আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়: একজনের ফাঁসি, তিন আসামি খালাস - অসন্তুষ্ট মা
.png)
মাগুরায় বহুল আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। তবে মামলার অন্য তিন আসামি—সজীব শেখ, রাতুল শেখ ও জাহেদা বেগমকে খালাস প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণার সময় কড়া পুলিশি প্রহরায় আদালতে হাজির করা হয় আসামিদের। সকাল সাড়ে নয়টায় রায় ঘোষণা শুরু হয় এবং অল্প সময়েই তা শেষ হয়।
এই রায়ে একদিকে যেমন রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে, অন্যদিকে ভুক্তভোগী পরিবার বিশেষ করে আছিয়ার মা চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, শুধুমাত্র একজনের ফাঁসি হলেও বাকি তিনজন যেভাবে ছাড়া পেয়ে গেল, তাতে তারা ন্যায়বিচার পাননি। আছিয়ার মা বলেন, “ওরা তো আজকে আমারটার করলো, কালকে আরেকজনেরটা করবে। তাহলে আমরা খুশি হবো কীভাবে?” তিনি আরও জানান, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, খালাসপ্রাপ্ত তিন আসামির বিষয়ে রায় পর্যালোচনা করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করা হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে পারায় তার দোষ প্রমাণিত হয়েছে। তবে অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রমাণ না থাকায় আদালত তাদের খালাস দেন।
আইন-অপরাধ রিলেটেড নিউজ
স্থানীয় নাগরিক সমাজ এবং সচেতন মহল এই রায়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া এবং দণ্ড নিশ্চিত হওয়া বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করে। তবে খালাসপ্রাপ্তদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন থেকে গেছে। অনেকেই মনে করছেন, পুরো ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে যেন উচ্চ আদালতে পূর্ণ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়।
এই মামলার মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা স্পষ্ট হয়েছে—দেশে ন্যায়বিচার সম্ভব, তবে তা হতে হবে সম্পূর্ণ, সবার জন্য সমান এবং নির্ভরযোগ্য প্রমাণের ভিত্তিতে। ভুক্তভোগী পরিবার ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সব অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন নৃশংসতার সাহস না পায়।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন