ইসকন-সম্পৃক্ত সংঘবদ্ধ চক্রের ফাঁদে গাজীপুরে মুসলিম তরুণী ধর্ষণের শিকার, যুবক আটক
-(3).png)
গাজীপুরের পুবাইল থানা পুলিশ সম্প্রতি এক হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করেছে, যিনি অভিযোগ অনুযায়ী মুসলিম মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম ঋত্তিক সাহা, যিনি রাজু সাহার ছেলে এবং গাজীপুরের সাতানীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
বাংলা এডিশনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, একটি সংঘবদ্ধ হিন্দু চক্র — যা ‘ইসকন’ এর নাম ব্যবহার করছে — মুসলিম মেয়েদের প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে প্রথমে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলে এবং পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করে। এই চক্রটি একাধিক ধাপে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে থাকে।
ভুক্তভোগী এক তরুণী রোজার ভাষ্যমতে, ঋত্তিক প্রথমে নিজের ধর্ম গোপন করে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গাজীপুরের পুবাইলে নিজ বাসায় নিয়ে গিয়ে তিন মাস ধরে জোরপূর্বক স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করতে বাধ্য করে। এ সময় মুসলিম তরুণীকে হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতেও বাধ্য করা হয়, এমনকি শাখা-সিঁদুর পরিয়ে হিন্দু নারীর সাজে সাজানো হয়।
আইন-অপরাধ রিলেটেড নিউজ
রোজা আরও অভিযোগ করেন, ধর্মীয় রীতিনীতি মানতে অস্বীকৃতি জানালে তার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এই মানসিক অত্যাচারের পাশাপাশি তাকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হয়।
ঘটনার পর স্থানীয় মুসলমানদের সহায়তায় থানা পুলিশ তাকে উদ্ধারে সক্ষম হয় এবং ভুক্তভোগী বর্তমানে দুই মাসের গর্ভবতী বলে জানা গেছে। রোজার পরিবার তার পাশে না দাঁড়ানোয় সে পরিবারহীন হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তিনি বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
পুবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম জানান, “অভিযোগ পেয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি এবং তদন্ত করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি।”
অনুসন্ধান থেকে আরও জানা যায়, এই চক্রটি ফেসবুকের মাধ্যমে মুসলিম মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং একই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে। ধর্মীয় সচেতন মহল মনে করছেন, এই ঘটনাগুলো একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ, যেখানে মুসলিম মেয়েদের সতীত্ব নষ্ট করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই মূল উদ্দেশ্য।
পুবাইল থানার ওসি আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের সন্তানদের চলাফেরায় সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। অপরাধীরা প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এই ধরণের অপরাধ ঘটাচ্ছে।”
ধর্মীয় সংগঠনগুলো ও স্থানীয় আলেমরা ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে বলেন, এখনই সময় মুসলিম সমাজের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে এমন চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
উপসংহার:
এই ভয়ানক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতিটি সচেতন নাগরিককে সোচ্চার হওয়া দরকার। অনলাইন নিরাপত্তা, ধর্মীয় সচেতনতা এবং পরিবারভিত্তিক নজরদারি ছাড়া এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হিফাজত করুন। আমিন।
সুত্রঃ বাংলা এডিশন
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন