গাজা উপত্যকায় যখন ইসরায়েলি বাহিনী নৃশংস হামলা চালিয়ে চলেছে, তখন মিশরের উদ্যোগে বাগদাদে অনুষ্ঠিত হলো আরব সম্মেলন। মূলত ফিলিস্তিনে চলমান রক্তপাত থামানো এবং মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা নিয়ে আলোচনা করতেই এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে অংশ নেন মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী তাঁর বক্তব্যে বলেন, “গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা অতীতের সব সংঘাতকে হার মানিয়েছে।” তিনি গাজা ও লেবাননের পুনর্গঠনের জন্য মোট ৪০ মিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তা ঘোষণা করেন — যার মধ্যে গাজার জন্য ২০ মিলিয়ন এবং লেবাননের জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ থাকবে। একইসাথে তিনি একটি আরব পুনর্গঠন তহবিল গঠনের আহ্বান জানান।

সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “হামাসের উচিত এখনই ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া এবং অস্ত্র প্যালেস্টাইন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়া।” তিনি আরও বলেন, “এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ফিলিস্তিন সরকার গাজা ও পশ্চিম তীরের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে।”

মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ

আগুনের ভেতর প্রাণ বাঁচাতে ছুটছে ছোট্ট এক ফিলিস্তিনি শিশু... গাজায় বিভীষিকাময় রাত!

গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু আশঙ্কা, জাতিসংঘের ভয়ঙ্কর বার্তা

গাজায় নিঃসংশতা বন্ধ না হলে তেলআবিব কে নিষেধাজ্ঞা দিবে : যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স-কানাডা

আমেরিকান জিম্মি গাজা ছেড়ে চলে গেলেও, ইসরায়েল বলছে যুদ্ধবিরতি নয়

এদিকে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ আল-সিসি গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনকে ‘ঠান্ডা মাথার গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গাজাকে নিশ্চিহ্ন করতে এবং ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব ধ্বংস করতে হামলা চালাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির জন্য ফিলিস্তিন ও মিশরের নেতারা প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহায়তা কামনা করেন।

সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ হাসান আলীবানী সম্মেলনে বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মাধ্যমে সিরিয়া একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মহলেও গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ গাজায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধে চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান ও সামরিক শক্তি সম্প্রসারণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।