বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা প্রায় চার লক্ষ মসজিদকে ‘মানবদেহের শিরা-উপশিরার মতো’ একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক হিসেবে উল্লেখ করে আলোচিত ইসলামিক ব্যক্তিত্ব মুফতি অহমাদুল্লাহ এক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রস্তাবনা দিয়েছেন।

নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, এদেশের শহর-গ্রাম, পাহাড় ও সমতলে ছড়িয়ে থাকা এই বিশাল মসজিদ নেটওয়ার্ক ও এর অন্তর্ভুক্ত আট লক্ষ ইমাম-মুয়াজ্জিন দেশের সামাজিক উন্নয়ন, নাগরিক সেবা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এক বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে।

রাষ্ট্রীয় কাজে মসজিদভিত্তিক জনশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার:

মুফতি সাহেব মনে করেন, এই বিশাল জনবলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুক্ত করা যেতে পারে —

ইসলাম ও ধর্ম রিলেটেড নিউজ

আবারও বাংলাদেশি হাফেজ । কুয়েতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান

সংখ্যালঘু নিরাপত্তায় ঐক্যের বার্তা দিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ও প্রধান উপদেষ্টা

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

তাবলিগ জামাতের শূরায়ি নেজামের দাবি: সাদপন্থিদের নিষিদ্ধ করা জরুরি

• দুর্যোগ মোকাবিলা ও উদ্ধার কাজে,

• পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা তৈরিতে,

• জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ের রেজিস্ট্রেশন কাজে,

• স্থানীয় সরকার ও সামাজিক সেবায়,

• এবং নানা রকম কল্যাণমূলক কাজে।

তিনি বলেন, “ধর্মীয় আবেগ ও বিশ্বাস এই মাটির বাস্তবতা। মসজিদ ও আলেম সমাজের প্রতি মানুষের যে অগাধ আস্থা রয়েছে, তা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তবে সমাজ ও রাষ্ট্র এক বিশাল পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যাবে।”

বাস্তবায়নে সরকারের সদিচ্ছা জরুরি

মুফতি অহমাদুল্লাহর মতে, এই পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নের জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন সরকারের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা। সেইসাথে প্রয়োজন হবে প্রশিক্ষণ, দিকনির্দেশনা ও বাস্তবমুখী পরিকল্পনা।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “চার লক্ষ মসজিদের এই অবকাঠামো, নেটওয়ার্ক এবং সম্ভাবনাময় জনশক্তিকে অবজ্ঞা করে একটি দেশের টেকসই অগ্রগতি কল্পনা করা কঠিন।”

সামাজিক মাধ্যমে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া

মুফতি সাহেবের এই পোস্ট ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন, দেশের উন্নয়নে ধর্মভিত্তিক অবকাঠামো ও জনশক্তিকে উপেক্ষা না করে বরং তা কাজে লাগানোর এই চিন্তাধারা সময়োপযোগী এবং বাস্তবমুখী।

📌 সূত্র: মুফতি অহমাদুল্লাহর ফেসবুক পোস্ট