গাজার ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে কাতার ট্রাম্পকে দিল ৪০০ মিলিয়নের বিলাসবহুল জেট!
-(8).png)
মধ্যপ্রাচ্যের কাতার দেশ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দেওয়া হয়েছে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি অত্যাধুনিক বোইং জেট উপহার। লুসাইল প্রাসাদের রাজকীয় আয়োজনের মধ্যে ট্রাম্পকে এই বিলাসবহুল জেট উপহার দিয়ে কাতার তাদের কূটনৈতিক সৌজন্য প্রদর্শন করেছে।
তবে এই উপহারকে কেন্দ্র করে এখন বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনা উঠেছে। কারণ, একই সময়ে ফিলিস্তিনের গাজায় লাখ লাখ মানুষ অতিদুর্দশার মধ্যে জীবনযাপন করছে। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুসারে, গাজায় অনেক পরিবার প্রতিদিনই খাবারের অভাবে বিপন্ন হয়ে পড়ছে, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ক্ষুধার্ত এবং অসুস্থ।
বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলছেন, গাজার এই মানবিক সংকটের সময়ে মুসলিম বিশ্বের ধনী দেশগুলো কিভাবে এমন বিলাসবহুল উপহার প্রদানে ব্যস্ত থাকতে পারে? তারা কি ভেবে দেখছেন না তাদের পাশে থাকা দরিদ্র, ক্ষুধার্ত ভাই-বোনদের কথা?
মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ
ট্রাম্প যদিও এই উপহারকে দেশের জন্য একটি “দরকারি সমাধান” হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন,
“আমরা সবসময় অন্যদের উপহার দিই, এবার নিলে দোষ কী?”
তবে মানুষের একাংশ মনে করেন, এমন সময় যখন লাখ লাখ মানুষের বেঁচে থাকা প্রশ্নবিদ্ধ, তখন এই ধরনের বিলাসবহুল রাজকীয় আয়োজন মানবিকতার পরিপন্থী।
এক মানবাধিকার কর্মী বলেন,
“গাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে এমন বিপুল অর্থ ব্যয় করা যেত। কিন্তু আমরা শুধু দেখতে পাচ্ছি রাজকীয় শোভা আর রাজনীতির ছল। এটা শুধু টাকার কথা নয়, এটা মানবতার ব্যাপার।”
এখন প্রশ্ন উঠছে—মুসলিম বিশ্বে ধনী রাষ্ট্রগুলো কি সত্যিই তাদের দায়িত্ব ও করণীয় বুঝতে পারছে?
মানবতার কথা না ভেবে রাজনৈতিক স্বার্থ ও প্রভাব বিস্তারে ব্যস্ত তারা। আর এর মধ্যে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে গাজার নিরীহ বাচ্চারা ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে।
বিশ্বের দৃষ্টি এখন এই বিরোধিতার দিকে। মানুষের ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং মানবিক মূল্যবোধকে কি কেবল কথায় রেখে দিতে হবে?
বিশ্ববাসী আশা করে—ধনী মুসলিম দেশগুলো তাদের সম্পদ মানবিক কাজে লাগিয়ে গাজার মানুষের পাশে দাঁড়াবে।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন