টাঙ্গাইলের সখীপুরে মুসলিম মেয়েকে গর্ভবতী করে পালাল হিন্দু যুবক! ইসকন চক্রের ভয়ঙ্কর ফাঁদ!
-(18).png)
টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর উপজেলার মোমেনা নামের এক মুসলিম তরুণীর সঙ্গে একই উপজেলার তক্তারচালা গ্রামের প্রবাসী অভিলাষ সরকারের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর অভিলাষ তার ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে মোমেনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রায় দুই বছর ধরে এই প্রেম চলতে থাকে, এবং দেশে ফিরে অভিলাষ নিজেকে মুসলমান পরিচয় দিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ঘোষণা দেয়। এরপর মোমেনার সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ভাড়া বাসায় সংসার শুরু করে। অভিলাষ কাগজে-কলমে ইসলাম গ্রহণ করে ‘মোহাম্মদ ইব্রাহিম’ নাম ধারণ করে, খতনাও করায়, এবং ইসলামী আদর্শ অনুসরণ করে বলে জানায় মোমেনা।
সংসার জীবনের কিছুদিন পর মোমেনা গর্ভবতী হলে অভিলাষ তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে সে বাসা থেকে বিয়ের কাবিননামা ও সব গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি সরিয়ে নেয়। বর্তমানে মোমেনা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিনি নিজের পরিবারেও ফিরতে পারছেন না, কারণ তার অভিযোগ অনুযায়ী, অভিলাষ তার পরিবারের কাছে ফিরে গিয়েছে এবং এখন মোমেনাকে স্বীকার করছে না। মোমেনার দাবি, তার ফোনসহ সব কিছু নিয়ে অভিলাষ পালিয়ে গেছে।
মোমেনার অভিযোগ, অভিলাষ একা নন; তার মতো অনেকেই বাংলাদেশে এমন কাজ করছে, যা একটি সংগঠিত চক্রান্তের অংশ। তাদের দাবি, ইসকন নামক উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত একটি সংঘবদ্ধ চক্র মুসলিম মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে, ধর্ম পরিবর্তনের প্রলোভন দিয়ে বিয়ে করে এবং পরে গর্ভে সন্তান দিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। এই চক্র প্রথমে ধর্ম পরিচয় গোপন রাখে, পরে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে মেয়েদের কাছ থেকে ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে, এবং পরে ব্ল্যাকমেইল করে ইসলাম ত্যাগে বাধ্য করে।
বাংলাদেশ রিলেটেড নিউজ
আরও জানা যায়, অনেক ক্ষেত্রেই এই চক্র সদস্যরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক চালিয়ে যায়। একপর্যায়ে ধর্ম পরিচয় প্রকাশ করে মেয়েদের ভয় দেখিয়ে তাদের ব্যবহার করে। এদের মধ্যে কেউ কেউ মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার ভান করে মুসলিম মেয়েদের বিশ্বাস অর্জন করে। এভাবে বহু মুসলিম মেয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে পড়ছে।
ভিডিওতে আরও উল্লেখ করা হয়, মানিকগঞ্জের রোজা নামের এক মুসলিম তরুণীও হৃতিক সাহা নামক এক হিন্দু ছেলের প্রতারণার শিকার হন। হৃতিকও শুরুতে মুসলমান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে রোজাকে জোরপূর্বক সিঁদুর পরিয়ে হিন্দু ধর্মীয় রীতি পালন করাতে বাধ্য করে। এই ঘটনার পর পুলিশের সহযোগিতায় রোজাকে উদ্ধার করা হয় এবং হৃতিককে গ্রেফতার করা হয়।
এইসব পরিকল্পিত ঘটনা প্রতিহত করতে “সেইভ আওয়ার সিস্টারস” নামের একটি সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটি মুসলিম নারীদের সচেতন করার পাশাপাশি উগ্র হিন্দুদের এই মহাপরিকল্পনার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে। সম্প্রতি তারা সিরাজগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ১৪ বছরের এক মুসলিম নাবালিকাকে উদ্ধার করে, যাকে হিন্দু বানানোর চেষ্টায় ছিল এক সংঘবদ্ধ চক্র।
শেষে আরও একটি ঘটনা উঠে আসে — সজীব কুমার নামক এক হিন্দু ছেলে প্রথমে ইসলাম গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মুসলিম মেয়েকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের সময় ধারণকৃত ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে মেয়েটিকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করে। আদালতে নেওয়ার সময় সেইভ আওয়ার সিস্টারস সংগঠন তাকে উদ্ধার করে।
এইসব ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশে একটি সংঘবদ্ধ চক্র মুসলিম মেয়েদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সামাজিক অবস্থানকে লক্ষ্য করে তাদের জীবন ধ্বংস করছে। ধর্মীয় সহনশীলতা ও আইনের শাসন বজায় রাখতে এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
সূত্রঃ Bangla Edition
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন