৫ লক্ষ ফিলিস্তিনি অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে: আন্তর্জাতিক সতর্কবার্তা

ইসরায়েলি সামরিক অবরোধে গাজার জনগণের ওপর দুর্ভিক্ষের হুমকি দিন দিন বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইপিসি (Integrated Food Security Phase Classification) এর সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজা উপত্যকার প্রায় ২১ লাখ মানুষের জীবন এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, যার মধ্যে ৫ লাখ মানুষ সরাসরি অনাহারে পতিত হওয়ার পথে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ৭০ দিন ধরে গাজায় খাদ্য, পানি, ওষুধসহ সকল প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে করে জীবন রক্ষাকারী জিনিসপত্র ফুরিয়ে গেছে বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
🛑 গাজা জুড়ে তীব্র খাদ্য সংকট:
মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ
-
গাজার ৯৩ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে।
-
পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে গত অক্টোবরের প্রতিবেদন থেকে।
-
মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এক-পঞ্চমাংশ জনগণ অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবরোধের ফলে কমপক্ষে ৫৭ জন ইতোমধ্যেই না খেয়ে মারা গেছেন।
🔴 উত্তর গাজা ও রাফাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা, যেখানে অবকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত ও মানবিক সহায়তা সীমিত। এছাড়াও, অবরোধ অব্যাহত থাকলে মানুষ জেলাভিত্তিক গৃহত্যাগে বাধ্য হবে, সমাজিক সহায়তার ভিত্তিও ভেঙে পড়বে।
💹 খাদ্যের দাম বেড়েছে আকাশছোঁয়া হারে:
-
ডেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিসে ফেব্রুয়ারি থেকে গমের দাম ৩,০০০ শতাংশ বেড়েছে।
📢 আইপিসি’র রিপোর্টে জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিতকরণ ও বেসামরিক জনগণ ও ত্রাণকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
📍 মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির সর্বশেষ পরিসংখ্যান:
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায়
-
৫২,৮৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত
-
১,১৯,৬৪৮ জন আহত হয়েছে।
অন্যদিকে, ঐ আক্রমণে ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত হয় এবং ২০০ জনের বেশি ইসরায়েলি গাজায় অপহৃত হয়।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন