স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক এমপি হাবিব হাসানের একান্ত সহচর ও পিএস হিসেবে কাজ করতেন বদিউল আলম মজুমদার ওরফে বদরুল। তারা দাবি করেন, প্রকৃত গণমাধ্যমকে কোণঠাসা করে তিনি নিজস্ব আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত ছিলেন।

বর্তমানে তিনি নিজেকে বিএনপির নেতা দাবি করছেন এবং টাকার বিনিময়ে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর সংবাদ প্রকাশ করছেন। অন্যথায় তিনি তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।

৪৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আল আমিন সরকার বলেন, “জুলাই মাসে সংঘটিত ছাত্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাংবাদিক বদরুল ইসলাম রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে বিকৃত তথ্য প্রচার করেছেন। সরকারদলীয় ইশারায় তিনি সাধারণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছেন এবং হত্যাকাণ্ড আড়াল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।”

বাংলাদেশ রিলেটেড নিউজ

নোয়াখালীতে শ্রমিকদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত মে দিবস উদযাপন

শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবকদের সচেতনতাই মুখ্য: জহির উদ্দিন হারুন

গোপালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১ জন

সাইন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি

স্থানীয় নেতা মহিন সরকার বলেন, “একজন সাংবাদিকের প্রধান দায়িত্ব হলো সত্য তুলে ধরা। কিন্তু বদরুল তথাকথিত সাংবাদিকতার আড়ালে অপরাধীদের রক্ষা করছেন। এমন সাংবাদিক সমাজ ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।”

মানববন্ধনে বক্তারা বদরুলের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

মানববন্ধনে স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেন।

পরে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা উত্তরা ডিসি কার্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিক বদরুলের বিরুদ্ধে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।

এ বিষয়ে উত্তরা ডিসি জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মহিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, "বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।"