১৯,৭২১ ছাড়িয়ে গেছে। তবে গাজা সরকারের গণমাধ্যম অফিস জানিয়েছে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, কারণ হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন এবং তারা সবাই সম্ভবত মৃত।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অভিযানে ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষ বন্দি হন।
🔴 নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যতক্ষণ না ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণ হয়, যুদ্ধ বন্ধ হবে না—even যদি বন্দিমুক্তির চুক্তি হয় তবুও।
সুত্রঃ আল-জাজিরা
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন