সাহিত্য হোক সার্বজনীন” – আলোচনা সভা ও সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

গতকাল ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার বিকেল ৩:৩০টায় ঢাকার বাংলামটরস্থ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের হল নম্বর ১০৩-এ অনুষ্ঠিত হলো “সাহিত্য হোক সার্বজনীন” শীর্ষক আলোচনা সভা ও সম্মাননা অনুষ্ঠান। এই আয়োজনের আয়োজক ছিল সাউথ এশিয়া সাহিত্য পরিষদ এবং পরিচালনায় ছিল সুন্দরবন সাহিত্য পরিষদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বখ্যাত কবি ও পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. জাহাঙ্গীর আলম রুস্তম। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএফইউজের সাবেক সহকারী মহাসচিব ও কুমিল্লার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সহিদ উল্লাহ মিয়াজী।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা-র সম্পাদক ও প্রকাশক কবি অশোক ধর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উদীয়মান তরুণ কবি জামান মুন্না, হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনালের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আমজাদ হোসেন খান, সাউথ এশিয়া সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা নার্গিস আসমা, সুন্দরবন সাহিত্য পরিষদ (ইতালি) সভাপতি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জামাল, কবি ও উদ্যোক্তা জিন্নাত আরা ইফা, কবি ও সংগঠক ইমামুল ইসলাম রানা, গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম মাসুম এবং মানবাধিকার সংগঠক ও সুন্দরবন সাহিত্য পরিষদের মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা।
চট্টগ্রাম রিলেটেড নিউজ
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কবি ও লেখক পুষ্পেন রায়, যিনি সাউথ এশিয়া সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন সাউথ এশিয়া সাহিত্য পরিষদের মহাসচিব ও চলচ্চিত্র পরিচালক জ্যাম্বস্ কাজল। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গীতিকার, কবি ও সুন্দরবন সাহিত্য পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল আলীম। পুরো অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আজগর হোসেন।
অনুষ্ঠানে শিশুদের অংশগ্রহণে নৃত্য, গান, কবিতা ও ছড়ার পরিবেশনা ছিল দৃষ্টিনন্দন ও হৃদয়গ্রাহী, যা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে তোলে। অংশগ্রহণকারী শিশুদের মাঝে কবি-লেখকদের বই উপহার দেওয়া হয়, যা ছিল এক বিশেষ আকর্ষণ।
এছাড়া মানবাধিকার ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য “সাউথ এশিয়া সাহিত্য সিনে গোল্ড স্টার স্মারক সম্মাননা” প্রদান করা হয় মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসাসহ ৩০ জন কবি, সাহিত্যিক ও সংগঠককে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সাহিত্য হতে পারে শান্তি ও মানবতার আলোকবর্তিকা। তারা আহ্বান জানান, আগামী প্রজন্মের জন্য সাহিত্য সংস্কৃতি হোক পথনির্দেশ ও আত্মগঠনের প্রেরণা।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন