ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। মাত্র আট দিন আগে বিয়ে হয়েছিল মেহেদী হাসান নামের এক যুবকের। নববধূ জান্নাত আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। কিন্তু এই নবদম্পতির সুখের সংসার গড়ার স্বপ্ন এক ভয়ানক পরিণতিতে গড়ায়। অভিযোগ উঠেছে, জান্নাত আক্তার তার স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এবং পরে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশের বরাতে জানা যায়, বিয়ের আগে জান্নাতের আরেকজন ছেলের সঙ্গে এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে সে মানসিকভাবে অস্বস্তিতে ভুগছিল এবং বারবার আপত্তি জানিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে স্বামী মেহেদী হাসানকে কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে দেয় সে। এরপর গভীর রাতে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর জান্নাত নিজেই বাড়ির মালিককে জানায় যে তার স্বামী অসুস্থ।

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে। পরদিন শনিবার সকালে স্থানীয়রা মেহেদীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মেহেদীর গলায় আঘাতের চিহ্ন ও নখের আঁচড় পাওয়া যায়। পরে পুলিশ জান্নাতকে আটক করে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।

আইন-অপরাধ রিলেটেড নিউজ

বিশ্ব ইজতেমা সংঘর্ষ: সাদপন্থী নেতা মুয়াজ বিন নূর আটক

ক্ষমার মহান দৃষ্টান্ত: ফয়জুল করিমের সিদ্ধান্তে মুক্ত হলেন স্বপন দাস

আল্লামা সাঈদীর হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার দিকে আঙুল তুললেন মাসুদ সাঈদী

সাংবাদিকের মানহানি ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা: স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর একটি গুরুতর হুমকি

এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তারা ধারণাও করতে পারেননি যে মেয়েটি এমন একটি জঘন্য কাজ করতে পারে। অনেকেই দাবি করেছেন, শুধু জান্নাত নয়, এই ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

একটি নতুন জীবনের শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিয়ের মাত্র আট দিনের মাথায় জীবন হারালেন মেহেদী হাসান। তার এই করুণ পরিণতি সমাজে এক গভীর আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং প্রশ্ন তুলেছে বিবাহ, সম্পর্ক এবং পারিবারিক মূল্যবোধ নিয়ে। স্থানীয়রা দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

📺 উৎস: দেশ টিভি | ইউটিউব: বিয়ের ৮ দিনে স্বামীর পরিণতি!